ভেজাল ও পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে দমনে চাই কঠোরতা

1
9598

এজাজ রহমান: কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেছেন, রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য কঠোরতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এর পাশাপাশি থাকতে হবে ভেজালবিরোধী অভিযানও। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।  সম্প্রতি তিনি বলছিলেন। গোলাম রহমান বলেন, পণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে। সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলে স্বাভাবিকভাবে পণ্যের মূল্য বাড়ে না। এ ছাড়া আমরা যারা ভোক্তা বা ক্রেতা রয়েছি তাদেরও কেনাকাটার ক্ষেত্রে সংযমী হতে হবে। যতটুকু প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি কেনা উচিত হবে না। ভোক্তাদের মধ্যে সংযম আর পণ্যের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলে মূল্য স্থিতিশীল থাকবে।

ক্যাব চেয়ারম্যান বলেন, কেউ যদি মজুতদারি করে বা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। এ জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বেশ কয়েকটি মনিটরিং টিম গঠন করেছে।

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সারা দেশের অবস্থা নাজুক। এর মধ্যেও যতটুকু সম্ভব লক্ষ্য রাখতে হবে যেন অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি না ঘটে। সরবরাহ যেন ঠিক থাকে, পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কৃষকরা পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না অথচ রাজধানীতে সে সব পণ্য বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এ ব্যবস্থা মনিটরিং করতে হবে। গোলাম রহমান বলেন, বর্তমানে আদাসহ বিভিন্ন পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যারা অধিক মুনাফা করতে চায় এটি তাদেরই কারসাজি। চাল, ডাল, তেল, খেজুরসহ যেসব পণ্য রমজান মাসে বেশি প্রয়োজন হয় সেসব দ্রব্যের বাজার মনিটরিংয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ করতে হবে।

এ ব্যবস্থা মনিটরিং করতে হবে। গোলাম রহমান বলেন, বর্তমানে আদাসহ বিভিন্ন পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যারা অধিক মুনাফা করতে চায় এটি তাদেরই কারসাজি। চাল, ডাল, তেল, খেজুরসহ যেসব পণ্য রমজান মাসে বেশি প্রয়োজন হয় সেসব দ্রব্যের বাজার মনিটরিংয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, এবারের রমজান মাসে খোলাবাজারে ইফতার বিক্রি করা যাবে না। সে হিসেবে ইফতারিতে ভেজাল মেশানোর সুযোগ নেই। সবাই বাসাবাড়িতে ইফতার তৈরি করবে। তবে অন্যান্য পণ্যে যেন ভেজাল মেশানো না হয় সেদিকেও নজরদারি রাখতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ভেজালবিরোধী অভিযান সমান্তরালে পরিচালনা করতে হবে। শক্ত হাতে সরকারকে এ বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করতে হবে। নীতি, নৈতিকতা বজায় রেখে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করতে হবে। তাছাড়া ভোক্তাদেরও বুজে-শুনে যাচাই করে ক্রয় করতে হবে, যাতে আমরা প্রতারিত না হই।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

8 + 11 =