“মাগো কোনোদিন বুঝিনি তুমি কতখানি জুড়ে ছিলে

0
667

আমরা হয়তো অনেকেই জানি, মাকড়সার ডিম ফুটে বা’চ্চা বের হয়। মা মাকড়সা সেই ডিম নিজের দে’হে বহন করে বা’চ্চা বের না হওয়া পর্যন্ত। প্রকৃতির নিয়মে এক সময় ডিম ফুটতে শুরু করে। নতুন প্রাণের স্পন্দন দেখা যায় ডিমের ভেতর। এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান। কিন্তু খাদ্য কোথায়? ক্ষু’ধার জ্বা’লায় ছোট ছোট মাকড়সার বা’চ্চা মায়ের দে’হই খেতে শুরু করে ঠুকরে ঠুকরে।

সন্তানের মুখ চেয়ে মা নিরবে হজম করে সব ক’ষ্ট-যন্ত্র’ণা। এক সময় মায়ের পুরো দে’হই চলে যায় সন্তানদের পেটে। মৃ’ত মা পড়ে থাকে ছি’ন্ন ভিন্ন হয়ে, সন্তান নতুন পৃথিবীর দিকে হাঁটতে থাকে। এ হলো মাকড়সা মায়ের আ’ত্মত্যা’গের কাহিনী। আসলে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ও মধুময় ডাক হলো মা। মা, মা, এবং মা। প্রিয় এবং মূল্যবান শব্দ একটিই এবং একটিই মাত্র। শুধু প্রিয় শব্দই নয়, প্রিয় বচন- মা। প্রিয় অনুভূতি- মা। প্রিয় ব্যক্তি- মা। প্রিয় দেখাশোনা- মা। প্রিয় রান্না- মা।

প্রিয় আদর- মা। সব ‘প্রিয়’গুলোই শুধুমাত্র মা’কে কেন্দ্র করেই সব প্রিয় স্মৃ’তি। কারণ মা-ই পৃথিবীতে একমাত্র ব্যক্তি যে কিনা নিঃ’শর্ত ভালোবাসা দিয়েই যায় তার সন্তানকে কোনো কিছুর বিনিময় ছাড়া। পৃথিবীটা অনেক কঠিন, সবাই সবাইকে ছেড়ে যায়, সবাই সবাইকে ভুলে যায়, শুধু একজন যে ছেড়ে যায় না ভুলেও যায় না। আর সারা জীবন থাকবে। সে মানুষটি হচ্ছে মা। মায়ের কোল যে কত বড় জিনিস তা একজন যোগ্য সন্তান ছাড়া আর কেউ জানে না। শত চিন্তা শত ক’ষ্ট আপনার মাথায়, একবার মায়ের কোলে মাথা রাখেন দেখবেন সব চিন্তা দূর হয়ে যাবে।

জগতে মায়ের মতো এমন আপনজন আর কে আছে! আসলে কোনো উপমাই মায়ের জন্য যথে’ষ্ট নয়। কোনো কিছুর তুলনা হতে পারে না মা। মা তো মা-ই। মায়ের গ’র্ভে সন্তান যেমন র’ক্ত চু’ষে নিরাপদে ধীরে ধীরে বড় হয়, তেমনি জন্মের পরও তিল তিল করে মা-ই কেবল তার নাড়ি ছেঁড়া ধনকে তিলে তিলে বড় করে তোলেন আগামীর স’ম্ভাবনাময় একজন মানুষ হিসেবে। জীবনের চরম সং’কটকালে পরম সান্ত্ব’নার স্থল হিসেবে যার কথা প্রথম মনে পড়ে তিনি মমতাময়ী মা। মা প্রথম পৃথিবীর রং-রূপ-শব্দ-গ’ন্ধ চেনান-দেখান-শেখান।

সেই মাকে আমরা অনেক সময় জেনে শুনে ক’ষ্ট দিয়ে থাকি। সন্তা’নেরা ধাঁরালো চাকুর মতো, তারা না চাইলেও মায়েদের ক’ষ্ট দেয় আর মায়েরা তাদের শেষ র’ক্তবিন্দু পর্যন্ত সন্তা’নের পাশে থাকে। জগতে যার মা জী’বিত নেই সেই বুঝে তার জীবন থেকে সে কি হারিয়েছে। যার ‘মা’ নেই সে বুঝে জীবনের ব্যথা।-

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fifteen − 4 =