Site icon Aparadh Bichitra

দূর্নীতিবাজ নাঈম যখন উত্তরের ৪৯ নংওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী

বিশেষ প্রতিনিধিঃ আর কিছুদিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আসন্ন সিটি নির্বাচন। এ নির্বাচকে ঘিরে প্রার্থীদের চলছে প্রচার-প্রচারনা। তেমনি ঢাকা উত্তরের ৪৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোঃআনিছুর রহমান নাঈম তিনিও এবার নতুন বছরে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ৪৯ নং ওয়ার্ডের। এই আনিছুর রহমান নাঈম গত বছর ২০১৮ সালে টাকার বিনিময়ে ও পেশি শক্তিতে কাউন্সিলর হন। তিনি ৪৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে শুরুকরেন জমি দখল,চাঁদাবাজি, বিমানবন্দর বাবুস সালাম মার্কেট থেকে প্রতি মাসে ৩ লাখ টাকা চাঁদা,টেন্ডার বাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকেন এবং হাজীক্যাম্প সংলগ্ন সিভিল এভিয়েশন মাঠ প্রাঙ্গনে দীর্ঘ ৩ মাস ব্যাপি তাঁত বস্ত্র মেলার আয়োজন করে আর ঐ তাঁত বস্ত্র মেলার অন্তরালে জুয়ার আসর বসিয়ে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা যা দক্ষিণখান বাসি অবগত আছেন।

এমনকি বিমানবন্দর স্টেশনে পূর্ব দিকে রেলওয়ের জায়গায় হোটেল,দোকান বসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া।  সুত্রে জানা যায় কিছু দিন আগে এই ৪৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিছুর রহমান নাঈমের ক্যাডার বাহিনি তারই নির্দেশে আশকোনর বাসিন্দ শফিউর রহমান প্রিন্স নামে এক ব্যক্তিকে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে যার চিহ্ন দেখা যায় বলে জানা যায়।

এ ধরনেরঅপরাধ কর্ম-কান্ড একপর্যায়ে অনুসন্ধানে প্রতিবেদন দেখা যায় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও চ্যানেল২৪ সার্চলাইটে যা এলাকাবাসিরা সবাই অবগত আছেন। এদিকে মোঃ আনিছুর রহমান নাঈম বেগতি দেখে তার কয়েক দিন পরে প্রেসকফারেন্স করে তিনি নিজেকে একজন যোগ্য ও আদর্শবান কাউন্সিলর তুলে ধরতে চেষ্ঠা করেন।

কিছু দিন পূবে ২০১৯ সালের শেষের দিকে ডিসেম্বর মাসে আবারও সিভিল এভিয়েশন মাঠে তাঁত বস্ত্র মেলার আয়োজন করেন যা উদ্বোধন করেন কাউন্সিলরে পিতা মোফিজ উদ্দিন বেপারি ঢাকা-১৮ আসনের এমপিকে উপেক্ষা করে।

এদিকে কাউন্সিলর নাঈমের অফিসে এলাকাবাসি কোন প্রয়োজনে গেলেও কাউন্সিলর নাঈমকে কখনোই এলাকাবাসি পায় না বলে জানা গেছে। এদিকে প্রেসকনফারেন্স করার কয়েক দিন পরেই তিনি ঢাকা উত্তরে স্বেচ্ছাসেবক লীগে সাধারন সম্পাদক পদ পান বলে জানা যায়।

এসব কর্মকান্ড বিভিন্ন মিডিয়াতে তুলে ধরলে পরবর্তিতে আসন্ন ১ ফেব্রুয়ারী  আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে সিটি নির্বাচনের মনোনয়ন না দিলেও দলে আদেশকে উপেক্ষা করে মোঃআনিছুর রহমান নাঈম স্বতন্ত্র ভাবে ঘুড়ি প্রতিক নিয়ে আবারও নির্বাচনের প্রচার-প্রচারনায় নেমেছেন এবং এই নাঈমের সঙ্গে কোন সাংবাদিক বিগত সময়ের এলাকার উন্নয়ন ও নির্বাচনী ইজতেহার সম্পর্কে জানার জন্য দেখা করতে চাইলে তিনি তাদেরকে কখনোই সময় দেন না ব্যস্থতা দেখিয়ে এড়িয়ে যান।

আসছে আগামি ৩০ জানুয়ারী ৫ বছরের জন্য আবারও কাউন্সিলর হওয়ার জন্য প্রচার চালাচ্ছে এবং টাকার বিনিময় আবারও ভোট কেনার চেষ্ঠা করছেন, তবে এলাকাবাসি জানায় এ বছর সর্বদলিয় প্রর্থীরা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে আর আমরা সঠিক ও যোগ্য ব্যক্তিকেই নির্বাচিত করবো যদি কোন ধরনের অপশক্তি ছোয়া না লাগে।

এমনকি এই আনিছুর রহমান নাঈম তার নির্বাচনী প্রচারে তার ক্যাডার বাহিনি দিয়েও প্রচার চালাতে দেখা যায় এলাকায়। এলাকাবাসির অনেকেই আবার তাদের ক্ষোভের কথা প্রকাশ করে সাংবাদিক দের কাছে যে এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর বাজেট হবে আর এ ধরনে দূর্নীতিবাজ ব্যক্তিরা দামি দামি গাড়িতে করে ঘুরে আর এলাকায় কোন উন্নয়ন হবে না এটা মেনে নেয়া যায় না,তাই আমরা বিচার-বিবেচনার মধ্য দিয়ে বর্তমান ইভিএম পদ্ধতিতে সঠিক ভাবে সঠিক ও যোগ্য মানুষটিকেই রায়টা দেবো আগামি ১ ফেব্রুয়ারী ।