গণপূর্তের প্রকৌশলী আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ

0
839

গণপূর্তের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেছে গণপূর্তের একজন ঠিকাদার আব্দুল হাকিম। আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দুদক চেয়ারম্যানের কাছে আহ্বান জানান তিনি।

এছাড়াও তিনি আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গৃহায়ন ও গণপূত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব ও গণপূত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

অভিযোগ পত্রে আব্দুল হাকিম জানান, আব্দুল কুদ্দুসের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে ম্লান হতে চলেছে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি। একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী হয়েও তিনি একাধারে দুইটি পদ দখর করে রাখছেন। পদ টুটি হলো- গণপূর্ত ই.এম সার্কেল-৩ স্টাফ অফিসার এবং কারখানা বিভাগে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী। দুই পদে দায়িত্বে এই প্রকৌশলী ৫ শতাংশ কমিশন ছাড়া বিল দেন না। আবার কাজের সময় ঠিকাদারের সাথে যোগসাজস করে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। তার অত্যাচারে উপ-সহকারী প্রকৌশলীরা ভীষণ অতীষ্ট।

লিখিত অভিযোগে আব্দুল হাকিম জানান, আব্দুল কুদ্দুস সার্কেল অফিসে ১% টাকা ছাড়া প্রাক্কলন চেক করে না। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে ২% টাকা উঠিয়ে দেয় আব্দুল কুদ্দুস আর নিজের জন্য আদায় করে ১%। এক কোটি টাকার কাজে ১ লাখ টাকা নিয়ে প্রাক্কলন ছাড়েন তিনি। সংসদের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রাক্কলনে আব্দুল কুদ্দুসকে ১% টাকা না দিলে ভালভাবে কাজ উঠানো সম্ভব নয়।

তিনি আরো জানান, গণপূর্তের অনেক অফিসার ভাল কোনো পোস্টিং পাচ্ছে না। আর কুদ্দুসের মতো দুর্নীতিবাজ প্রকৌশল দুই পদে রয়েছে। তার ক্ষমতার উৎস কি? নাকি টাকা দিয়ে সব ম্যানেজ করে? এসব প্রশ্ন এখন সর্বমহলে। নতুন প্রধান প্রকৌশলী গণপূর্ত অধিদপ্তরকে সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য যোগ্য ও কর্মঠ উপ-সহকারী প্রকৌশলীদেরকে নতুন করে পোস্টিং দিতে শুরু করেছে। আর এই মহৎ কাজে বাঁধা দিচ্ছে আব্দুল কুদ্দুস আর তার সাঙ্গপাঙ্গরা। আব্দুল কুদ্দুস অহমিকা নিয়ে বলে বেড়াচ্ছে, তাদের কথা মতো পোস্টিং না করলে প্রধান প্রকৌশলী কিভাবে ডিপার্টমেন্ট চালায় তা দেখে নেবে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের কাছ থেকে ফোন করে চাঁদা আদায় করছে আব্দুল কুদ্দুস। পোস্টিং করে দিবে বলে এসব চাঁদা নিচ্ছে। এভাবে লুটে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তার নামে-বেনামে রয়েছে সম্পত্তির পাহাড়।

অভিযোগ পত্রে নাম প্রকাশ না করে এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী জানান, এক সময় আব্দুল কুদ্দুস ডিপ্লোমা প্রকৌশলী নেতা ছিলেন। সে কারণে ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজস করলেও টু শব্দটাও করা যায় না। করলে বদলী করে দেয়ার হুমকি দেয়। প্রতিবাদ করায় এ পর্যন্ত কয়েকজনকে বদলী করেও দিয়েছে। এজন্য সব অন্যায় মুখ বন্ধ করে সহ্য করতে হচ্ছে। অপরদিকে একই সার্কেলের ঊর্ধ্বতন অফিসে স্টাফ অফিসার হিসেবে কাজ করার জন্য তার বিরুদ্ধে কোন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মুখ খুলতেও সাহস পায় না।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × 1 =