হযরত ওমর (রাঃ) এর কিছু ঘটনা

0
3357

হযরত ওমর (রাঃ) এর ঐতিহাসিক ঘটনা ১ হজরত নাফে’(র) বর্ণণা করেছেন –ইবনে ওমর(রা) একবার অসুস্থ হয়ে টাটকা মাছ খাওয়ার বাসনা হল,মদীনায় অনেক খুজাখুজির পর তা পাওয়া গেল না। কয়েকদিন পর যখন পাওয়া গেল তখন দের দিরহাম দিয়ে কিনে এনে রান্না করা হল। তারপর একটা রুটির উপর মাছটা রেখে হজরত ওমর (রা) এর সামনে পেশ করা হল ,ঠিক এই সময় এক ভিক্ষুক দরজায় এসে হাক দিল। হজরত ওমর (রা) বললেন- এই মাছ উক্ত ফকিরকে দিয়ে দেওয়ার জন্য বললেন। খাদেম আরজ করল জনাব অনেক দিন থেকে যখন মাছ খেতে আপনার মন চাইছিল ,তখন তা পাওয়া যায় নাই, এখন পাওয়ার পর দের দিরহার দিয়ে কিনে এন আপনার জন্য রান্না করেছি।

আপনি বললে আমি ভিক্ষুককে এর মুল্য দিয়ে দেই। তিনি বললেন না,এই মাছ রুটির সাথে জরিয়ে তাকে দিয়ে দাও ,অতপর খাদেম ভিক্ষুককে বলল-তুমিএটা এক দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করবে? ভিক্ষুক সম্মতি দিলে খাদেম এক দিরহামের বিনিময়ে তাকে দিয়ে আবার তার সামনে হাজির করল এবং বলল এ মাছটি আপনার জন্য এক দেরহাম দিয়ে কিনে এনেছি।

হজরত ওমর (রা) আবার বলল- ভিক্ষুকের কাছ থেকে দেরহাম ফিরত না নিয়ে এই মাছ সহ রটি টা তাকে দিয়ে এসো।

হযরত ওমর (রাঃ) এর ঐতিহাসিক ঘটনা ২

পারস্যের নিহাওয়ান্দ প্রদেশের শাসনকর্তা হরমুযান। পর পর অনেকগুলো যুদ্ধে মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়বার পর এবং অগনিত মুসলমানকে নিজ হাতে হত্যা করার পর তিনি অবশেষে মুসলমানদের হাতে বন্ধী হলেন । হরমুযান ভাবলেন , খলিফা ওমর (রাঃ) নিশ্চয়ই তার প্রানদন্ডের হুকুম দেবেন, না হয় অন্ততঃ তাকে গোলাম হিসাবে কোথাও বিক্রি করে দেবেন।

কিন্তু হযরত ওমর (রাঃ) বিশেষ কর দেওয়ার ওয়াদায় হরমুযানকে ছেড়ে দিলেন। হরমুযান নিজ রাজ্যে ফিরে ওয়াদার কথা ভুলে গেলেন। অনেক টাকা-পয়সা ও বিরাট সৈন্য সমাবেশ নিয়ে তিনি আবার মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করলেন। তুমুল যুদ্ধ শুরু হলো। অবশেষে হনমুযান পরাজিত হয়ে আবার মুসলমানদের হাতে বন্দী হলেন। তাকে হযরত ওমর (রাঃ) এর দরবারে হাজির করা হলে খলিফা জিজ্ঞেস করলেন,

: আপনিই কি কুখ্যাত নিহাওয়ান্দ শাসনকর্তা হরমুযান?

: হ্যাঁ খলিফা , আমিই নিহাওয়ান্দ এর অধিপতি হরমুযান।

: আপনিই বার বার আরবের মুসলিম শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করেছেন এবং বার বার অন্যায় যুদ্ধের কারন ঘটিয়েছেন?

: এ কথা সত্যি যে, আমি আপনার অধীনতা স্বীকার করতে রাজী হইনি, তাই বার বার যুদ্ধ করতে হয়েছে।

: কিন্তু এ কথা কি মিথ্যে যে, আপনাকে পরাজিত ও বন্দী করার পরও আপনার প্রস্তাবানুসারে সোলেহনামার শর্ত মতে আপনাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বার বার আপনি সোলেহনামার শর্ত ভংগ করেছেন এবং অন্যায় যুদ্ধে মুসলমানদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন? : এ কথা মিথ্যা নয়। : আপনি কি জানেন আপনার কি সাজা হবে?

: জানি, আমার সাজা মুত্যু এবং আমি সেজন্য প্রস্তত আছি।

: এবং এই মুহুর্তেই?

