মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘মুমিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদের আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। যারা এ কারণে গাফেল হয়, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। আমি তোমাদের যা দিয়েছি তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় কর। অন্যথায় সে বলবে, হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলেন না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সত্কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।’ (সূরা মুনাফিকুন : ৯-১০)।
যারা স্বীয় ধন সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, এরপর ব্যয় করার পর সে অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে না এবং কষ্টও দেয় না, তাদেরই জন্য তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে পুরস্কার (সূরা বাকারাহ : ২৬২)।
দান সদকার গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে রসুল (সা.) বলেছেন, ‘খেজুরের একটি টুকরা দান করে হলেও তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার চেষ্টা কর।’ (বোখারি ও মুসলিম)। হজরত উকবা বিন আমের (রা.) থেকে বর্ণিত।
হজরত আবু সাঈদ খুদুরি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রসুল (সা.) বলেন, ‘মানুষের জীবদ্দশায় এক দিরহাম দান করা, তার মৃত্যুর পর একশ দিরহাম দান করার চেয়ে উত্তম (আবু দাউদ মিশকাত)।
হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুল (সা.) বলেছেন, ‘এমন কোনো দিন যায় না যেদিন দুজন ফেরেশতা পৃথিবীতে আগমন করেন না, তাদের একজন দানশীল ব্যক্তির জন্য দোয়া করতে থাকেন এবং বলেন, হে আল্লাহ! আপনি দানশীল ব্যক্তিকে উত্তম বদলা দিন। দ্বিতীয় ফেরেশতা কৃপণের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে বদ দোয়া করে বলেন, হে আল্লাহ! কৃপণকে ধ্বংস ও বরবাদ করুন’ (বোখারি-মুসলিম)।
তাই আমাদের সবার উচিত গরিব-দুঃখী, অভাবী, আত্মীয়স্বজন আপনজনদের বেশি দান সদকা করা। কেননা, দান সদকায় বালা-মসিবত বিপদ-আপদ দূর হয়। মহান আল্লাহতায়ালা নূর নবীজী (সা.)-এর উসিলায় আমাদের আমল করার তৌফিক দিন। আমিন।
লেখক: মুফতি মুহাম্মদ এহছানুল হক মুজাদ্দেদী, বেতার টিভির ইসলামী উপস্থাপক। খতিব, মনিপুর বাইতুর রওশন জামে মসজিদ, মিরপুর, ঢাকা।