Site icon Aparadh Bichitra

ওসি ফরমান আলী ষড়যন্ত্রে ইয়াবা দিয়ে সাংবাদিক হাবিব সরকার স্বাধীনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন

অপরাধ বিচিত্রা: কিছু পুলিশের অপকর্মের কারণে গোটা  পুলিশ আজ প্রশ্নবিদ্ধ। কিছু পুলিশ ধরে নিয়েছে দুর্নীতি অন্যায় অপকর্ম করলে  কিছুই হয় না। ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেদের আখের গোছাতে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন কিছু অসাধু পুলিশ। তাদের হিংস্র থাবা থেকে সাংবাদিক পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। ক্ষমতার অপব্যবহারকারী বনানী থানার সাবেক ওসি ফরমান আলীকে নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন চলছে। অস্ত্র-মাদক একাধিক মামলার আসামিকে বাঁচাতে সংবাদকর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিলেন তৎকালীন বনানী থানার ওসি ফরমান আলী। সংবাদকর্মীকে হুংকার দিয়ে বলেন বনানীর আশেপাশে যেন তোকে না দেখি। আজ তোকে ছোট্ট একটি মামলা দিয়ে দিলাম। বনানী আশেপাশে দেখলে এমন মামলা দেবো জেলের ভিতরে সারা জীবন কাটাতে হবে। ওসি প্রাণনাশের হুমকিও দেন। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজি, ঢাকা এডিশনাল আইজি, লিখিত বক্তব্য প্রেরণ  করেন স্বাধীন সরকার।

সংবাদকর্মী স্বাধীন বলেন আমি জীবনে একবারও ধুমপান করিনি অথচ আমাকে মাদকের মামলা জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে জনসাধারণ এবং যুবসমাজের কি পরিস্থিতি হতে পারে।  নানান অপকর্মে লিপ্ত ও গ্রেফতার বাণিজ্য ফরমান আলীর কাছে নতুন কিছু নয়। মাদক ব্যবসায়ীর সাথে আদান প্রদান করে অনেক মানুষকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসিয়েছিল ওসি ফরমান এএসআই ইমরান, এএসআই সুজন কুমার সাহা এবং এসআই শাহীন আলম।

ওসি ফরমান আলী মুখ দেখে বলে দিতে পেরেছেন কে মাদক বিক্রি করে মাদক সেবন করে। ওসি ফরমান আলীর ফর্মুলা সাধারণ মানুষের বুঝা বড় কষ্ট। বনানী ১৯ নং কড়াইল বস্তির  সেভেন স্টার গ্রুপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধীর সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল ফরমানের। সেই সম্পর্ককে পুঁজি করে রাজত্ব কায়েম করে চলছিল তৎকালীন বনানী থানার ওসি ফরমান। গোপালগঞ্জ বাড়ি নিজেকে টুঙ্গীপাড়া ছেলে হিসাবে নিজের ক্ষমতার কথা ও  প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেন ফরমান আলী।

এলাকার মন্ত্রী প্রভাবশালী নেতাদের সাথে তার চলাফেরা। তার ভাই উপজেলা টুঙ্গিপাড়ার চেয়ারম্যান। মানুষের কাছে নিজের ক্ষমতার কথা এভাবেই বলে থাকেন। ইতিপূর্বে তার অপকর্ম দিন দিন বেরে চলেছে। এই  নিয়ে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠছেন বনানী থানার সাবেক ওসি ফরমান আলী। তার অপকর্মের কোন শেষ নেই স্বামী ছাড়া ধর্ষণের মামলা নেয়া হয় না। আপন জুয়েলার্সের ছেলের অপকর্ম ঢাকতে ২০ লক্ষ টাকার চাঁদাবাজি।

বাংলাদেশের বহুল প্রচারিত  পত্রপত্রিকায় লেখালেখি ও সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরে তদন্ত প্রতিবেদনে তার অপকর্ম সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। তবুও বহাল তবিয়তে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আবারো তাকে বহাল রাখা হয়।  জনসাধারণের মনে প্রশ্ন ফরমান আলী কি আইনের উর্ধ্বে? গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় ওসি সালাউদ্দিন খান নিহত হওয়ার ৪৭ দিন পর বনানী থানায় নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে যোগ দেন বিএম ফরমান আলী।

