Site icon Aparadh Bichitra

রাজশাহীর বাঘায় ”ও.এম.এস. এর” ১০ কেজির চাউল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

ব্যুরো প্রধান,রাজশাহীঃ রাজশাহীর বাঘায় সরকারি গোড়াউনের উত্তোলন করা ১০ টাকা কেজির ও.এম.এস.এর চাল কার্ডধারীদের না দিয়ে আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠে। এ বিষয়ে রবিবার (৫ জুলাই) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে অর্ধ শতাধিক কার্ডধারীরা মৌখিক অভিযোগ করেন। অবশেষে নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে চা‘ল পেয়েছে কার্ডধারীরা।

জানা যায়, বাঘা পৌরসভার ১০ টাকা কেজির ও.এম.এস.এর ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে মেসার্স এসআরপি ট্রেডার্স কে। যার স্বত্বাধিকারী বাঘা পৌর যুবলীগের সভাপতি শাহিন আলম। এই ট্রেডার্সের অধীনে ৮৪০ জন সুবিধাভূগী কার্ডধারী নির্ধারণ করে দেয়া হয়। তাদের চা‘ল সরবরাহের জন্য চার কিস্তির শেষ কিস্তিতে ২৪ জুন ৪৮০০ কেজি চাল উত্তোলন করেন ডিলার শাহিন আলম। সরকারি গোডাউন থেকে যে মাসে চাল উত্তোলন করবে, সেই মাসেই কার্ডধারীদের মধ্যে ১০ টাকা কেজির চা‘ল বিতরণ/বিক্রয় করার বিধান থাকলেও ২৪ জুন উত্তোলন করা চাল ৫ জুলাই সকাল ১১টা পর্যন্ত বিতরণ/বিক্রয় করেন নাই ডিলার শাহিন আলম। এদিকে ভাক্তভোগী কার্ডধারীরা চা‘ল না পেয়ে বিক্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেয় অর্ধশতাধিক কার্ডধারী। অবশেষে তারা দল বেধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে গিয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তাৎক্ষনিক নির্দেশে পাশর্^বর্তী বাজার থেকে ক্রয় করে এনে ১০ টাকা কেজি মূল্যে চা‘ল ভোক্তভোগী কার্ডধারীদের মধ্যে বিতরণ/বিক্রয় করেন।
বাঘা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুবিধাভোগী কার্ডধারী সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা অর্ধ শতাধিক কার্ডধারী সকাল থেকে মেসার্স এসআরপি ট্রেডার্সের সামনে চালের জন্য অপেক্ষো করছিলাম। চাল না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়ে জানালে তাঁর নির্দেশে চাল পেয়েছি। তবে সরকারি গোড়াউনের উত্তোলন করা চাল না দিয়ে নারায়নপুর বাজারের ব্যবসায়ী লালন উদ্দিনের দোকান থেকে ক্রয় করা চাল দিয়েছে। তবে যে চাল দিয়েছে, সেটা নিম্নমানের।

এ বিষয়ে মেসার্স এসআরপি ট্রেডার্সের মালিক ও বাঘা পৌর যুবলীগের সভাপতি শাহিন আলম বলেন, ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে কার্ডধারীদের চাল দিতে একটু দেরি হয়েছে। দেরি দেখে কিছু কার্ডধারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। পরে তাদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার পলাশ আহম্মেদ বলেন, ২৪ জুন শেষ কিস্তির উত্তোলন করা চাল রোববার (৫ জুলাই) বিতরন করা হবে, মর্মে আমাকে জানানোর পর সকাল ১০ টার দিকে তার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বন্ধ দেখে ফিরে আসি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শামসুন্নাহার বলেন,প্রতিমাসের চাল প্রতি মাসে দেয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে শুনেছি ডিলার শাহিন আলম জুন মাসের চা‘লের শেষ কিস্তির উত্তোলন করা চা‘ল জুন মাসে বিতরণ/বিক্রয় করেন নাই। তবে এটা অনিয়ম হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা বলেন, কার্ডধারী কিছু লোক আমার কাছে এসেছিল। সাথে সাথে ডিলারকে চ‘াল দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। পরে চাল বিতরণ করেছেন। তবে চাল নিয়ে কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে সেটা তদন্ত করে বিধিসম্মত ব্যবস্থা নিব।
মোঃ আখতার রহমান,
বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান(ক্রাইম),রাজশাহী।