জনসনের বেবি পাউডারে ক্ষতিকারক অ্য়াসবেস্টসের উপস্থিতি মিলেছে

0
553

জনসন এন্ড জনসনের বেবি পাউডারে ক্ষতিকারক অ্য়াসবেস্টসের উপস্থিতি মিলেছে। এ নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে কোম্পানিটি। এই অভিযোগের জেরে এবার জেরার মুখে পড়তে হয়েছে সংস্থাটির চিফ এক্সিকিউটিভ অ্যালেক্স গোরস্কিকে। এই প্রথম এই ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হলো তাকে। সংবাদসংস্থা রয়টার্স ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর বেবি পাউডারে ক্ষতিকারক অ্য়াসবেস্টসের উপস্থিতির বিষয়টি প্রথম জনসমক্ষে এনেছিল। প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে ওই বছরের নভেম্বরে জনসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন জনৈক সাংবাদিক।

সরাসরি অ্যালেক্স গোরস্কি ইমেল পাঠিয়ে জনসনের বেবি পাউডারে অ্য়াসবেস্টসের উপস্থিতির সত্যতা এবং এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন তিনি। এই ইমেল পাওয়ার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোম্পানিতে নিজের শেয়ারের অংশ বিক্রি করে দিয়েছিলেন জে এন্ড জে -র চিফ এক্সিকিউভ অফিসার। আর বেবি পাউডারে ক্যানসারের বিষের উপস্থিতির খবর রয়টার্সে প্রকাশের পরে জনসনের বাজারদর হু হু করে পড়ে গিয়েছিল।

যে কারণে জে এন্ড জে -তে অ্যালেক্স গোরস্কির নিজের অংশিদারিত্ব বিক্রির সময় নিয়ে প্রবল বিতর্ক দেখা দিয়েছে। আগাম বিপদ আঁচ করে তিনি আগেভাগেই নিজের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই নিয়েই সোমবার জেরার মুখে পড়তে হয়  অ্যালেক্স গোরস্কিকে। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, শেয়ার বিক্রির আগে সাংবাদিকের পাঠানো ইমেইল তিনি দেখেননি।

১৯৭১ সাল থেকে জনসনের বেবি পাউডারে ক্ষতিকারক অ্য়াসবেস্টস থাকার একের পর এক ঘটনা সামনে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের ১৫,০০০ মামলা চলছে। যদিও কখনই অভিযোগ স্বীকার করেনি শতাব্দী প্রাচীন এই শিশু-দ্রব্যের খ্যাতনামা সংস্থাটি।

গত বছরের অক্টোবরেও মার্কিন মুলুকে জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারে ক্ষতিকারক অ্য়াসবেস্টসের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 + eleven =