আড়াই বছরে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদে সাড়ে ২৮ কোটি টাকার উন্নয়ন

0
1027

রেজাউল করিম সুমনঃ জেলা পরিষদ একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেখান থেকে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বরাদ্ধ দিতে পারে। সমাজের উন্নয়নমূলক কাজ ছাড়া হতদরিদ্রদের সহযোগীতা করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৮৮ সালে এখানকার অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা পরিষদ প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে জেলাব্যাপী বিভিন্ন সরকারের সময় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের চলতি ও গত মেয়াদে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়।

বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে মো. শাহজাহান দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জেলা পরিষদের ১৫টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী সদস্যসহ ২০ জন সদস্য রয়েছেন।

জেলা পরিষদের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ৪টি পৌরসভা ও ৫টি উপজেলার ৫৪৭টি গ্রামের অবকাঠামো উন্নয়নে চেয়ারম্যান শাহজাহান সুদৃষ্টি দিয়েছেন। দায়িত্বের আড়াই বছর সময়ে প্রবীন এই রাজনীতিবীদ জেলা পরিষদের ১৯০৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে ২৮ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করিয়েছেন। বর্তমান অর্থ-বছরে ১২ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।

জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, ২০১৬-২০১৭ অর্থ-বছরে ৬২৩ প্রকল্পের অধীনে ৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, ২০১৭-২০১৮ অর্থ-বছরে ৬৮৭টি প্রকল্পের অধীনে ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা ও ২০১৮-২০১৯ অর্থ-বছরে ৫৯৮টি প্রকল্পের অধীনে ৯ কোটি ৯৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

সবগুলো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান। এরমধ্যে সদরের রোকনপুর থেকে বশিকপুর পর্যন্ত ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক মেরামত, ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে রামগঞ্জ সুপার মার্কেটের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারনের কাজ চলমান।

১০ লাখ টাকা ব্যয়ে রামগঞ্জ শিশু পার্কের আধুনিক তৌরণ ও নিরাপত্তা দেওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রামগতি উপজেলার চর আফজল পাটওয়ারী পাড়া একটি সড়ক সলিং ও রামগঞ্জে পূর্ব কাজিরখিল এলাকায় ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক সিসি করণ করা হয়েছে। জেলা পরিষদের ৫টি ডাকবাংলোতে আধুনিকায়নের কাজ করা শেষ হয়েছে।

উন্নয়নের এ ধারায় দেশব্যাপী লক্ষ্মীপুরকে সমৃদ্ধ করতে শহরের উত্তর তেমুহনীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল স্থাপন করেছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦

মো. শাহজাহান। মুরালটি লক্ষ্মীপুরের ইতিহাস-ঐতিহ্য বহন করবে বলে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। আধুনিক কারুকার্যের এই ম্যুরালটি সড়কের তিন দিকের প্রায় আধা-কিলোমিটার দূর থেকে চোখে পড়ে। গভীর রাতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা বাসযাত্রীরা ম্যুরালটি দেখে সহজেই স্থান নির্ধারণ করতে পারেন।

এদিকে প্রতিবছরই জেলা পরিষদের উদ্যোগে সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার রাস্তাঘাট নির্মাণ-মেরামত, মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজে অনুদান ও মেধাবীদের শিক্ষা উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। উপকারভোগীদের মাঝে টিউবওয়েল ও নদী ভাঙনসহ শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। এছাড়া অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা, অসহায় ও প্রতিবন্ধিদের চিকিৎসার জন্য জেলা পরিষদ থেকে অনুদান দেওয়া অব্যাহত রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

8 − 1 =