আকিজ বিড়ির তামাকে ভেজাল বেশি লাভের আশায় প্রতারণা ব্যাবসায়ী ও ক্রেতাদের অভিযোগ

1
10218

বাংলাদেশের বিশাল একটি সুনামধন্য বিড়ি কোম্পানির নাম আকিজ।হাজার হাজার কোটি টাকার বিজনেস তাদের। বর্তমানে প্রতি প্যাকেটে ২৫ টি বিড়ির মুল্য ২০ টাকা।অথচ সেই বিড়ির ভিতরে তামাকের সাথে চালের কুড়া,ভুষি মিলিয়ে বেশি লাভের আশায় বাজারজাত করে জনগনের সাথে প্রতারণা করছেন বলে অভিযোগ করেন গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের মুদির হাট ব্যাবসায়ী ও ক্রেতা সহ স্থানীয় বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক।ঘটনাটি ঘটে ১৫ জুন সোমবার দুপুরে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের এ,এস,আই জাফর ও এ,এস,আই মাসুদ আসলে স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা কোম্পানির তিন জনকে পুলিশে সোপর্দ করে।তারা এসে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বাজারজাত খারাপ বিড়ি জব্দ করে এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে কোম্পানির তিন জনকে নিয়ে যান।

এবিষয়ে বাজারের বনিক সমিতির সভাপতি বিপ্লব হাওলাদার বলেন, দোকানদার ও কাস্টমারের সাথে বিড়ি বেচাকেনা নিয়ে ঝামেলা হয় বিড়ি খারাপ।এসময় আরো অন্যান্য দোকানগুলোতে বিড়ির প্যাকেট ভেঙে দেখাগেলো সকল বিড়ির মধ্যে তুষ,কুড়া সহ বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা দিয়ে ভরা।গত সোমবার মার্কেটে এ বাড়িগুলো দিয়ে যাওয়া আকিজ কোম্পানির লোক আজ বাজারে আসলে দোকানদারা বিড়ি দেখালে কোম্পানির ইমরান হোসেন,

সাইফুল ইসলাম ও আল-আমিন খারাপ বিড়ি দেখে সত্যতা স্বীকার করে এবং সমস্ত দোকানে তারাই বিড়ি সাপ্লাই করেছে।তিনি আরও বলেন,এধরনের প্রতারনাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি জরিমানা করা দরকার বলে দাবি করেন। কমিটির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান খানঁ বলেন, কোম্পানির লোক এবিড়ি বাজারজাত করেছে এটা খেয়ে মানুষের মৃত্যু হতে পারত এবং বাজারের ব্যাবসায়ী ও ক্রেতাদের মাঝে দন্দ সৃষ্টি হয়েছে।

আমি চাই সকল ব্যাবসায়ীদের অর্থ ফেরত দিয়ে বাজারে ভালো মাল সাপ্লাই হোক এবং ভেজাল বিড়ি বাজারে বিক্রি করার অপরাধের বিচার হোক।একজন স্থানীয় ব্যাবসায়ী বলেন,কাস্টমার তাদের মাড়তে এসেছে এবং এই খারাপ দুই নম্বর বিড়ি বিক্রির জন্য তাদের দায়ী করে গালাগালি দেন এনিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছে।

এব্যাপারে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাকে অবহিত করা হয়েছে এবং কোম্পানির তিন জনকে আমার কার্যালয়ে নিয়ে এসেছিলো তবে আমি কোন কার্যক্রম করিনি তাদের পুলিশের কাছে দেয়া হয়েছে।

এ নিয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এসআই মন্নান কে পাঠানো হয়।সেখানে তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৪০০০ টাকা জরিমানা করা।এসআই মন্নান বলেন, ৪০০০ টাকা জরিমানা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাদের ছেড়ে দেন।

এবিষয়ে কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার শিপন সংবাদ কর্মীর মুঠোফোন নম্বর ০১৯২৪৯৮৭৮৫১ এ তার মোবা ০১৭১৩৯৫৭৬২২ নাম্বার দিয়ে ভেজাল বিড়ি নিয়ে যারা কথা বলেছে তাদের ফাসাতে উল্টো ১০ হাজার টাকা ছিনতাই ও কোম্পানির লোকদের মারধর করার নিউজের প্রস্তাব রাখলে সংবাদকর্মী এধরনের মিথ্যে সংবাদ প্রচারে অনিচ্ছুক হলে।সংবাদ প্রকাশ ঠেকাতে বিভিন্ন মহলে চেষ্টা চালায়।অবশেষে ব্যার্থ হয়ে নানান ধরনের গুজব ছড়াচ্ছেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seventeen − 2 =