দুর্নীতির “বরপুত্র” খ্যাত ওসি প্রণব এর দুর্নীতি দেখবে কে

0
846

অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক: দুর্নীতির “বরপুত্র” হিসেবে খ্যাতি পাওয়া সি.এম.পি’র (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ)  আওতাধীন খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী সম্প্রতি সি.এম.পি (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ) কমিশনার মাহবুবুর রহমান কর্তৃক পুরষ্কৃত হয়েছেন বিশেষ অবদান রাখার জন্য। একজন দুর্নীতির “বরপুত্র” ওসি প্রণবের সি.এম.পি (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ) কমিশনার কর্তৃক পুরষ্কৃত হওয়ায় খোদ সি.এম.পি সহ জনমনে ব্যাপক প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। দুর্নীতির এন্তার অভিযোগ থাকার পরও তার পুরষ্কার প্রাপ্তি প্রকারন্তে সি.এম.পির (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ) ভিতরে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে মনে করছে দুর্নীতি বিরোধী সচেতন মহল। শুধু সচেতন মহলেই নয়, খোদ সি.এম.পি’র (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ) উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও নাখোশ এই ঘটনায়। কিন্তু নিজেদের অস্তিত্বের সার্থে তারা নাম উদ্বৃত করে কিছু বলতে রাজি হননি “অপরাধ বিচিত্রার” কাছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সি.এম.পির এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “যেখানে খোদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন,

সেখানে একজন ওসি যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির এন্তার অভিযোগ থাকা স্বত্ত্বেও পুরষ্কারপ্রাপ্ত হয় এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় জাতির জন্য আর কিছুই হতে পারে না।” শুধু সি.এম.পি (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ) নয় খোদ জনমনেও ব্যাপক প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে এই পুরষ্কার প্রাপ্তিতে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খুলশী এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “ওসি প্রণবের পুরষ্কারপ্রাপ্তি প্রকারন্তে খুলশী এলাকার জনগণের সাথে তামাশার নামন্তর। আম জনতা আর কত তামাশার শিকার হবে এই প্রশ্ন খুলশী এলাকার শান্তিপ্রীয় জনগনের”। সি.এম.পি (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ) তে যে দুর্নীতির ভূত আছর করেছে তার বড় প্রমাণ হল ওসি প্রণবের পুরষ্কার প্রাপ্তি।

সি.এম.পির (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ) অভ্যন্তরে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসা এই দুর্নীতির “ভূতের আছর” কে দূর করবে এই প্রশ্ন এখন সাধারন চট্টগ্রামবাসীর। তার বিরুদ্ধে জনসেবার পরিবর্তে জন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে অসংখ্য। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি থানায় মামলা করতে গেলে অযথা হয়রানি করেন এবং মামলা না নিয়ে ফেরত যেতে বাধ্য করেন এমন অভিযোগ রয়েছে এই ওসির বিরুদ্ধে।

আবার পর্যাপ্ত টাকা দিলে মামলা নথিভুক্ত করা হয়। অর্থাৎ ভুক্তভোগীদের মামলার আড়ালে তিনি ব্যবসা করে যাচ্ছেন। থানা এলাকায় ছিনতাই, মাদক, নারী পাচার, পতিতাবৃত্তি ও চাঁদাবাজীসহ সকল অপরাধ চলে ওসি প্রণব এর শেল্টারে।

খুলশী থানাধীন হাবিব লাইনস্থ মায়াকুঞ্জ আলম গেস্ট হাউসে আবাসিক ভবনের ১ তলা হতে ৫ ম তলা পর্যন্ত মানব পাচার ও পতিতাবৃত্তির একটি নেটওয়ার্ক দীর্ঘদিন যাবত তৎপরতা চালাচ্ছিল। অভিযোগ রয়েছে উক্ত স্পট থেকে ওসি পণব প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা নিতেন।

এলাকা সূত্রে আরও জানা গেছে এই ব্যপারে ওসিকে সংবাদ দিলে সংবাদ দাতার সাথে অসৌজন্যমুলক আচরন করতেন। অবশেষে ডিবি-উত্তর, সিএমপি চট্টগ্রাম উক্ত গেস্ট হাউসে গভীর রাতে হানা দিয়ে মানব পাচার ও পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে খুলশী থানায় এজাহার দায়ের করেন ডিবির এসআই (রিস্ত্র) মো: রবিউল হক।

এজাহার নং ১৫ তারিখ ১২-০৭ ২০১৯ ধারা মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইন ২০১২ এর ১১/১২ ধারা। ডিবি পুলিশ দালাল ও পতিাবৃত্তির সাথে জড়িত প্রায় পচিশজনকে গ্রপ্তার করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে খুলশী থানার নিকটে এতবড় সংঘবদ্ধ একটি চক্র অপকর্ম করে যাচ্ছে অথচ ওসির কোন নিয়ন্ত্র নেই কেন? থানা থাকতে ডিবি পুলিশ কেন যেতে হলো?

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × 2 =