Site icon Aparadh Bichitra

তিনদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বাণিজ্যমন্ত্রী কোভিড-১৯ পরবর্তী রপ্তানি বাণিজ্যের সুযোগ গ্রহণে কাজ করতে হবে

অপরাধ বিচিত্রা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি,এমপি বলেছেন- কোভিড-১৯ পরবর্তী রপ্তানি বাণিজ্যের সুযোগ গ্রহণ করতে দূতাবাসগুলোকে কাজ করতে হবে। এজন্য বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতগনকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। সৌদি আরব, কুয়েত এবং উজবেকিস্থান বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। এখানে বাংলাদেশী পণ্যের বেশ চাহিদা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ব্যবসায়ীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বাণিজ্যের সুযোগ নিতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। রাষ্ট্রদূতগণকে বাণিজ্য প্রসারে অবদান রাখতে হবে। কোভিড-১৯ এর কারনে পরিবর্তীত বিশ^বাণিজ্যে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছে, এ সুযোগকে দক্ষতার সাথে কাজে লাগাতে হবে। ইতোমধ্যে রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ ঘুরে দাড়িয়েছে। বিশ^ মন্দা অর্থনীতির মধ্যেও গত বছরের জুলাই থেকে এবছর জুলাই মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ২৩.০৬ মিলিয়ন বেশি হয়েছে। রাষ্ট্রদূতগণকে গতানুগতিক কাজের বাইরে গিয়ে দেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে হবে

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (০৯ আগষ্ট) ঢাকায় সরকারী বাসভবনের অফিস কক্ষে সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারি, কুয়েতে নিযুক্ত রাষ্ঠ্রদূত মেজর জেনারেল আসিক এবং উজবেকিস্থানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এর সাথে বৈঠকের সময় এসব কথা বলেন।

টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্পেশাল ইকোনমিক জোনগুলোর নির্মাণ কাজ  দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।  এ গুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার দেশী-বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। এ গুলো বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরতে হবে।

রাশিয়া একটি বড় বাজার। এবাজারে প্রবেশ করতে আমরা কাজ করছি। এজন্য উজবেকিস্থান বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উজবেকিস্থানও বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। উভয় দেশ বাণিজ্য জটিলতা দূর করতে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে সৌদি আরবে রপ্তানি হয়েছে ২৬২.৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য এবং জুলাই থেকে মে পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৭৯৬.৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

কুয়েতে রপ্তানি হয়েছে ২৩.৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুল্যের পণ্য এবং জুলাই থেকে মে পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৩৮২.১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুল্যের পণ্য। উজবেকিস্থানে রপ্তানি হয়েছে  ১৯.১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুল্যের পণ্য এবং ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে আমদানি হয়েছে ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

এ সময় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব(এফটিএ)  শরিফা খান উপস্থিত ছিলেন।