প্রবেশপথে বাড়ছে যানবাহনের চাপ ঢাকাগামী যাত্রীদের ঢল থামছেই না

0
480

গার্মেন্টস, কলকারখানা খুলে দেওয়ার পর থেকেই ঢাকামুখী মানুষের ভিড় বাড়ছিল। আর এখন দোকানপাট-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর থেকেই এই ভিড় মানুষের ঢলে পরিণত হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার নির্ধারিত লকডাউনের মধ্যেও রাস্তায় বাড়ছে যানবাহনের চাপ। ঢিলেঢালাভাবে পুলিশ চেকপোস্টগুলোতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। গতকাল শনিবার রাজধানীর প্রবেশপথ গাবতলীসহ বিভিন্নস্থানে দেখা যায় এমনই চিত্র।

ঢাকার রাজপথ ফিরে আসছে তার পুরোনো চেহারায়। প্রবেশপথগুলোতে ছিল ঢাকামুখী মানুষের ভিড়। দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকায় ভেঙে ভেঙে ঢাকায় ফিরছেন অনেকে। ঢাকায় ঢুকতে তেমন কোনো বাধার মুখেও পড়তে হচ্ছে না তাদের।

ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করছেন।গত কয়েক দিন ধরেই মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ঢাকাগামী যাত্রীদের ঢল নেমেছে।

এই ঢল থামছেই না। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলো থেকে ফেরি ও ট্রলারে গাদাগাদি করে শত শত যাত্রী পদ্মা পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে ছুটে আসছেন।

তবে কর্মস্থলে পৌঁছাতে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের কর্মজীবীরা পদ্মা পাড়ি দেওয়ার পর শিমুলিয়া ঘাট থেকে অটোরিকশা, মিশুক আর রিকশায় করে সড়কে ভেঙে ভেঙে কর্মস্থলে ছুটছেন। ঐ সব যানবাহনে চড়তে গিয়ে যাত্রীদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।

মাওয়া নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবীর বলেন, সকালের দিকে রো-রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, ফেরি ক্যামেলিয়া, কিশোরী ও ফেরি রায়পুরায় কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে যাত্রী ভরে ছেড়ে আসে শিমুলিয়া ঘাটে।

ফেরিগুলোতে জরুরি সেবার যানবাহন ছাড়াও অসংখ্য যাত্রী ছিল। যাত্রীদের অধিকাংশ পরিবার নিয়ে ঢাকায় ছুটছেন। ফেরি ছাড়াও ট্রলারে করে যাত্রী পারাপার হচ্ছে। ট্রলারগুলো ঘাটের বাইরে নোঙর করা হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, দিনের বেলায় সীমিত আকারে নৌরুটে ফেরি চলাচল করছে।

তবে রাতে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হয়ে থাকে। দিনের বেলায় জরুরি সেবার যানবাহন ছাড়াও ফেরিতে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fifteen + five =