লালমনিরহাটে সাংবাদিকের দোকান পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ

0
692

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় সাংবাদিকের দোকান ঘর ভাংচুর ও অগুনে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মনসুর উদ্দিনের বিরুদ্ধে। সোমবার(১৮ মে) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ সাংবাদিক গোলাপ মিয়া ক্ষতিপুরনসহ বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সাংবাদিক গোলাপ মিয়া আদিতমারী উপজেলার বড় কমলাবাড়ি গ্রামের ফজলুল করিমের ছেলে। তিনি আদিতমারী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার কুমড়িরহাট এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি বিগত ২০০৯ সালের ২ জুলাই তৎকালিন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিরসহ কমিটির কাছে চুক্তিতে লিজ নিয়ে দোকান ঘর করে ব্যবসা করছেন গোলাপ মিয়া। সেই চুক্তি মোতাবেক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত ভাড়া প্রদান করে আসছেন সাংবাদিক গোলাপ মিয়া। তৎকালিন প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান ও সভাপতি আবু তাহের অফেরৎযোগ্য ২০ হাজার টাকা ও ভাড়া দেয়া বন্দোবস্তকে অস্বীকার করে তাকে সড়িয়ে অন্যকে লিজ দেয়ার পায়তারা চালান বর্তমান প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম কাজল ও সভাপতি রফিজ উদ্দিন।

তারা ভুল বুঝিয়ে কোন ধরনের নোটিশ ছাড়াই গত রোববার(১৭ মে) বিকেলে হঠাৎ ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দল নিয়ে ওই দোকান ঘরটি ভাংচুর করে অগুনে পুড়ে দেন। লিজের কাগজ দেখাতে চাইলেও না দেখে সন্ত্রাসী কায়দায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বলে অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক।

এ ঘটনায় নিরুপায় হয়ে লিজগ্রহিতা সাংবাদিক গোলাপ মিয়া ইউএনওসহ কথিত উচ্ছেদ অভিযানের সকলের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ৫লাখ টাকা ক্ষতিপুরন দাবি করেন। লিজ গ্রহিতা সাংবাদিক গোলাপ মিয়া বলেন, অনেকের মত আমিও লিজ নিয়ে দোকান ঘরে ব্যবসা করে আসছি। কোন নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ ইউএনও পুলিশ নিয়ে এসে সন্ত্রাসী কায়দায় ভাংচুর করে আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন। উচ্ছেদ করলে নোটিশ দিয়ে ভেঙ্গে দিবে। কিন্তু কোন নোটিশ ছাড়াই ভাংচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়া কোন ধরনের উচ্ছেদ?। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনে দেশে উচ্ছেদ অভিযানের অনুমতি তিনি কোথায় পেলেন? – প্রশ্ন করেন তিনি।

কোন নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ ইউএনও পুলিশ নিয়ে এসে সন্ত্রাসী কায়দায় ভাংচুর করে আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন। উচ্ছেদ করলে নোটিশ দিয়ে ভেঙ্গে দিবে। কিন্তু কোন নোটিশ ছাড়াই ভাংচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়া কোন ধরনের উচ্ছেদ?। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনে দেশে উচ্ছেদ অভিযানের অনুমতি তিনি কোথায় পেলেন? – প্রশ্ন করেন তিনি।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, বাণিজ্যিক এলাকায় বিদ্যালয়ের জমি লিজ দেয়ার নিয়ম নেই। যারা দিয়েছেন তারা না বুঝে দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের জমি দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। এখন দেখার সময় নেই, তাদের কাগজ পত্র থাকলে আদালতে মামলা করতে পারবেন।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, অনেক সময় তো উচ্ছেদের চিঠি দেয়া হয়। এ উচ্ছেদের জন্য অনুমতি দেয়া আছে কি না? জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × 4 =