চট্টগ্রামে টাকার বিনিময়ে পাবলিক পরীক্ষায় পাশ!!

0
789

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড।আর এ মেরুদন্ডকে ভেঙ্গে দিতে একটি অসাধু মহল সবসময় পাঁয়তারা চালাতে থাকে।কিছু শিক্ষক নামের কলঙ্ক শিক্ষার্থীদের নানাধরণের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থের কাছে হার মানায় মেধাকে। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে অসাধু মহলটি খুব অল্প সময়ে বনে যায় বিপুল কালো টাকার মালিক।এরকমই একজন শিক্ষক নামধারী এম শামসুদ্দোহা ওরফে দোহাস নামে এক ব্যক্তির করাল গ্রাসে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা।টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেন তিনি।চট্টগ্রামের অক্সিজেন এলাকায় ক্যামব্রিয়ান হাইস্কুল নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিক এম শামসুদ্দোহা।এটি ছাড়াও তার রয়েছে আরো কয়েকটি শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান।

আর প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার নামে তিনি দেখান নানা ধরণের প্রলোভন।এরকমই প্রলোভনের শিকার এক এসএসসি পরীক্ষার্থী জানালেন এম শামসুদ্দোহার মিথ্যাচারের কথা।

হামিদা সুলতানা নামে ওই শিক্ষার্থী জানায়,এম শামসুদ্দোহা নিশ্চিত পাশের আশা দিয়ে তার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান দোহাস কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে।তারপর ক্লাস না করিয়েও টাকা দাবি করতে থাকে তিনি।শুধু তাই নয়,এম শামসুদ্দোহার ক্যামব্রিয়ান হাইস্কুলে মানহীন পড়ালেখার কারণে তার শিক্ষা জীবন নষ্ট হয়েছে বলেও জানায় এই শিক্ষার্থী।

শুধু ১০০ ভাগ নিশ্চিত পাশের আশা দিয়ে প্রতারণা করাই এম শামসুদ্দোহার কাজ নয়। তিনি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে বোর্ড পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের পাশ করিয়ে দেয়ার নামে হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল অঙ্কের টাকা।

গত বছর এইচএসসি পরীক্ষার পর ফল প্রকাশের আগে কয়েকজন ছাত্রের সাথে এ প্রতারণা করেন তিনি।এর মাধ্যমে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ,পরীক্ষার্থীর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে বিকাশ নাম্বার দিয়ে টাকা আদায় করতো শিক্ষক নামধারী শামসুদ্দোহা। এছাড়া ৫ জন ছাত্রকে এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তাকে সরাসরি টাকা দেয়ার প্রস্তাব করেন এই প্রতারক।

তারপর শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তাকে ঘুষ দেয়ার কথা বলে কৌশলে তাদের থেকে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয় শামসুদ্দোহা।  অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে এম শামসুদ্দোহা ওরফে দোহাস সব দোষ স্বীকার করে চেয়ার ছেড়ে উঠে অভিযোগকারী এক মেয়ে শিক্ষার্থী ও তার মায়ের সাথে উত্তেজিত হয়ে যান।

পরে সংবাদ প্রচার না করার জন্য সাংবাদিকদের সাথে সমঝোতাও করতে চান তিনি।কিন্তু রাজি না হওয়ায় নানাভাবে হুমকি ধমকি প্রদান করতে থাকে এই প্রতারক।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twenty + 2 =