Site icon Aparadh Bichitra

কাউন্সিলর যুবরাজের অপর্কমের শেষ কোথায়?

ঢাকা সিটি করর্পোরেশনের ৫৪ নম্বার ওয়ার্ডের নব্য কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজের অপকর্মের শেষ নেই। এলাকায় নিজের প্রভাব খাঁটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন যুবরাজও তার  সিন্ডিকেট।৫৪নং ওয়ার্ডের গার্মেন্টস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেদারছে চাঁদাবাজী করে যাচ্ছে  তার ক্যাডার বাহিনী। গত মাসের ২৪ তারিখে ভাই ভাই এমব্রয়ডারী কারখানা থেকে চাঁদা চেয়ে থাকে যুবরাজের সেকেন্ড ইন কমান্ড নাছির তা দিতে অশিকার করলে নেমে আসে নির্যাতনের ঢল।

এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী আলী ও নজরুল বলেন,আমি কাউন্সিলকে মুঠোফোনে বিষয়টি বললে তার লোকজন এসে আমার উপর হামলা করেন সোহেল শেখের বাড়ীর সামনে যার সিসি টিবি ফাইল ফুটেজ রয়েছে।

হামলাকারী নাসির বিএনপির শ্রমিক দলের কমিটিতে রয়েছেন বলে জানান বিএনপির এক নেতা। ঐ কমিটি এখনো চলমান রয়েছে বলে জানা যায়। 

স্থানীয় নেতা কর্মিরা জানান , যুবরাজ কাউন্সিল হওয়ার পর থেকে জামাত বিএনপি লোকজনকে সেল্টার দিয়ে ত্যাগী আওয়ামী-লীগের কর্মিদের হামলা করে থাকেন ।

যুবরাজ কাউন্সিল হওয়ার আগে তুরাগের বজ্র নিতেন রাজ্জাক নামের এক স্থানীয় ব্যক্তি বর্তমানে কাউন্সিলের লোকজন দিয়ে তা নিয়ে থাকেন ।

৫৪নম্বারে অনুমানিক ১লক্ষ মানুষ বসবাস করে থাকেন প্রতি পরিবার থেকে ৩০০ টাকা করে  তুলেন যুবরাজ লোক যার থেকে প্রতি মাসে ৯ লক্ষ টাকা নেন।

মে ৯ তারিখ মারমা টু গার্মেন্ট ফ্যঠক্টরীতে বেতন বকেয়া নিয়ে মালীক ও শ্রমিকরে মাঝে ঝগড়া হলে তা মিমাংসা জন্য যুবরাজের কাছে নিয়ে জান ।

শ্রমিকদের তিন মাসের বেতন দেওয়ার কথা থাকলে তার ক্যাডার বাহিনীর অন্যতম রফিক,রুবেল শান্ত ,রাকিব,বাদন সহ শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে পাঠিয়ে দেন।

গার্মেন্টস শ্রমিক আল-আমিন বলেন,টাকা তো পাইনি আরো বউ নিয়ে অপমান হলাম এর কোন বিচার নেই।

তুরাগে প্রায় ১৫টি পরিবহন স্থায়ী ভাবে গাড়ী পাকিং থাকে প্রতি পরিবহন থেকে ৫০হাজার করে চাঁদা নেন কাউন্সিল যুবরাজ।তার পরিহনের চাঁদাবাজ রাকিব ভিক্টও পরিহনের কাছ থেকে পাঁচ

লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করলে তা দিতে নারাজ হলে ভিক্টরও পরিবহনের ম্যানাজার ও বিকাশ পরিবহনের ম্যানাজার চুন্নু।চুন্নু আরো বলেন,আমরা অসহায় হয়ে পরেছি কাউন্সিলরের কাছে।কামার পারা বাস ষ্ট্যান্ট থেকে প্রতিদিন টিটুর মাধ্যমে পাঁচ হাজার করে টাকা নেন টিটু।

এব্যাপারে কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজ বলেন,আমি এমন কোন খাচোর না যে আমি হারাম টাকা খাব।তিনি এক প্রশ্ন জবাবে বলেন,আমার বিরুদ্ধেএক শ্রেণীর মানুষ এমন আজব তথ্য দিয়ে থাকে আমি কিছু জানি না।