এএসপি পরিচয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ

0
496

পুলিশের এএসপি পরিচয়ে ফেসবুকে যোগাযোগের সূত্র ধরে সিলেট থেকে এক তরুণীকে বরিশালের আবাসিক হোটেলে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বরিশালের বিমানবন্দর থানায় মামলা করেছেন বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণী। ধর্ষিতা সিলেটের একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

নির্যাতিতা তরুণী জানান, ২০১৮ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকের মাধ্যমে রাসেল নামের ঐ ব্যক্তি পুলিশের এএসপি পরিচয় দিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করেন। এর সূত্র ধরে প্রায়ই ফেসবুকে এবং মুঠোফোনে কথাবার্তা চলে তাদের। এর এক পর্যায়ে ৮ মাসের ব্যবধানে ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ওই তরুণীকে সিলেট থেকে বিয়ের প্রলোভনে বরিশালে নিয়ে আসেন।  এরপর নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকার আবাসিক হোটেল শরীফে রেখে ঐ তরুণীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এভাবে একাধিকবার বরিশালে যাতায়াতের পর ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বিষয়টি রাসেলকে জানালে সে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় বলেও ঐ তরুণী জানান।

পরে ঐ তরুণী রাসেলকে খুঁজে বের করতে গত ২৭ জানুয়ারি বরিশালের পুলিশ কমিশনারের কাছে যান এবং রাসেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে এ ঘটনায় গত ২৮ জানুয়ারি নগরীর বিমানবন্দর থানায় মামলা রুজু হয়। পুলিশ তরুণীকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে সেভ হোমে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় প্রতারককে খুঁজে বের করে তার গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন ওই তরুণী।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, ওই তরুণীর অভিযোগ তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। সে পুলিশ নয়। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। শিঘ্রই তাকে গ্রেফতার করে আইনের হাতে সোপর্দ করার চেষ্টা চলছে বলেও পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন। ওই তরুণী সিলেটের একটি স্কুলের ১০ শ্রেণির ছাত্রী। নিজের ভুল বুঝতে পেরে পরিবারের কাছে ফিরতে চায় ওই তরুণী।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

19 − 15 =