: তাও বেশ জানি।

: তা হলে আপনার যদি কোন শেষ বাসনা থাকে তা প্রকাশ করতে পারেন।

: খলিফা, মৃত্যুর আগে আমি শুধুই এক বাটি পানি খাব।

খলিফার হুকুমে বাটিতে পানি এল। হরমুযানের হাতে দেওয়া হলে খলিফা বললেন,

: আপনি সাধ মিটিয়ে পানি খেয়ে নিন।

: আমার শুধুই ভয় হয় পানি খাওয়ার সময়ই জল্লাদ না এক কোপে আমার মাথাটা দেহ থেকে আলাদা না করে দেয়।

: না হরমুযান, আপনার কোনই ভয় নেই। আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি, এই পানি খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ আপনাকে কতল করবে না ।

: খলিফা, আপনি বলেছেন এই পানি পান করা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ আমায় কতল করবে না। ( বাটির পানি মাটিতে ফেলে দিয়ে) সত্যি

এ পানি আর আমি খাচ্ছি না এবং তাই আপনার কথা মত কেউই আমাকে আর কতল করতে পারবে না।

চমৎকৃত হযরত ওমর (রাঃ) খানিক চুপ করে থেকে হেসে ফেললেন। বললেন, হরমুযান: আপনি সত্যিই একটি নয়া উপায় বের করেছেন নিজেকে রক্ষা করার জন্যে। কিন্তু ওমরও যে আপনাকে কথা দিয়েছে তার খেলাপ হবে না। আপনি আযাদ, আপনি নির্ভয়ে নিজ রাজ্যে চলে যান।

হরমুযান চলে গেলেন। অল্পদিন পরে বহু সংখ্যক লোক নিয়ে আবার এলেন।খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) এর দরবারে হাজির হয়ে বললেন,

: আমিরুল মু’মিনিন! হরমুযান আবার এসেছে।

এবার সে এসেছে বিদ্রোহীর বেশে নয়, এক নব জীবনের সন্ধানে। আপনি তাকে তার অনুচরবর্গসহ ইসলামে দীক্ষিত করুন। হরমুযান আর বলতে পারলেন না। তার কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে এলো। হযরত ওমর (রাঃ) দেখলেন, লৌহমানব হরমুযানের দু’চোখ পানিতে হলহল করছে । হরমুযানকে তিনি আলিংগন করলেন।

হযরত ওমর (রাঃ) এর ঐতিহাসিক ঘটনা ৩

সিরিয়া বিজয়ের পর যখন তিনি সে এলাকা সফর করেন, তখন সফরসঙ্গী ছিল তার এক গোলাম। আর দুজনের মধ্যে বাহন ছিল একটি মাত্র উট। কিছুক্ষণ তিনি উটে চড়তেন আর গোলাম লাগাম টানত। কিছুক্ষণ গোলাম উটে চড়ত আর তিনি লাগাম টানতেন। এভাবেই চলছিলেন পথ।

সিরিয়ার প্রবেশদ্বারে এসে গোলাম আরজ করল আপনি উপরে উঠুন, নয়তো মানুষ আমাকেই খলিফা মনে করবে। হজরত ওমর (রা.) উত্তর দিলেন, কে কী মনে করল সেটা দেখার বিষয় না। সিরিয়াল মতো এবার তুমিই উটের ওপর থাকবে। খলিফাতুল মুমিনীন এভাবেই সিরিয়া প্রবেশ করছেন।

হযরত ওমর (রাঃ) এর ঐতিহাসিক ঘটনা ৪

‘নীল নদ’ হল পৃথিবীর দীর্ঘতম নদ। দৈর্ঘ প্রায় ৬৬৬৯ কিলোমিটার। এটি পৃতিবীর একমাত্র নদ, যা দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিকে প্রবাহিত।মিসরের নীল নদ সে দেশের কৃষিকার্যের প্রধানতম উৎস, কিন্তু উক্ত নদ প্রতি বছর শুকিয়ে যেত।তখন সে দেশের অধিবাসীরা প্রাচীন প্রথানুযায়ী একটি সুন্দরী কুমারীকে নীল নদের বুকে বলি দান করতো। ফলে নীল নদ পূর্বের ন্যায় প্রবাহিত হত। এ প্রসঙ্গে বলা যায়- কালের বিবর্তনে নীল নদের পানি ব্যবস্থাপনা জিনদের নিয়ন্ত্রনে চলে যায়। তারা ফি বছর বা প্রতি বছর নীল নদের পানি আটকিয়ে কৃষককুলকে জিম্মি করে রাখতো। প্রতি বছর একটি সুন্দরী নারীকে নীল নদে বলি দানের বিনিময়ে তারা পানি ছেড়ে দিত।

