লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামে নবম শ্রেণির ছাত্রী হিরা মনিকে ঘরে একা পেয়ে গত শুক্রবার (১২ জুন) দুপুরে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। ক্যান্সারে আক্রান্ত বাবা হারুনুর রশিদকে নিয়ে তার মা ও ছোট দুই ভাইবোন ঢাকায় হাসপাতালে ছিল। হিরামনি সেদিন সকালে নানার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আসেন। এ ঘটনায় শুক্রবার (১২ জুন) বিকেল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হিরা মনি (১৪) এর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরিফ ও সুমন নামে দুই যুবককে আটক করেন থানা পুলিশ। উক্ত চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ জুন) দুপুরে ❝মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থা❞ এবং ❝ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি কমিশন❞ এর পক্ষে মানবতাবাদী মুহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান তীব্র প্রতিবাদ ও উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করে বলেন, কিশোরী হিরা মনিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে তার বেঁচে থাকার অধিকার কেরে নিয়ে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন হত্যাকারীরা।
মুহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ধর্ষণ, হত্যা ও নির্যাতনের মতো ভাইরাস একটি উল্লেক্ষযোগ্য উদাহরণ এবং নজিরবিহীন রেকর্ড। বর্তমানে মানবাধিকার লঙ্ঘন অহরহ। যারা সমাজে ধর্ষণ, হত্যা ও নির্যাতন করেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিবিধান নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে থাকার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।
ধর্ষণ, হত্যা ও নির্যাতনকারী সমাজের ভাইরাস, তাই সমাজকে ভাইরাস র্নিমূল করতে তাদের শনাক্ত করে বিচারের কাটগড়ায় দার করার জন্য দৃষ্টি আকর্ষন করছি। নয়তো ভবিষ্যতে এরা আরো বেপরোয়া হয়ে ধর্ষণ, হত্যা ও নির্যাতনের মতন অপরাধ করেই যাবেন। তাই প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সর্বস্তরে সচেতন মহলের কাছে আমার অনুরোধ সমাজের বুকে এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব মনে করি।
এবিষয়ে মঙ্গলবার (১৬ জুন) ১২ টা ২০ মিনিটে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার ডাঃ এএইচএম কামরুজ্জামানের সাথে মোবাইল ফোনে মানবতাবাদী মুহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমানের সাথে কথা হয় এবং মানবাধিকারের পক্ষে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থার কথা জানানো হলে পুলিশ সুপার মানবাধিকারকে জানান, হিরা মনিকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। হিরা মনির প্রেমিক ও তার সহযোগী আরিফ ও সুমন নামের দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।