আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রাক্কালে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) জোয়ান ওয়াগনার ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাংলা ভাষার ওয়েবসাইট চালু করলেন। এটি দূতাবাসের ইংরেজি ওয়েবসাইটটির অনেকটাইঅনুরূপ। বাংলা ওয়েবসাইটটিবাংলাদেশ এবং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সব বাংলা ভাষাভাষীর জন্যনানা ধরনের বিষয়বস্তু পরিবেশন করবে।
দূতাবাসকে বাংলাদেশিদেরসঙ্গে আরও কার্যকরভাবে যোগাযোগ এবং যুক্তরাষ্ট্র এবংবাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও প্রসারিত করতে সহায়তা করবেএটি।
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ওয়েবসাইটই নিয়মিত আপডেট করা হবে যাতে দুই ভাষার মানুষের জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ, যুক্তরাষ্ট্রভ্রমণের ভিসা এবং শিক্ষাগত ও পেশাগত এক্সচেঞ্জ কর্মসূচিসহ অনেক বিষয়ে তথ্য পাওয়া নিশ্চিত হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, মিডিয়া নোট ওপ্রেস বিবৃতি, সংবাদ বিষয়ক অনুষ্ঠান, নিরাপত্তা এবং জরুরি বার্তা, বক্তৃতা ও মিডিয়া সাক্ষাৎকার এবং অন্যান্য বার্তা ইংরেজি এবং বাংলা উভয় ভাষাতেই পোস্ট করা অব্যাহত থাকবে।
বাংলা ওয়েবসাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিডিএ ওয়াগনার বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বাংলাদেশে এবং বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশিদের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে।বাংলাদেশের ১৯৫২ সালের ভাষাআন্দোলনই জাতিসংঘকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রবর্তনে উৎসাহিত করে। অতীতে সংঘটিত এই ঐতিহাসিক বাংলাভাষা আন্দোলনকে শ্রদ্ধা জানাতে দূতাবাসের পক্ষে এর নতুন বাংলাওয়েবসাইট উদ্বোধন করা আমার জন্য সম্মান এবং আনন্দের!’
মিটিং এর কারণে বাংলাদেশেরবাইরে থাকায় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে না পারা রাষ্ট্রদূত মিলার নতুন ওয়েবসাইট সম্পর্কে একটি বার্তা পাঠান। এতে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রাক্কালে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের নতুন বাংলা ভাষার ওয়েবসাইটেরউদ্বোধন ঘোষণা করতে পেরে আমি গর্বিত। আমরা আশা করি, এই অসাধারণ জাতি যে ভাষাটির মর্যাদা রক্ষার জন্য বীরত্বের সঙ্গে লড়েছে সেই বাংলা ভাষার নতুনওয়েবসাইট বাংলাদেশ ওযুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করবে। ওয়েবসাইটটিবাংলাদেশ এবং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ, ভিসা বিষয়ক তথ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক পরিষেবা; যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়ন এবং সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং পেশাগত এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামসহ অনেক কিছু সম্পর্কে পড়া ও আলোচনারসুযোগ করে দেবে।’
ঢাকা দূতাবাসের বাংলা ওয়েবসাইটটি চালু করা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা, সংলাপ এবং পারস্পরিক সমঝোতাকে এগিয়ে নেওয়া এবং একটি স্বাধীন ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলনিশ্চিত করতে একটি শক্তিশালী অংশীদারত্ব গড়ে তোলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অনেক উদ্যোগের একটি।