ফায়ার লিডার ম্যান জহির দুর্নীতি আর অবৈধ ব্যবসায় কোটি কোটি টাকার মালিক

0
694

স্টাফ রিপোর্টাঃ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স তেজগাও এর একজন ফায়ার লিডার ম্যান মো: জহিরুল ইসলাম।  সর্বসাকুল্যে মাসি বেতন  সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা । সল্প বেতনের একজন কর্মচারীর এত ভিত্ব-ভৈববে ঈর্ষান্বিত সহকর্মী আর আশ-পাশের লোকজন। জনমনে প্রশ্ন মোঃ জহিরুল ইসলাম একজন ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর লিডার মেন এর চাকরি করেন। কি করে তার এত সম্পদ? অনুসন্ধানে জানা যায়, তার সম্পদের  মধ্যে রয়েছে সারুলিয়া রানীমহল এর নিকটে অক্সফোর্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের পাশে বহুতল ববনের একটি ফ্লোর যাতে তিনটি ইউনিট (ফ্ল্যাট)। যেথানে প্রতি ফ্ল্যাটের মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা । ডগাইর মৌজার বড় ভাঙ্গায় রয়েছে ১১ কাঠার একটি প্লট যেখানে প্রতি কাঠা জমির মূল্য সর্বনিম্ন ২০ লাখ টাকা এবং পাইটটিতে রয়েছে আরও ৩ কাঠা একটি জমির মালিকানা যার মূল্য কমপক্ষে ৬০লাখ টাকা। তাছাড়া নামে বেনামে আরও অনেক সম্পদ আছে বলে জানা গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন শিল্প ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে তিনি পরিদর্শন করেন এবং লাইসেন্সের ব্যাপারে তাদেরকে চাপ প্রয়োগ করেন। এই সমস্ত লাইসেন্সের বিনিময়ে তিনি একটিবড় অংকের টাকার চাঁদাবাজি করে থাকেন।

অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, চাকরির পাশাপাশি তার রয়েছে একটি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, যার নাম সোনালী ফাইটিং। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি ডেমরা ফায়ার  স্টেশনের দেয়াল ঘেঁষে অবস্থিত। বাহির থেকে দেখে বুঝার কোন উপায় নাই এটি একটি উৎপাদনকারী / বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠানটির কোন বৈধ কাগজ-ঈত্র এবং বানিজ্যিক লাইসেন্স নাই। এই বিষয় নিয়েপ্রষ্ঠিানে বসা একজন কর্মচারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, নামমাত্র তার ছোট ভাইপ্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি নিজেই এবং সমস্ত কাগজপত্র চালান বই এ তিনি নিজেই স্বাক্ষর করে থাকেন।

তাছাড়া উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাগজপত্রে এবং ভিজিটিং কার্ড সহ বিভিন্ন জায়গায় তার মোবাইল নাম্বারটি (০১৭১১-২৪৫৪৮৬) রয়েছ । উক্ত মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি নিজে মালিক বলে পরিচয় দেন এবং মালিক হিসেবে কথা বলেন। এতে বুঝা যায় যে সোনালী ফায়ার ফাইটিং এর মালিক তিনি নিজেই।

শুধুমাত্র প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য তার ভাইকে মালিক হিসেবে দেখানো হয়। কিন্তু অপরাধ যেমন চাপা থাকেনা সেই রকমই ঘটে যায় তার বেলায় যে সমস্ত কাগজপত্রে তার মোবাইল নাম্বারটি দেওয়া হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য এবং প্রমাণিত হয় তিনি সোনালী ফায়ার ফাইটিং এর মূল মালিক। তাছাড়া সমস্ত কাগজপত্রে ও কোটেশনে তিনি নিজেই স্বাক্ষর করে থাকেন।

তার চাঁদাবাজি ও অবৈধব্যবসার ব্যাপারে আরো অনুসন্ধান চলছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত আসছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × three =