সম্প্রতি দ্য রেইন ট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় আলোচনায় আসেন এই ওসি। তবে অতীতেও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৫২ টি থানার মধ্যে বনানী থানার ওসি ফরমানের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। পুলিশের অনেক শীর্ষ কর্মকর্তাই তাকে সমীহ করে কথা বলেন। নানা অপকর্মের অভিযোগ থাকার পরও তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পান না কেউই।

বনানীর এই ওসি উত্তরা ক্লাবের ডোনার ক্যাটাগরির সদস্য (মেম্বারশিপ নম্বর ডিএম ৩৯৫)। ওই পদ নিতে গেলে কমপক্ষে ৬৫ থেকে ৭০ লাখ টাকার প্রয়োজন হয়। একজন ওসি কিভাবে বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে উত্তরা ক্লাবের সদস্য হন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিলেও তখন কেউই তার কিছুই করতে পারেন নি।

শুধু তাই-ই নয়, গত বছরের আগস্ট মাসে বনানী থানায় যোগদানের পর থেকেই  মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, ধর্ষণ মামলা না নেয়াসহ বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ উঠে এই ওসির বিরুদ্ধে। সর্বশেষ বনানীতে দি রেইনট্রি হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগকারীদের চরিত্র হননের চেষ্টা করেন তিনি।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, মামলা করতে গেলে ওসি ফরমান আলী বিষয়টি নিয়ে নানা টালবাহানা করতে থাকেন। ধর্ষণের অভিযোগ জানানোর পরপরই ওসি বলতে থাকেন, ‘তোমরা কি নর্তকী ? তোমরা কী হোটেলে গান গাও? সেটা না হলে হোটেলে যাবে কেন? টাকা নেওয়ার জন্য ওদের ফাঁদে ফেলতে চাও?’ এ সময় মোবাইল ফোনে দুই তরুণীর ছবি ধারণ করার আদেশও দেন তিনি।

তবে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশে মামলা গ্রহণ করার পর থেকে দৃশ্য পাল্টে যেতে থাকে। আলোচিত এ ঘটনার মধ্যেই পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পাঁচ দিনের ছুটিতে যান ফরমান আলী। সংশ্লিষ্টরা ভেবেছিলেন, এবার ফেঁসে যেতে পারেন বনানীর এই ওসি। এরই মধ্যে দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় বনানী থানার কর্তব্যে কোনো ধরণের অবহেলা আছে কিনা তা তদন্ত করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ডিএমপি।

সাবেক গুলশান বিভাগ পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ বলেন, দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় বনানী থানার কোনো কর্মকর্তার গাফিলতি বা অবহেলার দায় পুলিশ নেবে না। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে গাফিলতি কিংবা ভুক্তভোগী তরুণীদের হয়রানি করার প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বনানীর ঘটনা ছাড়াও ওসি ফরমানের বিরুদ্ধে যতো অভিযোগ

১. গত মার্চ মাসে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওসিসিতে (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) ৮ দিন ভর্তি ছিল একটি মেয়ে। কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কড়াইল বস্তির পাশে স্থানীয় চার যুবক তাকে তুলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে। ভিকটিম মামলা করত গেলে ওসি আর্জির কাগজ ফেলে দেয় ও আজেবাজে কথা বলে।

রাজধানীর বনানী থানা ১৯ নং ওয়ার্ড কড়াইল বস্তির টোকাই থেকে কোটিপতি যুবদল নেতা টুন্ডা মোমিনের বিরুদ্ধে অপরাধ বিচিত্রা সহ ধারাবাহিকভাবে জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

