সাংবাদিক মোস্তফার চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে নির্যাতন করেছিলেন ওসি প্রদীপ কুমার দাস

0
580

স্টাফ রিপোর্টার:
দুর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করায় ‘কক্সবাজার বাণী’ পত্রিকার সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খানকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে তার চোখ মরিচের গুঁঁড়া ছিটিয়ে অমানবিক নির্যাতন করেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস। ঘটনাটি তৎসময়ে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়।
খায়রুল আলম রফিকের ফেসবুক থেকে নেওয়া তথ্যসুত্রে জানাগেছে ,ওই সাংবাদিকের পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস । কোনো পরোয়ানা ছাড়াই ঢাকার পল্লবী থেকে তাকে ধরে টেকনাফ থানায় নিয়ে তিন দিন আটক রেখে অমানুষিক নির্যাতন করেন। পরে মাদকের মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয় ।

বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফরিদুল মোস্তফার স্ত্রী হাসিনা আক্তার লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ জানান। তিনি জানান, ‘তার স্বামী বিভিন্ন সময় টেকনাফ থানার ওসি সহ পুলিশ সদস্যদের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এ কারণে তাকে গত ২১ সেপ্টেম্বর-২০১৯ রাজধানীর মিরপুর এলাকার বাসা থেকে ধরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন শেষে মাদকের মিথ্যা মামলায় কোর্টে প্রেরন করেন। তার চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে নির্যাতন করায় বর্তমানে দুটি চোখই নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ ছাড়া তার হাত-পা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার এক চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে’।
ফরিদুল মোস্তফার মেয়ে সুমাইয়া মোস্তফা খান বলেন, ‘তাদের পরিবারের কেউ কোনো মামলার আসামি নয়। কখনো তারা কোনো অনিয়মে জড়াননি। এরপরও পুলিশ ঠান্ডা মাথায় তারা বাবাকে মামলা দিয়ে সমাজে তাদের পরিবারটিকে হেয় করেছে’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস তখন বলেন, ‘সঠিক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ফরিদুল মোস্তফার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। তাকে কোনো হয়রানি বা মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়নি। তিনি যদি মনে করে থাকেন মিথ্যা মামলা হয়েছে তাহলে আদালতে যেতে পারেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × one =