আসন্ন জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনে ঢাকা ৫ আসনে সর্বস্তরে জনগন মো: আব্দুল রাকিব ভূইঁয়া (ভূইঁয়া বাবু) কে এমপি হিসেবে দেখতে যায়

0
1176

নজির আহাম্মদ: জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, ডিজিটাল বাংলার রূপকার, গনতন্ত্রের মানসকন্যা, আওয়ামীলীগ এর সফল সভানেত্রী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শ, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়নের জন্য মো: আব্দুল রাকিব ভূইঁয়া দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করছে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাজনীতির সঠিক চর্চা এবং দেশ ও জাতির কল্যানে নিয়োজিত থাকবেন।

মাতুয়াইল এর ঐতিহ্যবাহি পরিবার ভূইঁয়া পরিবারবর্গের ১০৬ বছরের সমাজসেবামূলক কর্মকান্ড তুলে ধরা হলোঃ

বিশিষ্ট সমাজসেবক রাজনীতিবিদ শিক্ষাঅনুরাগী ন¤্র ভদ্র বংশীয় মর্যাদাসম্পন্ন মো: আব্দুল রাকিব ভূইঁয়া (ভূইঁয়া বাবু) ঢাকা-৫ আসনের সকলস্তরের মানুষের হৃদয়ের মনি ও সুখ দু:খের সাথী। তাই তাকে আসন্ন জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনে ঢাকা ৫ আসনে (এমপি) হিসেবে এলাকাবাসী মনোন্নীত করতে চায়। মাঠপর্যায় খোজখবর নিয়ে জানা যায় সমাজসেবক রাকিব ভূইঁয়া তার কৈশর জীবন থেকেই অসহায় দুস্থ দু:খী বিধবা বৃদ্ধ গরীব নিরিহ প্রকৃতি মানুষদের পাশে রাত-দিন দাঁিড়য়ে সকল ধরনের সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিয়ে আসছে। সবসময় তার পূর্বপুরুষগনের মত সমাজের অবহেলিত লোকজনকে নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থ দানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল-ডাল, বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী নিয়মিত বিতরণ করে আসছে।

ভূইঁয়া পরিবারবর্গের পূর্বপুরুষগন যেভাবে মানুষের বিপদে-আপদে ঝাপিয়ে পড়ে সাহায্য সহযোগিতা করতেন তেমনি রাকিব ভূইঁয়াও মানুষের উপকার্থে আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে। ধর্ম বর্ণ দলীয় নিদর্লীয় সকল শ্রেনীর মানুষের পাশে নিজস্ব প্রতিনিধি দিয়ে নগদ অর্থ, খাবার, চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়মিত করে যাচ্ছে। রাকিব ভূইঁয়ার এই সাহায্য সহযোগিতা সারাজীবন অব্যহত থাকবে বলেও প্রকাশ করেন।

মো: আব্দুল রাকিব ভূইঁয়া (ভূইঁয়া বাবু) বড় দাদা মৃত মো: ফাজিল ভূঁইয়া ১৯১৪ সালে মানুষের কল্যানের স্বার্থে ফাজিল ভূঁইয়া ওয়াক্ফ এষ্টেট প্রতিষ্ঠা করে। তিনি ফাজিল ভূইঁয়া ওয়াক্ফ এষ্টেটের এর প্রথম মোতওয়াল্লী ছিলেন এবং মাতুয়াইল ভূইঁয়া বাড়ি জামে মসজিদ নির্মান করেন ও উক্ত মসজিদের মোতওয়াল্লী ছিলেন। তিনি শিক্ষা, সামাজিক, ধর্মীয় সহ সকল জনকল্যান মূলক কাজে প্রত্যক্ষ ও পরক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। নিজস্ব অর্থায়ন- তহবিল থেকে গরিব, দু:খী, বিধবা অসহায় মানুষের কল্যানে মৃত্যুর পূর্বক্ষন পর্যন্ত কাজ করে গেছেন।