পরবর্তীকালে হযরত ওমর (রাঃ) এর আমলে মিসরে ইসলামের পতাকা উড্ডীন হয়। সেখানকার প্রাদেশিক শাসনকর্তা হযরত আমর ইবনুল আস (রাঃ) এ অবৈধ কার্যের প্রতি হস্তক্ষেপ করে তা বন্ধ করে দেন। ফলে প্রতি বছরের মত নীল নদের পানি শুকিয়ে যায়।এদিকে নও মুসলিম কৃষকরা সুন্দরী নারী বলি দানের রেওয়াজ চালু রাখবে কিনা, এ ব্যাপারে হযরত আমর ইবনুল আস (রাঃ) এর অভিমত জানতে চাইলে তিনি খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) এর নিকট এক নাতিদীর্ঘ পত্র লেখেন।

পত্র পেয়ে হযরত ওমর (রাঃ) বিস্তারিত অবগত হলেন।নীল নদকে সম্বোধন করে চিঠির অপর পৃষ্ঠায় হযরত ওমর (রাঃ) উত্তর লিখলেনঃ ”ইন কুনতি তাজরী বিনাফসিকি, লা তাজরী। ওয়া ইন কুনতি তাজরী বি আমরিল্লাহ।” অর্থাৎ ” (হে মিসরের নীল দরিয়া!) যদি তুমি নিজের ইচ্ছায় প্রবাহিত হও, তাহলে তোমার পানি আমাদের প্রয়োজন নেই। তুমি তোমার পানি বুকে ধরে রাখ। আর যদি মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুম মোতাবেক প্রবাহিত হও, তবে পানি ধরে রাখার কোন অধিকার তোমার নেই।”

হযরত আমর ইবনুল আস (রাঃ) এ চিঠি নীল নদের বুকে নিক্ষেপ করা মাত্রই নীল নদ জোয়ারের পানিতে সয়লাব হয়ে গেল। আর সেই থেকে আজ পর্যন্ত নীল নদের পানি প্রবাহিত অবস্থায় বিদ্যমান। সুবহানাল্লাহ।

হযরত ওমর (রাঃ) এর ঐতিহাসিক ঘটনা ৫

ইয়া সারিয়া! আল-জাবাল। ইয়া সারিয়া! আল জাবাল। মসজিদে নববীতে জুমার খুৎবার অবস্থায় খলিফা উমর (রা.) হঠাৎ করে এরূপ অসংলগ্ন বাক্য উচ্চারণ করায় উপস্থিত সবাই অবাক বিস্মিত। খলিফা যথারীতি তাঁর খুৎবা পাঠ করতে থাকেন। ‘ইয়া সারিয়া! আল জাবাল- খুৎবার এ অপ্রাসঙ্গিক অংশটি যুগপৎভাবে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে। অন্যদিকে একই সময় ইরাকের দূরবর্তী স্থানে নেহাবন্দে যেখানে মুসলিম বাহিনীর সেনাপতি সারিয়া অদৃশ্য কণ্ঠে রহস্যময় বাক্যটি নিজ কানে শ্রবণ করেন। দুইটি বাক্য কোথা থেকে কে উচ্চারণ করেছেন, এ কথা ভেবে তিনি রীতিমত হতভম্ব হয়ে পড়েন।

খুৎবার মাঝে হঠাৎ খলিফার অদ্ভুত বাক্য উচ্চারণ কেন, কারো সাহস হচ্ছে না খলিফাকে জিজ্ঞাসা করতে। খুৎবা ও নামাজ শেষে মসজিদে উপস্থিত অনেকের মধ্যে বিষয়টি গুঞ্জন করতে থাকে। হযরত ওমর (রা.) এর সাথে অন্তরঙ্গ ছিল হযরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রা.) এর সাথে। খোলামেলা আলোচনা করতেন তিনি খলিফার সাথে। তিনি অসংকোচে খলিফাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আজ আপনি খুৎবার মধ্যে অসংলগ্নভাবে ইয়া সারিয়া! আল জাবাল (দুই কিংবা তিনবার) উচ্চারণ করলেন- কেন? জবাবে খলিফা একটি সৈন্য বাহিনীর কথা উল্লেখ করলেন। যারা নেহাবন্দে জিহাদে লিপ্ত, এ বাহিনীর সেনাপতি সারিয়া। তিনি বলেন, আমি দেখেছি সারিয়া একটি পর্বতের পাশে লড়ছেন। অথচ, তিনি জানেন না যে, সম্মুখ এবং পেছন থেকে অগ্রসর হয়ে শত্রু বাহিনী তাকে ঘিরে ফেলার উপক্রম করেছে। এ শোচনীয় অবস্থা দেখে আমি বিচলিত হয়ে পড়ি, আমি স্থির থাকতে না পেরে আওয়াজ দিতে থাকি হে সারিয়া পর্বতের সাথে মিলে যাও। হে সারিয়া পর্বতের সাথে মিলে যাও।

