অন্য কোনো কাজ বাদ পড়লেও মায়ের কাছে যাওয়া ভুলে যান না তিনি

0
522

মুকেশ আম্বানি ভারতের বর্তমান শীর্ষ ধনী। তিনি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনীদের মধ্যে একজন। সম্প্রতি নিজের মেয়ের বিয়েতে ব্যয় করেছেন ৭০০ কোটি টাকা। খ্যাতিমান এই শিল্পপতির প্রতিদিন কীভাবে কাটান, তা নিয়ে মানুষের অনেক আগ্রহ রয়েছে। মুকেশ কীভাবে দিন কাটান বা তার প্রতিদিনের কর্মতালিকায় কী কী বিষয় থাকে, তা নিয়ে সম্প্রতি সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

জয়পুরে মুকেশ আম্বানি বিলাসবহুল বাড়িটির নাম ‘অ্যান্টিলা’। এই অ্যান্টিলা থেকে তার অফিসের দূরত্ব ৩০ মিনিটেরও কম সময়ের। এখানেই থানে পুরো আম্বানি পরিবার। মুকেশ আম্বানি ভোর থাকতে থাকতেই ঘুম থেকে উঠে পড়েন। সাধারণত তিনি ভোর ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যই নিদ্রা শেষ করেন। বাথরুমের কাজ শেষে ৩০ মিনিটের মধ্যে চলে যান অ্যান্টিলার দ্বিতীয়তলায়। এই ফ্লোরে রয়েছে তার জিমনেশিয়াম। সেখানেই তিনি ব্যাম করেন।

তবে শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, রীতিমতো ঘাম ঝরান দেহ থেকে। সকাল ৮টার মধ্যে গোসল সেরে সকালের নাশতার প্রস্তুতি শেষ করেন। ৮টার দিকে চলে যান ১৯ তলায়। সেখানে পরিবার নিয়ে সকালের নাশতা সারেন ঘণ্টাখানেক সময় নিয়ে। তার সকালের নাশতায় পেঁপের জুস বাধ্যতামূলক। ৯টার মধ্যে নাশতা সেরে অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন আম্বানি। অ্যান্টালির ১৪ তলায় থাকে তার অফিসের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। ১৪ তলার তার ব্যক্তিগত অফিস হিসেবে ব্যবহার হয়।

অফিসে যাওয়ার সব প্রস্তুতি সেরে ১০টা ১০ মিনিটের দিকে চলে যান মায়ের কাছে। মায়ের কাছ থেকে আশীর্বাদ নিয়ে ঘর ছাড়েন তিনি। অন্য কোনো কাজ বাদ পড়লেও এই কাজটি কখনো বাদ পড়তে দেন না তিনি। মায়ের কাছ থেকে দোয়া ১৬ তলায় স্ত্রী আর ১৩ তলায় সন্তানদের সঙ্গে দেখা করে অফিসের উদ্দেশে রওনা হন। মুকেশ মাঝে মাঝে নিজেই গাড়ি চালান। অফিস বেরি দূরে না হওয়ায় সাড়ে ১১টার মধ্যে তিনি অফিসে পৌঁছে যান।

অফিসে আগে থেকেই তার কার্জতালিকা প্রস্তুত থাকে। ব্যক্তিগত সহকারীর কর্মতালিকা দিয়ে সেটি দেখে সে অনুযায়ী কাজ শুরু করেন মুকেশ। সকাল ১১টা থেকে তিনি অফিসের কাজ শুরু করেন এবং শেষ করেন রাত ৮টায়। ৮টার পরপরই তিনি অফিস থেকে বাসার উদ্দেশে বের হন। ৯টার মধ্যে বাসায় ফিরে ১৫ তলায় গিয়ে অফিসের পোশাক ছাড়েন। বাসায় ফিরে তিনি সময় নষ্ট না করে ৯টার পরপরই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খাবারের টেবিলে চলে যান।

রাত ‌১০টার মধ্যে খাবার সেরে ফেলেন। মুকেশ আম্বানির রাতের খাদ্য তালিকায় থাকে চাপাটি, ভাত, ডাল, সবজি, সালাদ। রাতের খাবার শেষ করে ১ ঘণ্টার মতো সময় তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটান। ১১টার দিকে অন্যরা নিদ্রায় চলে যান। এরপর মুকেশ আরও ঘণ্টাখানেক ব্যক্তিগত কাজ সারেন। ১২টার দিকে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × two =