২০১৯ সালে তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র অধীনে থাকা ৬৩টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই খাতে সাড়ে ৩২ হাজারেরও বেশি শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য বেগম শামসুন নাহারের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। টিপু মুনশি বলেন, ‘গত বছরে বিজিএমইএ’র অধীন ৬৩টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। এ কারণে ৩২ হাজার ৫৮২ জন শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন।
তবে নিটওয়্যার খাতের কারখানার মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র অধীনে কোনো কারখানা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়নি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিকেএমই’র অধীনে থাকা দুই হাজার ২০০ কারখানার মধ্যে ৯২০টি সদস্যপদ নবায়ন করেছে। সদস্যপদ নবায়ন না করায় এক হাজার ২৮০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রপ্তানি আদেশ পাওয়া সাপেক্ষে কারখানাসমূহ পুনরায় সক্রিয় হতে পারবে।’
টিপু মুনশি জানান, ‘চাকরি হারানো শ্রমিকগণের নতুন কর্মসংস্থানের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান কর্মসূচির আওতায় এই কর্মরত শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এর অধীনে তৈরি পোশাক খাতে ভবিষ্যতে কাজ করবে এমন জনগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়টি পরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।’
সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে টিপু মুন্সী বলেন, ‘বর্তমানে ৪৫টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে আরও ছয়টি আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তির সদস্য। এ ছাড়া নয়টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।’