যুক্তরাষ্ট্রে বেক্সিমকো’র রেমডেসিভির যাচ্ছে

0
626

৬৫ লাখ পিপিই’র পর এবার বেক্সিমকো উৎপাদিত জেনেরিক ওষুধ রেমডেসিভির নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। করোনা বা কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার সহায়ক ওষুধ হিসেবে রেমডেসিভির কার্যকর হওয়ায় বাংলাদেশি ওই কোম্পানী অর্ডার পেয়েছে। শিগগির তা পাঠানো সম্ভব হবে বলে আশা করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। মানবজমিনের সঙ্গে আলাপে মন্ত্রী বলেন, হোয়াইট হাউজের উপ-নিরাপত্তা কর্মকর্তার মাধ্যমে বাংলাদেশ কোভিড মোকাবিলা সংক্রান্ত ২২ ধরণের মেডিকেল ইকুইপমেন্ট সাপ্লাইয়ের প্রাথমিক প্রস্তাব পায় মার্চ মাসে। পরবর্তীতে আরও ৩টি আইটেম যুক্ত হয়। সরকার তো ব্যবসা করে না, ব্যবসাকে ফিজিলিট্যাইট করে, সেই বিবেচনায় বেক্সিমকোর কর্ণধার সালমান এফ রহমান এবং বিজিএমইএর প্রতিনিধির সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের বৈঠক বসিয়ে দেয়া হয়। মন্ত্রী বলেন, সেই থেকে শুরু। আমাদের বড় সফলতা হচ্ছে তাদের চাওয়া মত আমরা ৬.৫ মিলিয়ন পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) যথা সময়ে সরবরাহ করতে পেরেছি। অন্য দেশকেও আমরা দিচ্ছি।

কাউকে ফ্রি, কারও কাছে বিক্রি করছি। বাজার উন্মুক্ত। বাংলাদেশের পিপিই এখন বিশ্ববাজারে যাচ্ছে। এটাই বড় কথা। এ নিয়ে শুরুর দিকে অনেকে টিপ্পনি কেঁটেছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী তাদের প্রতি অট্টহাসি উপহার দিয়ে বলেন, আজ নিশ্চয়ই তারা লজ্জা পাচ্ছেন। নিউইয়র্কের মেয়রকে নিজের বন্ধু উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নিয়মিত ফ্লাইট শুরু হলে তার জন্যও কিছু পিপিই পাঠাবো।রেমডেসিভির প্রসঙ্গ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেক্সিমকোর তৈরি রেমডেসিভির পরীক্ষামূলক ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে এই ক’দিন হয়।

এর মধ্যেই আমেরিকা ওষুধটি নিতে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার পূর্বের ন্যায় প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছে। অর্ডারের প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, বাকীটা দ্রুত শেষ হবে এবং ওষুধটি রপ্তানি করা যাবে বলে আশা করেন তিনি। এ বিষয়ে ওয়াশিংটনস্থ  বাংলাদেশ দূতাবাসের সংশিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, দুনিয়ার যে দেশ থেকেই মেডিকেল ইকুইপমেন্ট আসুক না কেন আমেরিকান অথোরিটি ফেমার পূর্বানুমতি নিয়ে তা ঢুকতে হয়। তারা এরইমধ্যে বাংলাদেশের অনেকগুলো পণ্য অনুমোদন করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রীও বলেন, করোনা পেন্ডামিক পণ্য বা রপ্তানী খাতে বৈচিত্র নিয়ে এসেছে। ঢাকা সেই সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে চায়। স্মরণ করা যায় চলতি মাসেই বেক্সিমকো ফার্মা কোভিড-১৯ রোগের উপসর্গ প্রশমনের ওষুধ রেমডেসিভিরের প্রথম নমুনা বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করে। অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির সম্প্রতি কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা এফডিএ-র অনুমোদন পায়। স

্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়, বেক্সিমকো ফার্মাসিটিউক্যালসের কর্মকর্তারা পরীক্ষামূলক ব্যবহারের জন্য তাদের তৈরি রেমডেসিভির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে তুলে দেন। জেনেরিক রেমডেসিভির ?ওষুধটির ব্র্যান্ড নাম বেক্সিমকো রেখেছে ‘বেমসিভির’। ১০০ মিলিগ্রাম রেমডেসিভির আইভি ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রীর আক্ষেপ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, কাল অনেকগুলো আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ফলো করছিলাম।

উদ্দেশ্য করোনার এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে যে ৬.৫ মিলিয়ন পিপিই পাঠালো তা কতটা কভারেজ পাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমি দেখলাম ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সর্বত্রই ভিয়েতনামের গল্প। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে মাত্র ৪ লাখ মাস্ক পাঠিয়েছে, অন্য কিছু নয়, সেটা নিয়েই মতামাতি হচ্ছে। হতে পারে তারা পরস্পর বৈরি অবস্থানে ছিল বলে এত আলোচনা! কিন্তু বাংলাদেশে বিষয়টিও অনেক বড়, ৬.৫ মিলিয়ন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × three =