প্রধানমন্ত্রীর ঈদ প্রণোদনায় অনিয়মকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

0
520

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার প্রণোদনার অর্থ নিয়ে অনিয়মের ঘটনায় নিন্দা ও জড়িত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। রবিবার (১৭ মে) এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার, সদস্য সচিব, সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গিবাদ বিরোধী মঞ্চ। জিয়াউদ্দিন তারেক আলী, সভাপতি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন। অ্যাডভোকেট জাহিদুল বারী, সাধারণ সম্পাদক, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি। এস.এম.এ সবুর, সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি। আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব)। এফ এম শাহীন, সাধারণ সম্পাদক, গৌরব ৭১, সমন্বয়ক, দুর্নীতি প্রতিরোধ মঞ্চ। ড. সেলু বাসিত, উপদেষ্টা, সংস্কৃতি মঞ্চ। জায়েদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন। আব্দুল ওয়াহেদ, কার্যকরী সভাপতি, জাতীয় শ্রমিক জোট। অলক দাস গুপ্ত, আহ্বায়ক, উঠোন সাংস্কৃতিক সংগঠন। অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন। এম.এম আকাশ, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ড. সৈয়দ আব্দুল্লা আল মামুন চৌধুরী, শিক্ষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। অ্যাডভোকেট পারভেজ হাসেম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। এ কে আজাদ, প্রধান সংগঠক, আনন্দন সাংস্কৃতিক সংগঠন। শান্তনা ইসলাম, সভাপতি, মাদারল্যা- গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন। সালেহ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন। শাহজান আলম সাজু, সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ- বিসিএল।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, করোনা মোকাবিলায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে দুস্থ অসহায় ৫০ লাখ পরিবারকে ২ হাজার ৫০০ টাকা ঈদ উপহার হিসেবে প্রদেয় টাকা নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

এতে করে দেশব্যাপী সাধারণ নিরীহ ও দুস্থ মানুষের পাশাপাশি সর্বস্তরে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মনে করি প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক ইচ্ছা ও দুস্থ মানবতার সবচেয়ে গণমুখী কর্মসূচিকে নিয়ে লুটপাটের ঘটনা মূলত দেশের স্থিতিশীলতা ও অগ্রযাত্রাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

অন্যদিকে সরকারের গণমুখী মানবিক সহায়তা কর্মসূচিকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মূলত সুবিধাবাদী লুটেরাদের দৌরাত্বের ঘটনায় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশা ও ক্ষতিগ্রস্ত নির্মাণ শ্রমিক ও ভাসমান শ্রমজীবী এবং বিপদগ্রস্ত মানুষদের উপেক্ষা করা হয়েছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনাকেও উপেক্ষা করা হয়েছে।

আমরা আরো লক্ষ্য করছি যে, দেশের কোথাও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিকে ত্রাণ বিতরণের গঠিত কমিটিতে সম্পৃক্ত করা হয়নি, এতে করে দুর্নীতিবাজরা নির্বিঘে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা দেশব্যাপী ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের সাথে জড়িত সকল দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি বিধানের দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে ত্রাণ বিতরণে ক্ষতিগ্রস্ত নির্মাণ ও ভাসমান শ্রমিকসহ সমাজের নীতিবান অসাম্প্রদায়িক বক্তিদের সম্পৃক্ত করার দাবিও আমাদের।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × five =