কিশোরগঞ্জে পৈতৃক সম্পত্তির জের ধরে মিঠু ক্যাডার বাহিনীর হাতে পরিকল্পিতভাবে এনামুলকে পিটিয়ে হত্যা???

0
763

অপরাধ বিচিত্রা : নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের কাঠগাড়ী (পন্ডিত পাড়া) গ্রামের এনামুল হক (৫০)একজন অতি হতদরিদ্র পেশায় পান ব্যবসায়ী। পাশের ০৪ নং বাহাগিলী ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ডের উত্তর বাহাগিলি ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের পৈতৃক সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে ক্যাডার বাহিনী  আবুল কালাম আজাদ ওরফে মিঠু (৪০) আবেদুল ইসলাম (৪০) আশেক আলী (৩০) জহুরুল শেখ (৬৫) মতিউর রহমান (৬৫) ইন্তাজ মিয়া (৫০) সাদেকুল ইসলাম (৩২) আশরাফুল (২৫) গং সহ গত ১১-০১-২০২০ ইং খ্রিস্টাব্দে আনুমানিক সকাল ০৮.০০ টার সময় সাদিকুল ইসলাম এর বাড়ির সামনে ঝগড়া ঝাটির সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি হয়ে থাকে। এরই জের ধরে গত ১১-০১-২০২০ ইং খ্রিস্টাব্দে ১০.০০ টার সময় সকলের পূর্বপরিকল্পিত ভাবে যোগসাজশে অতর্কিত আক্রমণ করে, হাতে থাকা লাঠিসোটা বল্লম ধারালো ছোরা নিয়ে অবৈধভাবে এসে মতিয়ার ও কামরুজ্জামান ওরফে বাবু (৪৩) গং এর হুকুমে এনামুলকে বেধড়ক এলোপাতাড়িভাবে ডাংমার করে। একপর্যায়ে মতিয়ার ও কামরুজ্জামান ওরফে বাবু বলে ওই শালাকে জানে মারিয়া ফেলো। পরবর্তীতে আবুল কালাম আজাদ ওরফে মিঠু ক্যাডার বাহিনী হেলমেট পড়ে এসে তাহার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দাঁড়া এনামুলকে হত্যা করার জন্য মাথায় সজোরে চোট মারে মারাত্মকভাবে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।

এনামুলের আত্ম চিৎকার শুনে তাহার চাচাতো ভাই রহিবুল ও তার ভাতিজা হানিফ বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে সাদিকুল ও ইছা লাঠি দ্বারা হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করলে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। তাৎক্ষণিক তাহাদের চিৎকার শুনে একরামুল ও আয়না বেগম এগিয়ে আসলে তাহাদেরকেও মিঠু ক্যাডার বাহিনী এলোপাতাড়িভাবে ডাংমার করে রক্তাক্ত জখম করে।

এনামুলের স্ত্রী মোছা: সাহেরা খাতুন অপরাধ বিচিত্রা কে অভিযোগ করে বলেন এই ক্যাডার বাহিনীর মূল হোতা কামরুজ্জামান ওরফে বাবু (৪৩) ও সেকেন্দার আলী তারা এজাহার ভুক্ত আসামী হওয়ার কথা? বাবু ও সেকেন্দার বলে আমরা খুব প্রভাবশালী আমাদেরকে কেউ কিছু করতে পারবে না কারণ আমাদের পকেটে থানাপুলিশ আছে।

অতঃপর তাহাদেরকে অপরিচিত অটোতে করে কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল এ ভর্তি করায়। একপর্যায়ে এনামুল ও রহিবুল এর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে রিপোর্ট করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়।

কিন্তু এনামুল হকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গত ১২-০১-২০২০ইং খ্রিস্টাব্দে আনুমানিক সকাল ০৮.১৫ ঘটিকার সময় চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যায়। এ বিষয়ে মৃত এনামুল হকের স্ত্রী মোছা: সাহেরা খাতুন বিষয়টি থানায় অবগত করান এবং বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে থানার তদন্ত কর্মকর্তা জনাব মোঃ মফিজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে ৪৬টি লাঠি, একটি ছোরা ও একটি হেলমেট জব্দ করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।

এমতাবস্থায় এলাকাবাসী ও মোছা: সাহেরা খাতুন বলেন ইছা মাহমুদ তার নিজের চৌচালা টিনের গোয়াল ঘরে নিজেই পেট্রোল ছিটাইয়া দিয়ে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং ইছা মাহমুদ এর ছেলে আশরাফুল কে বাদী করে একটি মিথ্যা মামলা অনায়ন করেন। চোখ রাখুন পরবর্তী সংখ্যায়………………..

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

nineteen − 12 =