এমন ঘটনা যাতে পাকিস্তানে না ঘটে : ইমরান খান

0
458

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে দিল্লিতে টানা তিনদিন ধরে সংঘর্ষ চলার পর বুধবার মুখ খুলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লিতে সংঘর্ষ ছেড়ে ‘শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার’ আহ্বান জানান মোদি। তবে এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দিল্লির চলমান সংঘর্ষ নিয়ে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

টুইটারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, গত বছর জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনেই এমন ধরনের ঘটনার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন তিনি। তার অভিযোগ, দিল্লির চলমান সংঘর্ষের ঘটনা ও এর প্রেক্ষাপটের সূত্রপাত হয়েছিল গত বছর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করার মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করার পর। টুইটে অবশ্য সরাসরি দিল্লির নাম উল্লেখ করেননি ইমরান খান।

বুধবার টুইটে ইমরান লিখেছেন,‘ভারত-অধিকৃত কাশ্মিরের ঘটনার পরেই আমি গত বছর জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বলেছিলাম, বোতল থেকে দৈত্যটা বেরিয়ে পড়ল। এ বার রক্তপাত আরো বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিলাম। যার সূত্রপাত হয়েছিল কাশ্মিরে। ভারতে থাকা ২০ কোটি মুসলিম এখন লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। এটা রুখতে গোটা বিশ্বকে এবার এগিয়ে আসতে হবে।’

সিএএ-বিরোধী ও সিএএ-পন্থীদের সংঘর্ষে গত চার দিন ধরে অগ্নিগর্ভ দিল্লি। অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এখন পর্যন্ত।

এমন ঘটনা যাতে পাকিস্তানে না ঘটে, টুইটে সেই আহ্বানও জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন,‘আমি সকলকে সতর্ক করে দিতে চাই, পাকিস্তানে যারা অ-মুসলিম ও তাদের ধর্মস্থানের উপর হামলা করতে উদ্যত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের দেশে সংখ্যালঘুরা অন্য সবার মতোই নাগরিকত্বের সমান অধিকারই পান।’

উল্লেখ্য, ১৪৪ ধারা, কারফিউ জারি করেও দিল্লিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে দিল্লি পুলিশের ভূমিকায়। দিল্লির আইনশৃঙ্খলার ভার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের উপর। আর সেই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে অমিত শাহ। সংঘর্ষ এত বড় আকার নেয়ার জন্য অমিত শাহকেই নিশানা করে সোনিয়া গান্ধী বুধবার বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ গোটা কেন্দ্রীয় সরকারই এর জন্য দায়ী। অমিত শাহের পদত্যাগও দাবি করেছে কংগ্রেস।

পাশাপাশি দিল্লির সংঘর্ষের জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। তিনি বলেন,‘এই সংঘর্ষের পিছনে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রয়েছে। দিল্লির ভোটের সময় দেশবাসী সেটা দেখেছে। অনেক বিজেপি নেতা উস্কানিমূলক মন্তব্য করে ভয় ও হিংসার পরিবেশ তৈরি করেছে। এমনকি, গত রোববারও এক বিজেপি নেতা একই রকম মন্তব্য করেছেন।’।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

ten − four =