Site icon Aparadh Bichitra

যদি কোন না কোন ভাইরাস এদের মধ্যে আসে কার ক্ষতি হবে

ভাবতে অবাক লাগে বিমানবন্দরে করনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য ডাক্তারেরা নাই যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে যার যার মত আসছেন। চায়না পরিবার তারাও বিনা পরিক্ষায় দেশের ভিতর প্রবেশ করলো। যদি কোন না কোন ভাইরাস এদের মধ্যে আসে কার ক্ষতি হবে?দেশের সাধারন মানুষ চিকিৎসার অভাবে মারা যাবে আর ওরা বিদেশে যাবে চিকিৎসা নিতে। এই হলো দেশের অবস্থা।দেশ আপনার আমার সকলের এই দেশের জন্য দেশের মানুষের প্রতিবাদ করতে হবে।

যাত্রীদের দেয়া ভিডিও ও লিখা হুবহু তুলে ধরলাম- আমি গত ১লা ফেব্রুয়ারি চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনস করে রাত ১১.৩০ মিনিটে বাংলাদেশের ল্যান্ড করেছি।

চায়না থেকে আসার আগে আমি একটি রেলওয়ে স্টেশন এবং দুটি এয়ারপোর্ট ক্রস করেছি সঠিক মেডিকেল চেকআপের মাধ্যমে। যার মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি আমি ভাইরাসে আক্রান্ত নই, না হয় আমাকে চায়না এয়ারপোর্ট ক্রস করতে দেয়া হতো না। বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে আমরা লাইনে দাঁড়াই আমাদের মেডিকেল চেকআপ হবে তাই কিন্তু দুঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানোর পর ও আমাদের চেকআপ করা হয়নি।

তখন জানতে পারি দুপুর দুটায় চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস করে যেসব চায়না এবং বাংলাদেশী নাগরিক বাংলাদেশে এসেছে তাদের চেকআপে এখনো সম্পন্ন হয়নি। রাত সাড়ে বারোটার সময় সে সব নাগরিক ইমিগ্রেশন ক্রস করে বাংলাদেশ ঢুকেছে। কিন্তু আমরা এয়ারপোর্টে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও আমাদের কোন চেকআপ করা হয়নি। বারবার জিজ্ঞেস করার পরে জানতে পারলাম চেকআপ যে করবে সে ডক্টর নেই।

আমি এয়ারপোর্টে মাত্র চারজন ডক্টর চেকাপ রুমে দেখতে পেয়েছি। যারা রাত সাড়ে বারোটার পরে এয়ারপোর্ট থেকে চলে যায়। আমাদের সাথে আরো অনেক বাংলাদেশী স্টুডেন্ট এবং চাইনিজ নাগরিক ছিল। অনেক্ষন অপেক্ষা করার পরে যখন কোনো সমাধান হচ্ছিল না তখন বাংলাদেশি স্টুডেন্টরা বি’ক্ষুব্ধ হয়ে যায়। কারণ আমাদের সবারই মা-বাবা এবং আত্মীয়স্বজন এয়ারপোর্ট এর বাইরে অপেক্ষা করছে।

আমরা সবাই চাচ্ছিলাম আমাদের সম্পূর্ণ মেডিকেল চেকআপ হোক এবং একটি সিস্টেম এর মধ্য দিয়ে আমরা ইমিগ্রেশন পার হয়ে দেশে ঢুকতে পারি। এবং যে চায়নিজ নাগরিক ছিল তাদের সাথে ছোট ছোট বাচ্চা ছিল তারা অনেকক্ষণ ধরে এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করে নীচের ফ্লোরে বসে ছিল বাচ্চাগুলি ফ্লোরে শুয়ে ছিল কারণ বসার ব্যবস্থাও নেই।

এখন কথা হচ্ছে সব চাইনিজ নাগরিক ভাইরাসে আক্রান্ত নয় তাহলে সঠিক চেকআপের মাধ্যমে যারা আক্রান্ত তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হোক এবং যারা সুস্থ তাদেরকে সুন্দর মতো দেশে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হোক। আমাদের জন্য একই সিস্টেম প্রযোজ্য কিন্তু এয়ারপোর্টে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও আমাদের কোন চেকআপ করা হয়নি এবং চাইনিজ নাগরিকদেরও না।

এয়ারলাইনে আসার সময় আমাদেরকে একটি হেলথ অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ফিলাপ করতে দেয়া হয়েছিল আমরা সেই ফরমটি ফিলাপ করেছিলাম।যখন এয়ারপোর্টে সবাইকে ম্যানেজ করার বিষয়টি কন্ট্রোলের বাইরে চলে গেল তখন এয়ারপোর্টে কর্মরত অফিসাররা পুলিশ এবং যারা অথরিটিতে আছে তারা আমাদের সেই ফরমটিতে ওকে চেক কথাটি লিখে আমাদের ইমিগ্রেশন ক্রস করার অনুমতি দিল।

শুধু বাংলাদেশী নাগরিকদের নয় চাইনিজ নাগরিকদের একই কথা লিখে দিলো ওকে চেক!! এক থেকে দেড়শ চাইনিজ নাগরিকদের মাঝে কেউই কি ভাইরাসে আক্রান্ত নয় উইদাউট চেকআপ সেটা কিভাবে জানা যাবে? এই হচ্ছে আমাদের এয়ারপোর্টে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা!!

মিডিয়াতে বারবার দেখানো হচ্ছে অনেক সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে যার সম্পূর্ণটাই নাটক এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা। এয়ার লাইনে কর্মরত একজন স্টাফের সাথে আমার কথা হয়েছে যে বলেছে এসব শো অফ কারণ চেকআপ করার মত সেই সরঞ্জামই আমাদের নেই !আমি লিখার সাথে কিছু ছবি এবং একটি ভিডিও দিব যেটাতে আপনারা দেখলে সব বুঝতে পারবেন।

ভিডিওটি করার সময় একজন পুলিশ অফিসার এসে আমাকে ভিডিও করতে না করেছে যা ভিডিও লাস্টে হয়তো শব্দ শুনলে আপনারা বুঝবেন।আমি অফিসার কে অত্যন্ত ভদ্রতার সহিত বলেছি যে আমাদের কেন চেকআপ করা হচ্ছে না আমি চাই আমার সঠিক চেকআপ হোক এবং আমি নিশ্চিত হয়ে আমার দেশে প্রবেশ করি।অফিসার আমার কথার জবাব না দিয়ে চলে যায়।পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরে আমরা ইমিগ্রেশন ক্রস করি উইদাউট এনি মেডিকেল চেকআপ। এবং চাইনিজ নাগরিক রাও উইদাউট এনি চেকআপ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে যার মধ্যে হয়তো কেউ না কেউ অবশ্যই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত !

এই হচ্ছে আমাদের দেশের অবস্থা এবং আমাদের এয়ারপোর্টের অবস্থা!! সবাই পোস্টটি পড়বেন এবং শেয়ার করার মাধ্যমে একজন আরেকজনকে জানাবেন যাতে করে আমাদের এয়ারপোর্টে একটু হলেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা রাখা হয়, না হয় করোনা ভাইরাস চায়নার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে বেশিদিন সময় লাগবে না আমাদের দেশে। এয়ারপোর্টে যাত্রীদের হয়রানি বন্ধ করে সঠিক সিস্টেম অবলম্বন করে যাতে চেকআপ করা হয়।