বর্ষ ২৪/৬/ সংখ্যা/ বর্ষ  ২৪/৭/ সংখ্যা/

বর্ষ / ২৪/১৭/সংখ্যা/ বর্ষ ২৪/১৮/ সংখ্যা/ সময়ের আলো ৩১/ ২০১৯/ দৈনিক গণ জাগরন  ২৪/ আগস্ট। হাবিব সরকার স্বাধীন বাংলাদেশের একটি সনামধন্য সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। তিনি টুন্ডা মোমিনের নামে  তিনি সংবাদ প্রকাশ করেন। কড়াইল বস্তিতে অবৈধ গ্যাস বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে টুন্ডা মমিন কোটিপতি, দৈনিক গণজাগরণে এই সংবাদ প্রকাশ হলে সাংবাদিককে হত্যার চেষ্টা করে। দৈনিক মুক্ত বাংলা প্রকাশিত হাইব্রিড নেতা টুন্ডা মোমিন তাতী লীগের সহ-সভাপতি, সময়ের আলোতে প্রকাশ একাধিক মামলার আসামি মোমিন, যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-মামলার নং ৮৩৬/১৫/সালে/তাং০ ৬/০৯/১৮/ মামলা ৪৫৫/১৬/ বনানী থানার মামলা ৬৯/১৭/বনানী থানায় মামলার নং ৮/১/১৫/ সালে/গুলশান থানা মামলা নং/৬/৮/১৮/ ১৬/৭/১৬/ সি আর মামলা নং /১৬/

অপরাধ বিচিত্রার সর্বশেষ নিউজ টোকাই থেকে কোটিপতি, অপরাধ বিচিত্রায় প্রকাশ ‘যুবদলের টুন্ডা মমিন এখন তাঁতী লীগের সহ সভাপতি’, বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশ                 ‘টোকাইরা কোটিপতি,, বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হলে। উন্মোচিত হয় নব্য তাঁতী লীগের নেতার মুখোশ। সেই সংবাদের জের ধরে উক্ত প্রতিনিধি স্বাধীন সরকারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন তৎকালীন বনানী থানার গুণধর ওসি ফরমান আলী ও এএস আই সুজন কুমার সাহা, সাদা পোশাকধারী এ এস আই ইমরান। কড়াইল বস্তির হত্যা, অস্ত্র, একাধিক মামলার আসামি মাদক সম্রাট টুন্ডা মোমিন। গত ২৩/৯/১৯ইং, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান (মফিজ) মোমিনের বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চায় সাংবাদিক স্বাধীনের সাথে। তিনি মুঠো ফোনে বলেন, ১২টায় তার অফিসে যেতে। তার অফিসে আসার আগে ১০:৩০ মি: স্বাধীন বনানী থানায় গিয়ে ডিউটি অফিসার এসআই ইভাকে বিস্তারিত বলেন। তিনি বলেন ওসিকে বলতে। তখন ওসিকে না পেয়ে তৎকালীন ওসি তদন্ত বোরহান উদ্দিন রানাকে বিস্তারিত খুলে বলেন স্বাধীন। যে আমি ১৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মফিজুর রহমান মফিজ আমাকে ডেকেছে তার কার্যালয়ে মিটিং এর উদ্দেশ্য। থানায় বিস্তারিত বলার কারন নব্য তাঁতী লীগের নেতা গত ৩১/ ৮/১৯ইং আওয়ামীগ শোক সভায় সাংবাদিক স্বাধীন এর উপর হামলা চালায় মোমিন, খাইরুল, রায়হান, রুস্তম, নাম না জানা আরো ১৫-১৮ জন যুবক। হামলার সময় অনুষ্ঠানের ডিউটিরত অবস্তায় উপস্থিত ছিলেন বনানী থানার  কড়াইল বস্তি বিট ইনচার্জ এস আই আবু তাহের ভূইঁয়া এএস আই সোহেল রানা। তাদের সামনে আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে ফিল্মস্টাইলে  হামলা চালায়।

হামলাকারীদের একজনকে ধরে ফেলে সাংবাদিক স্বাধীন। তবু তাকে গ্রেফতার করেনি আবু তাহের। জানা যায় এলাকার মোমিনের সাথে এস আই আবু তাহের ভূঁইয়ার সাথে  রয়েছে চরম বন্ধত্বপূর্ণু সম্পর্ক। আবু তাহের এর নামে রয়েছে মাদক কারবারীদের সহযোগিতা করার অভিযোগ। তার পরেও বহাল তবিয়তে আছেন বনানী থানায় এস আই আবু তাহের। দীর্ঘদিন বনানী থানায় থাকার কারনে কড়াইল বস্তি তার কাছে অতি সহজে চেনাজানা। অন্যের তৈরি করা বাড়ী জবর দখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দখল করে ভাড়া নিচ্ছেন তার সহযোগী কনস্টেবল শহীদ এর মাধ্যমে। আবু তাহের অনেককে মামলার ভয় দেখিয়ে দখল করে নিয়েছে তার বাড়ি, ওই এলাকার আশেপাশে অনেক ঘরে বিনা নোটিশে ভাড়াটিয়াদের বাহির করে দিয়ে তালা লাগিয়ে পরবর্তীতে সেই বাড়িটি নিজের দখলে নিয়ে নেন। অন্য বাড়ী ভাড়া দিয়ে নিজের পকেট ভারী করছে পুলিশ কর্মকর্তা। বাড়ীটিকে পুলিশের বাড়ি বললে সবাই চিনে।

