তৃণমূল নেতাদের আত্মত্যাগ-১ রাজধানীর আদাবরে তৃণমূল কর্মীদের জন্য সত্যের জয় পেল সহোদর দুই কাউন্সিলর আওয়ামীলীগের তৃণমূলের শাহিনের আত্মত্যাগ। নির্বাচনে নিজের পরিশ্রমের টাকা খরচ করে কর্মীদের নিয়ে দলীয় প্রার্থীকে জিতিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো মো: শাহিন

0
940

এস ডি বাবু : সদ্য ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেও রাজধানী উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩০নং ওয়ার্ডে তৃণমূল নেতাদের মন জয় করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন সহোদর দুই ভাই আলহাজ্ব আবুল হাসেম (হাসু) এবং আলহাজ্ব আবুল কাশেম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন বক্তব্যে সব সময় বলে থাকেন যে-তৃণমূলই দলের মূল শক্তি। এ কথার প্রমাণ পাওয়া যায় রাজধানী উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩০নং ওয়ার্ডে। আলহাজ্ব আবুল হাসেম (হাসু) সাধারন মানুষের মনের আজীবনের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। বড় ভাই আলহাজ্ব আবুল কাশেম পাঁচ বছরের জন্য কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০১ইং সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পরে বিএনপি-জামায়েত সেদিন প্রতিটি আওয়ামীলীগ কর্মীদের উপর যেভাবে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছিল তা ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবে। ঐ সময় বিএনপি’র দেয়া সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বড়-বড়, বাঘা-বাঘা নেতারা নির্বাচনে পরাজিত হলেও ৩০নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন আলহাজ্ব আবুল হাসেম (হাসু)।

সে সময় তিনি কাউন্সিলর হিসাবে নির্বাচিত হলেও বিএনপি এবং জামায়াতের কারণে তিনি রাস্তায় বের হতে পারেননি। সেদিনও তৃণমূলের কর্মীরা তাঁকে ভোটে জিতিয়ে এনেছিল। ২০০৮ইং সনে আওয়ামীলীগের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে একটি কু-চক্রি মহলের কারণে তিনি দলীয় মনোনয়ন পাননি।

ঐ সময় একমাত্র তৃণমূল পর্যায়ের কর্মী এবং সাধারণ মানুষদের বিক্ষোভের কারণে আলহাজ্ব আবুল হাসেম (হাসু) সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। এবারও তিনি সাবেক এক এমপি’র রোষানলে পড়ে কাউন্সিলর অফিসে একদিনও বসতে পারেননি। আশ্চর্য্যরে বিষয়, বর্তমান ২০২০ইং সনের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কিছুদিন আগেই বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেল ও সংবাদপত্রে এই সহোদর দুই ভাইকে নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করতে থাকে।

২০২০ইং সনে দলীয় মনোনয়ন পেলেও একটি  কু-চক্রি মহলের রোষানলে পড়ে তিনি নির্বাচন করতে পারেননি। ফলে আলহাজ্ব আবুল হাসেম (হাসু) পক্ষ হয়ে এবারও তৃণমূল কর্মীরা ক্ষোভে রাস্তায় নেমে মিটিং ও মিছিল করতে থাকে। আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এ ব্যাপারে হতবাক হলেও তার বড় ভাই বিশিষ্ট সমাজ সেবক, স্বনামধন্য ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আবুল কাশেমকে দলীয় মনোনয়ন দিলে তিনি জনগণের বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন।

এই সহোদর দুই ভাইয়ের মূল শক্তি হলো-আওয়ামীলীগের তৃণমূলের কর্মী, সাধারণ জনগণ এবং মেহনতি খেটে খাওয়া মানুষগুলো। বিশেষ করে মো: শাহিন একজন নিবেদিত দলীয় কর্মী, খেটে খাওয়া পরিশ্রমী মানুষ হয়েও তিনি দল থেকে কোন টাকা না নিয়ে নিজের কর্জের অর্জিত টাকা দলের পিছনে খরচ করেছেন।

এই প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে মো: শাহিন স্পষ্টভাবে বলেন-আদাবরে আলহাজ্ব আবুল হাসেম (হাসু) এর জন্য আমি স্বেচ্ছায় জীবন দিতে প্রস্তুত। আপনি খবর নিয়ে দেখেন যে, আদাবরে আমার মত হাজার-হাজার কর্মী আমার মতের সাথে একমত পোষন করবে-ইনশাল্লাহ। আমাদের নেতা আলহাজ্ব আবুল হাসেম (হাসু) কু-চক্রী মহলের কারণে ১৮ বছর ঘর থেকেই বের হতে পারেননি।

এই প্রতিবেদকের নিকট মো: শাহিন  প্রশ্ন করেন-তাহলে কিভাবে সে অপকর্মের সাথে জড়িত ? সাধারণ জনগণের প্রশ্ন-ঠিক নির্বাচনের আগ মূহুর্তে বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেল এবং সংবাদপত্রে কেন এই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলানো হলো-এর রহস্য কি ? অপরাধ বিচিত্রা এই রহস্যের অনুসন্ধান করছে। আগামী সংখ্যায় বিস্তারিত তুলে ধরবে অপরাধ বিচিত্র।……….চলবে। 

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eighteen + four =