ষ্টাফ রিপোর্টার ঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শিশু নির্যাতন, মাদক, সন্ত্রাস, ভুমিদুস দুর্নীতিবাজ কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং স্বররাষ্ট্র মন্ত্রী তিনি বলেছেন অপরাধি যতই খমতাধর হোক কেন কাউকে ক্ষামা করা হবে না। এই উক্তিকে উপেক্ষা করে এক শ্রেণি অসাধু ব্যক্তি ক্ষামতা অপব্যাবহার করেই চলেছে। এমনই একটি রাজধানী মিরপুর এলাকায় আবুল হোসেন, পিতাঃ মোঃ বেলায়েত হোসেন এর ঢাকা জেলার থানা ও সাব রেজিষ্ট্রি অফিস মিরপুর অধীন কালেক্টরী তৌজাভূক্ত জে এল নং-সি এস ২২০ নং এস.এ ৯৯, আর.এস ২৫, ঢাকা সিটি জরিপে ১১ নং মৌজা সেনপাড়া পরবর্তা স্থিত খতিয়ান নং-সি.এস ৫৫৫, এস.এ ৬৩৮নং, আর এস-১৭ নং সিটি জরিপ ৭৮৫ নং ঢাকা সিটি জরীপ মোতাবেক নামজারী ২৯৭৫৭ নং ও ১৮৩৮১ নং খতিয়ান ভুক্ত যাহার জোত নাম্বার ৭৪/৬১, ২৩/০৭, দাগ নং সি এস ও এস এ ১৯৮৬ নং আর এস ১৭২০৪ ও ১৭২০৭ ঢাকা সিটি জরিপে ৫০৬২৩ ও ৫০৬২৪ দাগে মোট জমির কাতে ৬.৬৫ অযুতাংশ বাড়ি ভূমি রক্ষনা বেক্ষনের জন্য আমমোক্তার নিয়োগের মাধ্যমে মোঃ মোশারফ হোসেন, পিতাঃ নাজির আহম্মেদ শিকদার, মোঃ শাহাদত, পিতাঃ মরহুম আফজাল হোসেন ফকির, গংদেরকে আমমোক্তার নামা প্রদান করেন।
তফসিল বর্ণিত বাড়ির মোট মূল্য ৭০ লক্ষ টাকা ধার্য্য করেন এবং গত ০১/০৯/২০১৬ইং তারিখে ১ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করে।
বিধায় আমি তাদের বরাবরা একখন্ড আম মোক্তার নামা দলিল সম্পাদন করি। যাহার রেজি নং-১০৪৯৪, তারিখঃ ০১/০৯/২০১৬ইং। চুক্তিপত্রে উল্লেখ্য থাকে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি বিক্রয়ের বিষয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ ক্রেতা সংগ্রহ করিলে ক্রেতার বরাবরে সাব কবলা দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি করিয়া দিবে।
আর শর্ত থাকে চুক্তিপত্র সম্পাদনের তারিখ হইতে ছয় মাসের মধ্যে দখল উদ্ধারে ব্যর্থ হইলে আম মোক্তার নামা দলিল ১০৪৯৪ টির কার্যকারীতা রদ, রহিত ও বাতিল বলিয়া গণ্য হইব। সম্পত্তি দখলমুক্ত করিয়া বিক্রয় লগ্ধ ৬৯ লক্ষ টাকা আমার বরাবরে পরিশোধ করার কথা ছিলো। তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির সকল মূল কাগজপত্র আবুল হোসেনের নিকট রক্ষিত আছে।
কিন্তু মোশারফ হোসেন গং অন্যায় অবৈধ স্বরযন্ত্র মূলক ভাবে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করিয়া গোলাম জিলানী চৌধুরী সাগর জন্ম তারিখ ০৮/০৬/১৯৬৮, পিতাঃ বোরহান উদ্দিন চৌধুরী, মাতাঃ হাসিনা বেগম, সাং-১৫/৪, রাজবাড়ি, সাভারের সাথে ৩০০ টাকা নন জুডিসিয়াল ষ্টেম্পে একটি লিখিত চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন।
উল্লেখ্য থাকে, নি¤œ তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির মোট মূল্য ৭০ লক্ষ টাকা ধার্য্য করা হইল এবং উক্ত টাকা ভূমির মূল মালিক মোঃ আবুল হোসেন পাইবে। মোশারফ হোসেন গং আমার সাথে লিখিত চুক্তিপত্র সম্পাদন করে গোলাম জিলানী চৌধুরী সাগরের সাথে লিখিত চুক্তি সম্পাদন করে।
গোলাম জিলানী চৌধুরী এবং মোশারফ হোসেন গংদের মধ্যে সম্পদিত চুক্তিপত্রের ০১ নং শর্ত মোতাবেক আমাকে ৭০ লক্ষ টাকা প্রদান করার কথা থাকলেও যোগ সাজুশে ও প্রতারণা মূলক ভাবে মোশারফ হোসেন গং তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সিরাজুল ইসলাম, পিতাঃ আলতাফ হোসেন আকন, গোলাম জিলানী সাগর, মোস্তফা কামাল, গত ০১/১১/২০১৭ইং তারিখে ১০৩৭০ নং সাব কবলা দলিল মূলে বিক্রয় কনে।
কিন্তু সম্পূর্ণ যোগসাজসী ও প্রতারনামূলকভাবে সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া উল্লেখিত ব্যক্তিগণ নিজেরা ৬৯ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করিয়াছেন।
আমি বর্তমানে উক্ত ব্যক্তিগনের নিকট ৬৯ লক্ষ টাকা চাইতে গেলে তারা আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি প্রদান করে এমনকী টাকা চাইলে জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। এ ব্যাপারে মোশারফ হোসেনের বক্তব্য নেওয়ার জন্য বার বার তার মোবাইলে চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। অনুসন্ধান চলছে। আগামী সংখ্যায় থাকছে বিস্তারিত।