এদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হো : অপু উকিল

0
1022

অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) শামীমা নূর পাপিয়ার কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল।রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পাপিয়াকে বহিষ্কার করে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে অপু এ দাবি করেন।

সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘এই সকল সমাজের কীটদের অপকর্মের দায় সংগঠন কখনোই নেবে না। এদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হোক।’

যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাজমা আকতার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ২২ (ক) উপধারা অনুযায়ী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে পাপিয়াকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো।

এর আগে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-১।

গ্রেফতার অন্যরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।

পরে পাপিয়া ও সুমন দম্পতির ফার্মগেটের বাসা থেকে জব্দ করা হয় বিদেশি অস্ত্র-গুলি ও ম্যাগজিন। জব্দ করা হয় বিদেশি মদ ও বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থও।

তাদের ধরার পর সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে র‍্যাব। সেখানে র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল জানান, বৈধ আয় অনুযায়ী পাপিয়ার বার্ষিক আয় মাত্র ১৯ লাখ টাকা। অথচ রাজধানীর অভিজাত একটি হোটেলে (ওয়েস্টিন) শুধু গত তিন মাসে তিনি বিল পরিশোধ করেছেন প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। নারী-সংক্রান্ত অপকর্ম ছাড়াও অস্ত্র-মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন তদবির বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত পাপিয়া।

এছাড়া নরসিংদী এলাকায় চাঁদাবাজির জন্য তার একটি ক্যাডার বাহিনী রয়েছে। স্বামীর সহযোগিতায় অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি নরসিংদী ও ঢাকায় একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়িসহ বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

8 + twenty =