রাজাপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক স্কুল ভবন নির্মান

0
538

জাকির সিকদার,রাজাপুর: ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক স্কুলের পাকা ভবন নির্মান কাজ অব্যাহত থাকার অভিযোগ। উপজেলার মৃত আঃ কাদের ফরাজীর ছেলে মোঃ জসীম উদ্দীন ফরাজী লিখিত অভিযোগ করে জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বারবাকপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবনের নির্মান কাজ জোরপূর্বক চালানো হচ্ছে। ২৩জানুয়ারী বারবাকপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ ৫জনকে বিবাদী করে ঝালকাঠি অতিরিক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারার এম.পি কেস নং ৪৪/২০২০ মোকদ্দমা দায়ের করি। মামলার স্মারক নং-১৪৯।

বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত পক্ষদ্বয়কে বর্নিত সম্পত্তিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার মর্মে রাজাপুর থানা কর্তৃক এ.এস.আই নেছার উদ্দীন এর মাধ্যমে ২৮জানুয়ারী উভয় পক্ষের নিকট নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশ তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি ঃ রাজাপুর থানাধীন বারবাকপুর মৌজার জেএল নং-৩১ এসএ খতিয়ান নং-৩২৭ এসএ দাগ নং-৪৬৬/৪৬৭/৪৬৯ মোট জমির পরিমান ৪ একর ৭৫ শতাংশ।

তন্মধ্যে বাদীর প্রাপ্প্য ৩২ শতাংশ। যাহা এসএ ৪৬৬/৪৬৯ নং দাগে ২৩ শতাংশ বিরোধীয়। নোটিশে বলা হয়েছে আদালতের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত পক্ষদ্বয়কে বর্ণিত সম্পত্তিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য। যদি কোন পক্ষ বিজ্ঞ আদালতের আদেশ ভঙ্গ করিয়া বর্ণিত সম্পত্তিতে প্রবেশ করে এবং ইহাতে যদি কোন প্রকার দাঙ্গা হাঙ্গামার কারনে শান্তি শৃঙ্খলা বিঘœ হয় তাহলে সেই পক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।

পরবর্তী ১৭/২/২০২০ইং তারিখে পক্ষদ্বয়কে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। তারপরেও স্কুলের কর্তৃপক্ষ পাকা ভবন নির্মানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আরো জানান, বারবাকপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে যে দলিল আছে তার দাতা আঃ বারী ফকির। তিনি ১৯৮৪ সালে ৫০ শতাংশ জমি স্কুলের জন্য দান করেন। উক্ত জমির দলিল নং-৩১৮৬/৮৪, এস.এ খতিয়ান-১৪৪,এস.এ দাগ-২৬২,৪১৪,৪১৬,৪৬৪।

উক্ত ৫০ শতাংশ জমি দাতা নিজেই ভোগদখল করতেছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ উক্ত জমিতে না গিয়ে আমার পিতার সম্পত্তিতে জোর করে মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে। বিদ্যালয়টি যেখানে অবস্থান করছে সেই জায়গায় আমার পিতার নামে ৩২ শতাংশ জমি বারবাকপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ জোর করে ভোগ দখল করতে চায় এবং  উক্ত জমিতে আমার পিতার রোপনকৃত গাছ কেটে পাঁকা ভবন নির্মানের চেষ্টা করছে। ভবন নির্মান ঠিকাদারের ১০-১৫জন লেবার দ্রুত মাটি কাটার কাজ করিতেছে।

এ বিষয়ে বারবাকপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পবিত্র কুমার মিস্ত্রি বলেন, ঝালকাঠি অতিরিক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারার এম.পি কেস নং ৪৪/২০২০ মোকদ্দমা নোটিশ পেয়েছি। নোটিশে কোথাও লেখা নেই যে কাজ করা যাবে না। সম্পত্তিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য বলা হয়েছে।

১৭/২/২০২০ইং তারিখে পক্ষদ্বয়কে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন। এই মামলার কিছু দিন আগে আরো একটি মামলার নোটিশ করে ছিল মোঃ জসীম উদ্দীন ফরাজী সেই মামলায় আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ রায় পেয়েছি। রায় পাওয়ার পর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × 4 =