নেহাবন্দের রণক্ষেত্র থেকে বেশকিছুদিন পর কাসেদ মদীনায় আগমন করেন এবং যুদ্ধের বিবরণ দিতে থাকেন এবং পূর্ণ ঘটনা ব্যক্ত করেন। কাসেদ জানান, আমরা যখন যুদ্ধে লিপ্ত তখন হঠাৎ একটি অদৃশ্য কণ্ঠ শোনা গেল, ইয়া সারিয়া! আল জাবাল। আওয়াজটি শ্রবণ করা মাত্র আমরা পর্বতের সাথে মিলে যাই এবং আমাদের বিজয় সূচিত হয়। ইমাম জালাল উদ্দীন সুয়ূতী (রা.) তাঁর বিখ্যাত ‘তারিখুল খোলাফা’ গ্রন্থে ঘটনাটি বিভিন্নভাবে বর্ণনা করেছেন।

একদা দুর্ভিক্ষের সময় সর্বত্র খরা কবলিত মানুষের মধ্যে পানির জন্য হাহাকার পড়ে যায়। কোথাও বৃষ্টির নামগন্ধ নেই। হযরত উমর (রা.) এর আমল। তিনি দুর্ভিক্ষ ও খরা কবলিত দেশের এ চরম সংকটময় অবস্থা দেখে পানির জন্য আল্লাহ্র দরবারে দোয়া করলেন এবং বৃষ্টি হল, মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘব হতে লাগল।

কিছুদিন পর কতিপয় আরব বেদুইন লোক বাইর থেকে আসে এবং তারা আমীরুল মোমনীনকে জানায় যে, তারা অমুক দিন অমুক জঙ্গলে ছিল। হঠাৎ আকাশে মেঘ দেখতে পায় এবং মেঘ হতে একটি আওয়াজ ভেসে আসে। এবং আমরা শুনতে পাই ইন্নাকাল গাওসু আবা হাফছিন’ অর্থাৎ হে আবু হাফছ (উমরের কুনিয়াত ডাকনাম) আপনার জন্য বৃষ্টি নামছে।

একটি পর্বতের গর্ত হতে অগ্নি নির্গত হত এবং এ আগুন যতটুকু বিস্তার লাভ করত সব কিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিত। বহুকাল এ আগুনের ধ্বংসলীলা চলে আসছিল এবং খলিফা উমর (রা.) এর আমলেও তা অব্যাহত ছিল। তিনি খবর পেয়ে হযরত আবু মুসা আশআরী (রা.) অথবা হযরত তামীম দারীকে নির্দেশ দিলেন সেখানে গিয়ে আগুনকে তার গর্তের ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে এসো। নির্দেশ অনুযায়ী প্রেরিত সাহাবী সেখানে গমন করেন এবং আগুন তার চাদর দ্বারা হাকাতে শুরু করেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন গর্তের অভ্যন্তরে চলে যায় এবং আর কখনো প্রকাশ পায়নি। এটি ছিল খলিফার নির্দেশের অভূতপূর্ব ঘটনা।

একদা এক আজমী অনারব ব্যক্তি মদীনায় আসে এবং ফারুকে আযম (রা.) এর খোঁজ খবর নিতে থাকে। কেউ বলে দেয় যে, তিনি হয়তো কোথাও জঙ্গলে শুয়ে আছেন। আগত লোকটি জঙ্গলের দিকে গিয়ে দেখতে পায় খলিফা তলোয়ারটি মস্তকের নিচে দিয়ে মাটিতে শুয়ে আছেন। সে মনে মনে ভাবতে থাকে এই লোকটির জন্য সারা দুনিয়ায় ফেতনা হচ্ছে তাকে হত্যা করাটা সহজ একথা ভেবে সে তরবারি বের করে। হঠাৎ দেখতে পায় দুটি সিংহ তার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আজমী চিৎকার করতে থাকে। হযরত ওমর (রা.) জাগ্রত হয়ে যান এবং আজমী পুরো ঘটনা বর্ণনা করে এবং সে সেখানেই মুসলমান হয়ে যায়।

হযরত ওমর (রা.)-এর খেলাফত আমলে একবার ভূমিকম্প হয় এবং পুন: পুন: প্রকম্পিত হতে থাকে। হযরত ওমর (রা.) আল্লাহ্র হামদ ও সানা পাঠ করার পর জমিনে তার দোররা মারেন এবং বলেন স্থিত হয়ে যাও। আমি কি তোমার প্রতি ইনসাফ করিনি? একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে ভূমিকম্প বন্ধ হয়ে যায়।

হযরত উমর (রা.) এমন ব্যক্তি ছিলেন যাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী আল্লাহ তা’য়ালা পবিত্র কুরআনের বিশটির অধিক আয়াত নাযিল করেছেন তাঁর শান মান কত ঊর্ধ্বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

15 − 5 =