অর্থ ও মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতে আটক হওয়া বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ পাপুলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে কুয়েত। কাজী শহীদ পাপুলকে জিজ্ঞাসাবাদে মানবপাচারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী আনাস আল-সালেহ। গত রোববার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক পত্রিকা আরব টাইমসের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। তবে এ বিষয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট করেননি তারা। কুয়েতে অর্থপাচার ও মানবপাচারের অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল ও তার সহযোগীর জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন দেশটির আদালত।
এদিকে, এমপি পাপুলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর দেশটির পুলিশ সেখানের সাবেক এবং বর্তমান শীর্ষ সাত কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম আরব টাইমস। একইসঙ্গে সরকারি তিনটি প্রতিষ্ঠানেও এমপি পাপুলের যোগাযোগ ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ১৪ জুন আরব টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, সাবেক এবং বর্তমান সাত কর্মকর্তাকে ঘুষ এবং উপহার দিয়ে বিশেষ সুবিধা আদায় করে নিতেন এমপি পাপুল। এছাড়া সরকারের টেন্ডার কমিটি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ দুই মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ ছিল পাপুলের।
কাজী পাপুলকে তার কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার জন্য কারা সুযোগ সুবিধা দিয়েছে ও তারা কত পরিমাণ অর্থ নিয়েছেন,সে বিষয়ে জানতে পাপুলকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে কুয়েত সরকার।
সংসদ সদস্য কাজী পাপুলের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ১১ প্রবাসী বাংলাদেশি। তাদের অভিযোগ, ভিসা ও আকামা নবায়নের নামে তাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছিলেন তিনি।