অন্যের ঘর দখল করা তার কৌশল। তার সাফ কথা ডিসির কাছে অভিযোগ আছে সে নাকি মাদক বিক্রি করে – এই ভাবে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে অনেক লোককে এলাকা ছাড়া করেছেন তিনি। সরেজমিনে ঘুরে এমনটাই দেখা যায কড়াইল বস্তির কিছু বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায দখল বানিজ্য তাহের স্যারের জন্য নতুন কিছুই নয়। এই এলাকায় মা-বাবা বললেই চলে। কারণ তার সাথে আলোচনা না করে বস্তিতে কোন রকমের ভবনের ফাউন্ডেশন করতে পারে না। তার সাথে সমাধান, নইলে মামলা, নইলে তার বাড়ী দখল, গ্রেফতার করে থানা হাজতে পাঠান। টাকার বিনিময়ে আসামি ছাড়া সহ শত অভিযোগ বনানী থানার এস আই তাহের ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। সাংবাদিক স্বাধীনের উপর টুন্ডা মোমিনের সন্ত্রাসি বাহিনী হামলার কোন তথ্য দিতে রাজি হয়নি এস আই তাহের। হামলার সময় কিন্ত আবু তাহের উপস্থিত ছিলো।

সেই দিন রাতে প্রথমে স্বাধীন মামলা করতে গেলে ওসি ফরমান আলী মামলা নেয়নি। লিখিত অভিযোগ দিয়ে চলে যেতে বলে। পরে তদন্ত করা হবে। স্বাধীন ৮ দিন পর আবার হামলার শিকার হন। তখন জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেন যার নং-৭৮২। মাদক সম্রাট টুন্ডা মোমিন সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে বনানী এলাকায় মাদক ব্যবসা সহ কড়াইল বস্তিতে চোরাই গ্যাস বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। বনানী এলাকার বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা কাল হয়েছিল সাংবাদিক স্বাধীনের। আর এতে বনানী থানার ওসি ফরমান আলী, এ এসআই সুজন কুমার সাহা ও ইমরান কর্তৃক টুন্ডা মমিনের নিকট থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা গ্রহন করতেন।

একাধিক মামলার আসামী মাদক সম্রাট টুন্ডা মোমিন এর পরিকল্পনায় এএসআই সুজন কুমার সাহা ও সাদা পোশাকধারী ইমরান কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে সাংবাদিক স্বাধীনকে  মিটিং শেষ করে যখন কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে নিচে নামে একটু সামনে আসতেই এএসআই সুজন কুমার সাহা ও এ এস আই ইমরান বলেন তাদের কাছে তথ্য আছে স্বাধীন এর কাছে মাদক আছে। গ্যারান্টি সহকারে তখন স্বাধীন সার্চ করতে বলে। দেহ তল্লাশি করেন ইমরান কিন্তু স্বাধীনের  কাছে কোন অবৈধ মালামাল পাওয়া যায়নি। হঠাৎ কানে কানে সুজনকে কিছু বলতে দেখে স্বাধীন প্রশ্ন করে কিছু পেলেন না আমি কি যেতে পারি। ইমরান গাড়ির সামনে এসে হঠাৎ বলে মোটর সাইকেলে ইয়াবা পাওয়া গেছে। তখন সাংবাদিক স্বাধীন সরকার চেলেঞ্জ করেন দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে মাদক আমার নয়। আপনারা সি সি টিভির ফুটেজ দেখুন। সাথে সাথে অপরাধ বিচিত্রার সম্পাদককে স্বাধীনবিস্তারিত বললে, সম্পাদক এএসআই সুজন কুমার সাহা ও  ওসির সাথে কথা বলে কিন্ত তারা সি সি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ না করে তাকে থানায় নিয়ে যায়। ৪:১৬ মি: তাকে আটক করা হলে মামলা এজাহারে রাত ৮.৩০ মিনিটে গ্রেফতার দেখানো হয়। থানায় সিসি টিভিতে দেখা যায়। ৫ টার আগে হাবিব সরকার স্বাধীনকে  থানায় আনা হয়।

