বরিশাল নগরীর সাগরদী এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ ও প্রসাধনী সামগ্রীসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। সোমবার নগরী থেকে উদ্ধার হওয়া ওষুধের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। এ ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে এক বছর করে কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। উদ্ধার করা ওষুধের মধ্যে এসিআই, কেমিস্ট, জেসন, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডসহ দেশীয় ও ভারতীয় বেশ কিছু কম্পানির নকল ওষুধ ও প্রসাধনী সামগ্রীসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম রয়েছে। কেমিস্ট ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার কাজল ঘোষ জানান, সোমবার বরিশাল নদী বন্দর থেকে একটি চক্র তাদের কম্পানির লোগোযুক্ত কাগজের প্যাকেট (কার্টুন) সংগ্রহ করছে। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে এসব প্যাকেটের কোনো অর্ডার ছিল না। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে তারা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানায়।
তাদের সহযোগিতায় নদী বন্দর এলাকা থেকে ওইসব প্যাকেটসহ মাসুম বিল্লাহ ও নূরে আলমকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী বরিশাল নগরের সাগরদী এলাকার টিয়াখালি সড়কের ডাক্তারবাড়ি সংলগ্ন একটি টিনশেড বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে একটি কারখানায় নকল ওষুধ বানানো হচ্ছিল। কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ জব্দ করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান জানান, টিনশেড ঘরটিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের নকল ওষুধ, প্রসাধন ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার মূল হোতা মো. মাসুম বিল্লাহ (২৭) ও তার সহযোগী নূরে আলমকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি নকল ওষুধ প্রস্তুতকরণের কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে।
ওষুধ প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়ক অদিতি স্বর্ণা জানান, এ কারখানায় এসিআই, কেমিস্ট, জেসন, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডসহ দেশীয় বিভিন্ন কম্পানির নকল ওষুধ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ভারতীয় গোদরেজ, গুরুদেব, ডাবর আমলার সিল বসানো বিভিন্ন পণ্যও পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে জানা গেছে, তারা এখানে বসেই এসব কম্পানির পণ্য তৈরি করে বিভিন্ন জেলায় সেগুলো বিক্রি করতো।