ক্যান্সার চিকিৎসায় মাইলফলক বাংলাদেশ

1
696

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক শিশু ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগ ওয়ার্ল্ড চাইল্ড ক্যান্সার এর সহযোগিতায় বিভিন্ন কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। বর্ণাঢ্য র‌্যালীর মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক কনক কান্তি বড়–য়া র‌্যালির নেতৃত্ব দেন। সত্তর অধিক ক্যান্সার জয়ী শিশুদের সরব উপস্থিতি র‌্যালিটিকে প্রাণবন্ত করে তোলে। র‌্যালির শুরুতে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক কনক কান্তি বড়–য়া, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক সাহানা আক্তার রহমান, প্রো-ভিসি (গবেষণা উন্নয়ন) অধ্যাপক শহিদুল্লাহ সিকদার, ট্রেজারার অধ্যাপক আতিকুর রহমান, শিশু অনুষদের ডীন অধ্যাপক চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: মো: আনোয়ারুল করিম।

এরপর ক্যান্সার জয়ী শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরষ্কার বিতরণ এবং আলোচনা সভার অনুষ্ঠান নিয়ে ২য় পর্যায়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এই পর্যায়ে শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক সাহানা আক্তার রহমান, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: মো: আনোয়ারুল করিম।

সত্তর অধিক ক্যান্সার জয়ী শিশুদের কবিতা আবৃত্তি, গান, গজল, নাচ সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিবসটিকে আকর্ষণীয় করে তুলে। অভিভাবকরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু ক্যান্সার চিকিৎসার মান এবং আন্তরিকতা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

তারা আরো বলেন যে, ভালো মানের চিকিৎসা এখানে পাওয়া সম্ভব, এর জন্য বিদেশে যাওয়ার দরকার নেই এবং এখানে চিকিৎসার মাধ্যমে শিশুরা ক্যান্সার থেকে নিরাময় হচ্ছে। শিশু অনুষদের ডীন অধ্যাপক চৌধুরী ইয়াকুব জামাল বলেন, সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে আসায় সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও অসংক্রমক ব্যাধি যেমন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এর মতো ক্যান্সারের চিকিৎসার গুরুত্ব বাড়ছে।

আশার কথা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগে শিশু ক্যান্সার রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার মানসম্মত ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠেছে। প্রতিটি শিশুর রোগ নির্ণয়ের পরও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয় চরম সফলতা পাওয়ার জন্য।

তাদের নিরন্তর এই সংগ্রামের ফল এ ক্যান্সার জয়ী শিশুরা এবং এই কান্সারজয়ী শিশুরাই পরবর্তী ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের ক্যান্সার জয়ে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক সাহানা আক্তার রহমান বলেন যে, শিশু ক্যান্সার চিকিৎসার উন্নয়নে অধিকতর সহযোগিতার বিষয়টি গুরুত্ব দেন এবং উন্নত শিশু ক্যান্সার চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা: মো: আনোয়ারুল করিম শিশু ক্যান্সার চিকিৎসার এই সাফল্যকে মুজিব বর্ষের আলোকে উৎসর্গ করে বক্তব্য রাখেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু ক্যান্সার চিকিৎসার অগ্রগতির বিষয়টি সকলকে অবহিত করেন।

তিনি আন্তর্জাতিক শিশু ক্যান্সার দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় “ঘড় ঈযরষফ ঝযড়ঁষফ উরব ড়ভ ঈধহপবৎ-ঈঁৎব ভড়ৎ গড়ৎব ধহফ ঈধৎব ভড়ৎ অষষ” এর সাথে একাতœতা ঘোষণা করেন। তিনি উন্নতর চিকিৎসার জন্য প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরেন এবং এর সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষন করেন।

তিনি অধিকতর ক্যান্সার রোগীর সনাক্তকরণ, চিকিৎসা প্রদান এবং ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য অঙ্গিকার ব্যক্ত করে বক্তব্য শেষ করেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

12 + nine =