মো: আব্দুল রাকিব ভূইঁয়া (ভূইঁয়া বাবু) বড় বাবা মৃত: মো: ওয়াসিন ভূইঁয়া। তার বাবার মৃত্যুর পর ফাজিল ভূইঁয়া ওয়াক্ফ এষ্টেটের ও মাতুয়াইল ভূইঁয়া বাড়ি জামে মসজিদ এর মোতওয়াল্লী ছিলেন।

বৃহত্তর  মাতুয়াইল গ্রামের সকল জনসাধারনের পানির চাহিদা পূরনের জন্য নিজ জমিতে নিজস্ব অর্থায়নে সর্ববৃহত্তম মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় দিঘী খনন করেন ও শিক্ষা, সামাজিক, ধর্মীয় সংস্কৃতি সহ সকল কল্যান মূলক কাজে সর্বক্ষন জড়িত ছিলেন। মৃত হাজী আ: লতিফ ভূইঁয়া যিনি মো: আব্দুল রাকিব ভূইঁয়া (ভূইঁয়া বাবুর) দাদা মৃত হাজী আ: লতিফ ভূইঁয়া বৃহত্তর ঢাকা তেজঁগাও সাকের্লের সর্বপ্রথম ১৯২৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করেন।

মৃত হাজী আ: লতিফ ভূইঁয়া বৃহত্তর মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ এর জমি সমূহ দান করেন এবং মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ এর মোতওয়াল্লীও ছিলেন। মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানের জমিতে দান করেছেন। 

হাজী মো: আব্দুল বাতেন ভূইঁয়া তার বাবার মৃত্যুর পর ফাজিল ভূইঁয়া ওয়াক্ফ এস্টেট ও মাতুয়াইল ভূইঁয়া জামে মসজিদ এর মোতওয়াল্লী ছিলেন। মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানের বর্তমানে নায়েবে মোতওয়াল্লীর দায়ীত্ব পালন করছেন।

মাতুয়াইল পল্লী সমিতির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত আছেন। তিনি তার বাবার নামে ১৯৯৪/১৯৯৫ সালে হাজী আ: লতিফ ভূইঁয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মাতুয়াইল ২নং পানির পাম্প এর জন্য জমি প্রদান করেন। শিক্ষা, সামাজিক ধর্মীয় সংস্কৃতিসহ সকল জনকল্যান মূলক সেবা কাজে ওতপ্রতোভাবে জড়িত আছেন। তার চাচা আলহাজ্ব আবুল বাসার ভূইঁয়া মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ এর মোতওয়াল্লী ও হাজী আ: লতিফ ভূইঁয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা প্রতিনিধি।

বাবা হাজী মো: আব্দুল বাতেন এর চাচাতো ভাই আলহাজ্ব সামসুদ্দিন ভূইঁয়া (সেন্টু) বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত ৬৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় করস্থানের সম্মানিত সভাপতি। এছাড়াও বর্তমানে মাতুয়াইল কুয়েতী জামে মসজিদেরও মোতওয়াল্লী।

মো: আব্দুল রাকিব ভূইঁয়া বর্তমানে মাতুয়াইল হাজী মো: লতিফ ভূইঁয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এর সম্মানিত সভাপতি। উপরন্ত ফাজিল ভূইঁয়া ওয়াক্ফ এস্টেট। মাতুয়াইল মুসলিম নগর খায়রূল সুফিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নিজস্ব জমিতে নির্মান করেছে এবং উক্ত মসজিদ এর মোতওয়াল্লী। এ ছাড়াও মাতুয়াইল হাজী আ: লতিফ ভূইঁয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রাবাস নির্মানের জন্য জমি প্রদান করেছে।

মাতুয়াইল হাজী আ: লতিফ ভূইঁয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গরীব মেধাবী ও অ+ প্রাপ্ত ছাত্র- ছাত্রীদের বিনা খরচে ভর্তি ও লেখাপড়া করার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রতি বছর মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তির ব্যবস্থা করেছে।

দেশের সকল দুর্যোগ পূর্ন সময়ে নিজ উদ্যেগে নিজস্ব তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী ঘরে ঘরে পৌছে দিয়েছে।

