কলাপাড়ায় দুস্থ্যদের সরকারী চাল বিতরনে অনিয়ম

0
510

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)প্রতিনির্ধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের দুস্থ্যদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারী ভিজিডি চাল বিতরন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকাল দশটায় ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে দাড়িয়ে এর প্রতিবাদ জানান। এসময় ভিজিডি কার্ডধারীরা চাল কম দেয়া নিয়ে সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন। সংশ্লিষ্ট চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান এর আগেও চাল কেলেংকারীতে ইউএনও’র হাতে আটক  হয়ে মামলা ও হাজতবাস করার পরও চাল বিতরনে অনিয়ম ছাড়েনি। জানা যায়, উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের মোট ৩২৮ জন ভিজিডি কার্ডধারীদের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভিজিডি চাল জনপ্রতি ৩০ কেজি করে দেয়ার কথা।

কিন্তু সেখানে ৩০ কেজি চালের পরিবর্তে  ২০-২৫ কেজি করে চাল দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতে চাল বিতরন করায় ৩০ কেজি চালের পরিবর্তে বালতি দিয়ে চাল দেয়া হয়।

ভিজিডি কার্ডধারী উত্তর চাকামইয়া গ্রামের আ: মান্নান, শহিদুল ও ফজলু কাজী সহ একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, ’সরকার আমাদের ৩০ কেজি করে ভিজিডি চাল দেয়ার কথা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমরা তা পাচ্ছি না। কোন নির্দিষ্ট মাপ ছাড়াই আমাদের বালতি দিয়ে চাল দেয়া হয়। তাই কেউ ২০ কেজি, কেউ ২৫ কেজি আবার কেউ এর চেয়েও কম চাল পেয়েছে।’

চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির কেরামত বলেন, ’আমি ভিজিডি চাল বিতরণ বাবদ ১৯১ বস্তায় মোট ৯৮৪০ কেজি চাল সরকারী গোডাউন হতে ছাড়িয়েছি এবং তার সুষ্ঠ বন্ঠন প্রক্রিয়া চলছিল। আমার শত্রু পক্ষ চাল কম বিতরনের গুজব ছড়িয়েছে। চাল কম দেয়ার বিষয়টি সত্য নয় বলে তিনি দাবী করেন।’

চাকামইয়া ইউনিয়নের ভিজিডি চাল বিতরনের দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ’চাল বিতরণের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে আমি লিখিত অভিযোগ দিবো।’

কলাপাড়া (ভারপ্রাপ্ত) ইউএনও অনুপ দাশ জানান, ’চাল বিতরণে অনিয়মের বিষয়টি আমি শোনার পর ট্যাগ অফিসারের মাধ্যমে চাল বিতরণ বন্ধ রেখেছি। তদন্তসাপেক্ষে এবিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twelve + 5 =