রাজধানী চকবাজার থানা এলাকা চাঁদাবাজ সোহরাব গংদের দখলে, গ্রেফতার দাবি

0
895

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শিশু নির্যাতন, মাদক, সন্ত্রাস, ভুমিদুস দুর্নীতিবাজ কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং স্বররাষ্ট্র মন্ত্রী তিনি বলেছেন অপরাধি যতই খমতাধর হোক কেন কাউকে ক্ষামা করা হবে না। এই উক্তিকে উপেক্ষা করে এক শ্রেণি অসাধু ব্যক্তি ক্ষামতা অপব্যাবহার করেই চলেছে। এমনই একটি ঘঠনা  রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী অবৈধ অটোরিক্সা চাঁদাবাজা চক্রের দখলে শিরোনামে বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় শিরোনাম হলেও বাঁদাবাজরা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাহিরে। সম্প্রতি এমনি একটি চক্রের সন্ধান মিলেছে রাজধানীর খোদ পুরান ঢাকার লালবাগ, চকবাজার, কামরাঙ্গীর চর সহ বেশ কয়েকটি থানা এলাকায়। আর এই চক্রের মূল হোতা সোহরাব, আর তার ডানহাত খ্যাত সমন্দি শহীদ চোর ওরফে লবন শহীদ ওরফে কোটা শহীদ, ওরফে ”োট্টা শহীদ, রিক্সা চোরের সরদার হিসাবে চিনে ও জানে। এখানে উল্লেখ্য যে, উক্ত চোরের মদদ দাতা ও সহযোগী হিসাবে সোহবার ব্যাপারী সয়ংকেল্লার মোড় টেম্পু ষ্ট্যানের পশ্চিম পার্শে ডানে সিলেটিয়া হোটেল এবং বামে লংগীর গলীর দোকানের মাঝের গলি, বাম পাশের বিল্ডিং এর নিচতলা তার অফিস।

যিনি অটো রিক্সায় তার টোকেন নিবেন না সে তার টোকেন নেওয়ার জন্য রিক্সাওয়ালাদেরকে মারধর করে এবং ১১-১২টা পরে কিল্লার মোড়ে বেড়িবাধে রিক্সার মিটার ভেঙ্গে ফেলে এবং তার ছিড়ে ফেলে এবং তাদেরকে মারধর করে। মুবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়।

তার টোকেন এক হাজার টাকা, আর দৈনিক চাঁদা একশত টাকা। যারা তার টোকেন ব্যবহার করে না, নানা কৈশলে তাদেরকে নানা ভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। এমনকি রিক্সা চুরি করিয়া তাদের কাছে টাকা দাবি করা হয়। দুই-তিন দিনের মধ্যে দাবিকৃত টাকা পরিশোধ না করিলে চড়াদামে রিক্সা বিক্রি করিয়া দেয়।

একসময় হত দরিদ্র পরিবারের সন্তান সোহরাব চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই এর নেতৃত্ব দিয়ে কোটিপতি থেকে শতপতি বনে গেছে। এ চক্রের আরো সদস্য শহীদ, বি.এন.পির জাহাঙ্গীর, ইসমাইল, এদের অপকর্মের ব্যাপারে এলাকায় দেয়ালে দেয়ালে পোষ্টার ছাপানো হয়েছে। গত ০৫/১১/২০১৯ইং তারিখে সেন্টু বাদি লালবাগ থানায় চাঁদাবাজি সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেন।

যাহার নাম্বার ০৬, তারিখ ঃ ০৫/১১/২০১৯। উক্ত মামলার মূল আসামী শহীদ অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে আছে এবং অপর আসামী সোহরাব স্থানীয় প্রশাসনকে মেনেজ করে ধরা ছুয়ার বাহিরে থেকে যাচ্ছেন।

সোহরাবগংদের টারগেট স্থানীয় কিছু রিক্সা গ্যারেজ এর মালিক। তাদের দাবিকৃত মাসিক চাঁদা প্রদান না করলে জানে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। এমনকি অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে রাঁতের আধারে হুমকি ধামকি প্রদান করে।

কিন্তু সোহরাব তার আনীত সকল অফিযোগ অস্বিকার করে বলে তার প্রতিপক্ষ তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তার ব্যাপারে অপ্রপ্রচার চালাচ্ছে। তবে এলাকাবাসীর দাবি সোহবার আসলেই সঙ্গবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্রের মূল হোতা। বর্তমানে এলাকায় সরকার দলিয় হাইব্রীট নেতা হিসাবে নিজেকে জাহির করে। অনুসন্ধান চলছে। আগামী সংখ্যায় ছবি সহ থাকছে বিস্তারিত।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

5 × four =