Site icon Aparadh Bichitra

সিএনএন বাংলা টিভির প্রতারক মামুনের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ালেন প্রেসিডেন্টপুত্র তৌফিক

মো: আহসানউল্লাহ হাসান:
“মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিককে লাইসেন্সবিহীন সিএনএন বাংলা টিভির চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে ব্যাপকহারে প্রতারনা করে বিভিন্নজনের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে এই টিভি চ্যানেলের এমডি শাহিন আল মামুন” শিরোনামে প্রায় দুবছর যাবৎ ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করে আসছে অপরাধ বিচিত্রা। এবিষয়ে এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিককে অপরাধ বিচিত্রা কর্তৃপক্ষ একাধিকবার জানানো সত্ত্বেও তিনি তা আমলে নেয়নি। আর এই সুযোগে প্রতারক মামুন মিথ্যা মামলা দিয়ে অপরাধ বিচিত্রা কর্তৃপক্ষকে হয়রানী সহ বেপরোয়া গতিতে তার প্রতারনামুলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো। কিন্তু অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধানী রিপোর্টার উক্ত তথ্য সংগ্রহ করে অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকা সহ এর অনলাইন ভার্সনে ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রকাশ করকে থাকে। যা ব্যাপকহারে পাঠকের গ্রহনযোগ্যতা লাভ করে। সম্প্রতি এই বিষয়টি এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকেরও দৃষ্টি আকর্ষন করে। আর এতেই তিনি গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে প্রতারক শাহিন আল মামুন সর্ম্পকে জনগণকে সতর্ক থাকার জন্য এবং চক্রটির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। একারনে অপরাধ বিচিত্রার পক্ষ থেকে এমপি মহোদয়ের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের নাম ভাঙ্গিয়ে লাইসেন্সবিহীন সিএনএন বাংলা টিভির প্রতারণা’ শীর্ষক একটি অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে,‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদ এবং আমার নাম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছে শাহিন আল মামুন নামে এক ব্যক্তি। শাহীন নিজেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাতিজা পরিচয় দিয়ে এবং আমাকে সিএনএন বাংলা নামক লাইসেন্সবিহীন একটি টিভি চ্যানেলের মালিক দাবি করে সে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়াসহ সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।’
এবিষয়ে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপির সুস্পষ্ট বক্তব্য, ‘শাহিন আল মামুনের সাথে আমাদের পরিবারিক কোন সম্পর্ক নেই। তাছাড়া তার সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন পরিচয়ও নেই। আর সিএনএন বাংলা টিভির নামে কোন চ্যানেলের মালিকানা তো দূরের কথা, সংবাদ প্রকাশের আগে এমন কোন চ্যানেল আছে কিনা তাও আমার জানা ছিল না। তাই এ ধরনের প্রতারণা সাথে যারা জড়িত তারা মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং আমার সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে বলে মনে করি। আমি এই প্রতারক চক্র সর্ম্পকে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। একইসাথে প্রকৃত সাংবাদিক বন্ধুদের এমন প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে দেশের মানুষকে সচেতন করার জন্য অনুরোধ করছি। তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
২৮ জুন-২০২০ হতে এমপি মহোদয়ের এই সর্তকবানী দৈনিক মানবজমিন পত্রিকা সহ যুগান্তর, সমকাল এর মতো জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত হলে প্রতারক শাহিন আল মামুন গাঁ ঢাকা দিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে বিভিন্ন দরজায় ধরনা ধরছে বলে শোনা যাচ্ছে।