নিজের চোখে আমার ছাত্রীদের এমন কাজ দেখে গর্বে বুকটা ভরে গেছে

1
601

জানা যায়,  মা অসুস্থ থাকায় দুই সপ্তাহ স্কুলে আসতে পারেনি অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মহিমা ও মাকসুদা দুই বোন। তাদের মায়ের নাম ইয়াসমিন আক্তার (৪৫), বাবা নেই। শুরুতে মাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করানো হয়েছে। এরপর আরেকটু ভালো চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু টাকার অভাবে তা আর সম্ভব হয়নি। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে মহিমা ও মাকসুদা।

শিক্ষার্থীদের মা ইয়াসমিন দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকার ইউনিলায়েন্স কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তার উপার্জনেই সংসার ও মেয়েদের পড়ালেখা চলত তাদের। কিন্তু হঠাৎ তাদের মা যকৃতের অসুখে পড়েন। এরই মধ্যে বন্ধও হয়ে যায় কারখানাটি। তাদের মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে তারা।

ওই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তাহমিনা, হুমায়রা ও সাদিয়া জানায়, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে মহিমা ও মাকসুদা বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল না। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি জেনেছেন তারা। পরে সহপাঠীরা সবাই মিলে ওই উদ্যোগ নেয়।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘টাকার অঙ্ক যাই হোক, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এ উদ্যোগের কথা জেনে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। শিক্ষার্থীদের টিফিনের খরচ বাঁচিয়ে জমানো টাকা তুলে দেয়ার সময় একজন শিক্ষককে নিয়ে আমিও গিয়েছিলাম সেখানে। নিজের চোখে আমার ছাত্রীদের এমন কাজ দেখে গর্বে বুকটা ভরে গেছে।’

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

13 − 9 =