বরগুনার এসপি মারুফ হোসেন : দেশপ্রেমে বলীয়ান

0
1344

রাশেদুল ইসলাম:পুলিশ যদি মানবিক বোধ সম্পন্ন হন তবে সে পুলিশ সত্যিকার অর্থেই হয়ে ওঠেন জনগনের বন্ধু- দেশ মাতৃকার প্রহরী। আশার কথা হচ্ছে দেশে এখন সেরকম পুলিশের সংখ্যাও বাড়ছে। এদের হাত ধরেই হয়তো বাংলাদেশ পৌছে যাবে আগামীর সোনালী বন্দরে। তেমনই একজন পুলিশ কর্মকর্তা বরগুনার এসপি মো: মারুফ হোসেন, পিপিএম। পিরোজপুরের এম আনোয়ার হোসেন ও খায়রুন্নেছার সংসারে ১৯৭২ সালের ১০ ডিসেম্বর জন্ম নেয়া মারুফ হোসেন ব্যক্তিগত জীবনে এক কন্যা সন্তানের জনক।পিতার আদর্শ নিয়ে আজো তিনি অন্যায় অনাচার আর অসংগতির বিরুদ্ধে পথচলায় বিচলিত নন। ১৯৮৮ সালে পিরোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৯০ সালে সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ, পিরোজপুর হতে এইচএসসি, ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে ২২ তম বিসিএস ক্যাডার হিসেবে ২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন এএসপি পদে। প্রশিক্ষণ শেষে ২০০৫ সালে যোগদান করেন সিআইডি’তে ।

২০০৬ সালে সিএমপি’তে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের সাফল্যে ২০০৭ সালে যোগ দেন র্যাব এ। এরপর ২০০৮ সালে ডিএমপি’র বিভিন্ন পদে সাফল্যর ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালে লাইবেরিয়া মিশনে যোগদান করেন। ২০১১ সালে ট্রাফিক এন্ড ড্রাইভিং স্কুলের (টিডিএস) কমান্ড্যান্ট এর দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেন।

২০১২ সালে সুদানের দারফুর মিশনে রুল অব ল ইউনিটের ওআইসি প্লানিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মিরপুরের ০৩টি সংসদীয় আসনের নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করেন। তিনি এসি, ডিবি হিসেবে মিরপুর ও গুলশান বিভাগে দায়িত্ব পালন কালে হাউজ ডাকাতি, শ্যুটিং ইন্সিডেন্সসহ অন্যান্য অপরাধ দমনে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।

সুদানের দারফুর মিশন শেষে ২০১৪ সালে সিলেটে যোগদান করেন এডিসি পদে।২০১৪ সালের নির্বাচনোত্তর অশান্ত লক্ষীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে যোগদান করেন।এরপর ২০১৫ সালে ডিএমপি’তে বাংলাদেশ সচিবালয়ে এডিসি পদে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৬ সালে ডিসি (এমটি ও সরবরাহ) ও ডিসি (ডিবি) হিসেবে আবারও সিএমপি’তে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৮ সালের ১৩ আগষ্ট থেকে বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এই সুদীর্ঘ সময় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন কালে যখন যেখানে ছিলেন সেখানেই চাঞ্চল্যকর মামলাসহ যে কোন মামলা নিষ্পত্তি আর অপরাধ দমনে তিনি রেখেছেন মেধা প্রজ্ঞা আর সাহসিকতার অবদান। এমনকি কোথাও নিজের বাহিনী ও বিভাগকেও আধুনিকায়নে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়ে প্রসংশিত হন।

জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক, দুর্ণীতিসহ যে কোন ধরণের সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে যখন যেখানে ছিলেন সেখানেই স্থানীয় জনসাধারণের অকুষ্ঠ ভালোবাসা ও সমর্থণ পেয়েছেন। তাই পিরোজপুর- বরগুনায় দায়িত্ব পালন কালে তিনি আগামীতে পিতা মাতার দোয়ায় এবং জনগনের ভালোবাসায় দেশ জাতি আর সমাজের উন্নয়ণে যে কোন অবস্থায় জীবন বাজি রাখতেও বদ্ধ পরিকর বলে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।

 

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

ten − 2 =