প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের আক্রমণে মৃত্যুর মিছিল দেশে। প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।লকডাউনের জেরে স্তব্ধ অর্থনীতি। এসবের জন্য রোগজীবাণুকে নয়, বরং সংখ্যালঘু মুসলিমদেরই দায়ী করছেন উত্তরপ্রদেশের এক সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। তাঁদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলতেও ছাড়লেন না তিনি। গোপনে তোলা তাঁর সেই জবানবন্দির ভিডিও এখন ভাইরাল। অধ্যক্ষ যদিও দাবি করেছেন, ভিডিওটি জাল। মার্চে কোভিড ১৯ প্রতিরোধের যাবতীয় সতর্কবিধি ভেঙে দিল্লিতে জমায়েত হয় সংখ্যালঘুদের তবলিঘি জামাত সম্প্রদায়ের। তার জেরে দেশে আরও বেশি মাত্রায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। ওই সম্প্রদায়ের অনেককেই দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার মধ্যে অন্যতম কানপুরের গণেশ শঙ্কর বিদ্যার্থী মেডিক্যাল কলেজ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ তোলে, তাবলীগ জামাতের সদস্যরা যেখানে সেখানে থুতু ফেলে রোগ সংক্রমণ বাড়াচ্ছে। সামাজিক দূরত্বও মানছেন না।
সেখানকারই অধ্যক্ষ হলেন আরতি লালচন্দানি। তাবলীগ জামাতের সদস্যরা ভর্তি থাকাকালীনই তাঁদের বিরুদ্ধে কটূ, সাম্প্রদায়িক দুষ্ট মন্তব্য করেন লালচন্দানি। বলেন, ‘আমরা জঙ্গিদের সঙ্গে ভিআইপি–দের মতো ব্যবহার করছি। যাদের জন্য এতজন চিকিৎসক কোয়ারেন্টাইনে।
মুখ্যমন্ত্রী (যোগী আদিত্যনাথ) ওদের হাসপাতালে ভর্তি করে আসলে তোষণ নীতি নিয়েছেন। ওদের আসলে জেলে পাঠানো উচিত।’ এখানেই থামেননি অধ্যক্ষ লালচন্দানি। বলেছেন, সংখ্যালঘুদের জঙ্গলে পাঠানো উচিত। ওই ৩০ কোটির জন্য ১০০ কোটি দেশবাসী ভুগছে। যদিও এখন এসব মন্তব্য অস্বীকার করছেন লালচন্দানি।