আনোয়ার হোসেন আনু,কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নববধু চম্পাকে হত্যার পর মাটিতে পুতে রাখার ঘটনায় কলাপাড়া থানায় মামলা করা হয়েছে। ২২ জুনুয়ারী (বুধবার) রাতে স্বামী বাবুলকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন ওই নববুধর পিতা চান মিয়া সিকদার। তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার চাকাইময়া ইউনিয়নের গামরবুনিয়া গ্রামের কাদের হাওলাদারের ছেলে বাবুল হাওলাদারের সাথে পাশ্ববর্তী তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের কলারং গ্রামের চান মিয়া সিকদারের একমাত্র কন্যা চম্পার গত ১জানুয়ারী বিয়ে হয়। বিয়ের পর গত ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে বাবুল হাওলাদার নববধু চম্পাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে।
এরপর থেকে চম্পা নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ১৪ জানুয়ারী তালতলী থানায় চম্পার পিতা একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। চম্পা নিখোঁজ থাকার ৮দিন পর ২২জানুয়ারী (বুধবার) সকালে স্থানীয় গ্রামবাসী বিলে গরু চড়াতে গিয়ে শিয়াল-কুকুড়ে মাটি খুড়ে ফেলায় চম্পার মরদেহের অস্তিত্ব দেখতে পায়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে থানা পুলিশকে জানান। পরে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনুপ দাসের উপস্থিতিতে ওই নববধুর লাশ উদ্ধার করে।
নিহত চম্পা’র পিতা চান মিয়া সিকদার বলেন, বাবুল হাওলাদার ও তার পরিবারের সদস্যরা তার কন্যাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়েছে। এঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি করেন তিনি।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার মজিবরের মাধ্যমে খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নববধুর পিতা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।