সম্পাদক মহোদয় চ্যালেঞ্জ করলে তৎকালীন বনানী থানার ক্ষমতাবান ওসি অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মোমিনকে থানায় আসতে বলে। মুমিন থানার গেটে আসতে তাকে আটক করা হয়। প্রশ্ন তাহলে মোমিন কী মাদক নিয়ে থানায় এসেছিল? এ এস আই ইমরান এবং এসআই শাহিন আলম মুঠোফোনে জোর গলায়  বলতে থাকে স্বাধীনের গাড়ী ভিতরে মাদক আছে। যা এসআই শাহিন আলমের ভয়েস কল রেকর্ডিং প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে। এসআই শাহীন বলেন, আমাকে ফোন দিলে আমি সেখানে যাই। এ এস আই সুজন কুমার সাহা স্বাধীনকে বলেন, বিষয়টা আমরা বুঝতে পেরেছি। আপনি থানায় আসুন ওসির সাথে কথা বলে একটা ফয়সালা হবে। এসব নাটকের কারন কী?

মামলার এজাহারে স্পষ্ট লিখা মাদক বিক্রির গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্বাধীনকে সেখান থেকে আটক করা হয়। কিন্ত এএসআই ইমরানের  রেকর্ডিং বলছে আমরা নিরুপায় স্বাধীন ভাই আমাদের ভুল বুঝবেন না। তাদের এভাবে মিনতি করার রহস্য কি? এএসআই ইমরান কল রেকর্ডিংয়ে স্পষ্ট ওসির নির্দেশে কড়াইল বস্তি থেকে মোমিনকে গ্রেফতার করা হয়। অথচ মামলার এজাহারে লেখা সন্ধ্যায় উভয়কে গ্রেফতার করা হয়। সঠিক কোনটি মামলার এজাহারে লেখা না কি এএস আই ইমরান কল রেকর্ডিং?

ওসি’র সবচেয়ে বড় গুণ মুখ দেখে বলতে পারে কে মাদক বিক্রেতা, কে মাদক সেবন করে। ওসি স্বধীনকে বলেছেন, তুমি মাদক বিক্রি কর না মাদক খাও। তোমার চেহারা দেখে ওসি নাকি বুঝতে পেরেছে। তাহলে অপরাধী ও মাদক কারবারী ও সেবনকারীদের সনাক্ত করার জন্য এমন গুণধর ওসি যথেষ্ট। সনাক্ত করার জন্য উনাকে দরকার। কোটি টাকা খরচ করে মাদক সনাক্ত করার জন্য যন্ত্রের কি   প্রয়োজন? তৎকালীন বনানী থানার ওসি ফরমান আলীর ফর্মূলা প্রয়োগ করা দরকার। স্বাধীনের দাবি আমি মাদকসেবী কিনা তা  আমার ডোপ টেস্ট করা হোক। আমি কোনদিন সিগারেটও খাই নি। স্বাধীনের সাক্ষাৎকারে জানতে পারি। এলাকার স্থানীয়দের ফোন করে স্বাধীন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলো। যখন তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসা করছিলো তখন সে অপরাধ বিচিত্রা’র সম্পাদক এস এম মোরশেদকে ফোন দেয়, এবং নিম্নে উল্লেখিত সবাইকে সে ফোন করে: বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাসুদ, বনানী সুপার মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক আজাদ, বনানী প্রেসক্লাব সভাপতি বিজয় আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিন এর ক্রাইম রিপোর্টার সাঈদুর রহমান রিমন, এন এস আই মাসুদ রানা, এসবি ইব্রাহিম, সভাপতির ১৯ নং ওয়ার্ড ইমরান সিকদার, আরো অনেককে। যদি তিনি মাদকের সাথে জড়িত থাকতেন তবে কিভাবে এতগুলো গণ্যমান্য ব্যক্তিকে ফোন করলেন? এ ব্যপারে অপরাধ বিচিত্রার তদন্ত চলছে। আগামি সংখ্যায় বিস্তারিত থাকছে।