ফতুল্লায় শাহ আলমের ফ্যাক্টরিতে বেতনের বদলে শ্রমিকদের লাঠিপেটা!

0
623

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা রেললাইন বটতলা এলাকায় অবস্থিত শাহফতেউল্লাহ টেক্সটাইল ও জালাল আহমেদ স্পিনিং মেইলের শ্রমিকরা লকডাউনে ভিতরে কাজ করার পরেও শতভাগ বেতন দাবী করায় শ্রমিকদের লাঠি পেটা করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। মিল দুটোই বিএনপি নেতা শাহ আলমের মালিকানাধীন বলে জানা গেছে। বুধবার (১৩ মে) সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানা এলকার শাহ ফতেউল্লাহ টেক্সটাইল ও জালাল আহমেদ স্পিনিং মেইলের শ্রমিকদের সাথে এ ঘটনা ঘটে। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তাদেরকে কারখানা থেকে ৬০ ভাগ বেতন দিবে জানালে তারা শতভাগ বেতন দাবি করে। কিন্তু মালিক পক্ষ সেটি মানতে নারাজ। এক পর্যায়ে মালিক পক্ষের লোকজন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এতে অন্তত ৮ থেকে ১০ জন শ্রমিক রক্তাক্ত ও নীলাফোলা জখম হয়েছে।

এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্প পুলিশ সুপার ( এ এসপি) মো. আমিরুল হোসেন দেওয়ান বলেন, শাহাফতুল্লা টেক্সটাইল ও জালাল আহমেদ স্পিনিং মেইলের শ্রমিকরা সরকার নির্ধারিত ৬০ শতাংশ দেওয়ার কথা শুনে শতভাগ বেতনের দাবী করে।

তবে আমি কোথাও কোনো আহত হওয়ার খবর পাইনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমি নিজে মালিককে আরও ৫ শতাংশ বেতন বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। এবং মালিক পক্ষ সরকার নির্ধারিত ৬০ শতাংশের সাথে আরও ৫ শতাংশ বেতন বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, সকালে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে, শ্রমিকরাই উল্টো মালিক পক্ষকে মারধর করেছে। পরে পুলিশ শ্রমিকদেরকে বুঝিয়ে ওখান থেকে সরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থেকে কোনো রকম অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ করা এক শ্রমিক বলেন, এসময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শ্রমিক বলেন, আমাদেরকে লকডাউনে বন্ধ কম দেওয়া হয়েছে। ২৬ শে মার্চেও আমাদের কাজ করিয়েছে জোরপূর্বক। না আসলে আমাদের বেতন কাটা যাবে। এখন বেতনের সময় আমাদের বেতন কম দেবে।

সরকার ঘোষিত ৬০ ভাগ বেতনের জায়গায় ১০ বাড়িয়ে ৭০ ভাগ দাবি করেছি। এর কারণে মিলের ভেতরে আমাদের মারধর করেছে। আমাদের মা-বোনদের গায়ে হাত দিয়েছে কেন? আমরা এর বিচার চাই।

ঘটনার সত্যতা যাচাই জন্য শাহাফতুল্লা টেক্সটাইল ও জালাল আহমেদ স্পিনিং মেইলের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে চাইলে কেউ কথা বলতে রাজি হননি। পরে মেইলের স্টাফ মো. আসলাম এর ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এবং মেইলের এডমিন বদরুল আলম এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনিও ফোন ধরেননি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × four =