মহামারী করোনায় (কোভিড-১৯) নির্বাচনী ঢাকা-৫ আসনের বিভিন্ন এলাকায় সর্বস্তরের জনগনকে নিজ উদ্যেগে জনসাধারণের মাঝে সচেতন মূলক প্রচার প্রচারনার নিয়মীত করে যাচ্ছে। লকডাউন চলাকালীন সময় হতে বর্তমান সময়ে পর্যন্ত নিজ বাড়ী, কলেজ প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন এলাকায় নিজস্ব তহবিল থেকে নগদ অর্থ ও মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামীলীগ এর সংগ্রামী সভাপতি, করোনা যোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু আহম্মেদ মন্নাফী (চাচা) এর নির্দেশনা ও পরামর্শ অনুযায়ী রাজনৈতিক সামাজিক ও ধমীর্য় সকল সমাজসেবামূলক কর্মকান্ড নিয়মীত চালিয়ে যাচ্ছে।

তার ইচ্ছা ও পরিকল্পনা সমূহ

ঢাকা-৫ আসনে আমার ইচ্ছা জনগনের জন্য আমার পৈত্রিক সম্পতিতে ৫টি বা প্রয়োজন অনুযায়ী তার চেয়ে বেশি ওয়াসা সুপেয় পানির পাম্প স্থাপনের জন্য জমি প্রদান করবো । সর্বোনি¤œ ১০০০ বা তার অধিক শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জন্য দেশ রতœ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী নিজস্ব জমিতে আর্ন্তজাতিক মানসম্মত শেখ রাসেল ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতাল নির্মান করার অঙ্গীকার করছি। মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহকে প্রশস্ত করে বঙ্গবন্ধু মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ঈদঁগাহ নামকরন করবো।

মাতুয়াইলের অবহেলিত বর্তমান খেলার মাঠটিকে ঢাকা-৫ আসনের জনগনের চিত্তবিনোদনের জন্য প্রসস্তি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ অনুয়ায়ী নাম করন করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মান করবো।

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা বৃদ্ধাশ্রম নামকরন করে আমার পৈতিক সম্পত্তিতে বৃদ্ধাশ্রম নির্মান করবো। নিরীহ , বিধবা, গরিব, দুস্থ, অসহায় বৃদ্ধ মানুষের কল্যানের স্বার্থে প্রতিনিয়তই কাজ করে যাবো। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাজনীতির হাতে খড়ি নিজের পরিবার থেকে নেওয়া অব্দি আজ পর্যন্ত জাতীয় পিতার সুযোগ্য কন্যা, দেশ রতœ, মানসকন্যা, মমতাময়ী, মা মাননীয় প্রধামন্ত্রীর সকল নির্দেশ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজনৈতিক সকল কর্মকান্ড পালন করে যাচ্ছি। নিপীড়িত, নিরীহ, গরীব, দুস্থ অসহায় মানুষের কল্যানের স্বার্থে বংশ পরম্পরায় আজও  অব্দি কাজ করে যাচ্ছি।

তার ইচ্ছা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে ঢাকা-৫ আসনের মনোনিত করেন। তার পূর্ব পুরুষদের ধারাবাহিক জনকল্যান মূলক কাজকে তরান্নিত করে দেশ ও জাতির তথা আমার নির্বাচনী এলাকা সহ ঢাকা-৫ আসন মানুষের পাশে থেকে একজন নি:স্বার্থ বন্ধুর মতো আপাময় জনগনের সেবা করে যাব। আমি আরো অঙ্গীকার করছি যে, উপরক্ত ইচ্ছা ও পরিকল্পনা সমূহ অক্ষরে অক্ষরে পালন করব  এবং জননেত্রী, মানবতার মা, মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমৃত্যু কৃতজ্ঞ থাকিব এবং নেত্রীত্বের প্রতি সর্বদা বিশ্বস্ত থাকিব। ইনশাআল্লাহ………..

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twelve + seventeen =