সোনারগাঁওয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে গরু নিয়ে বাদল

0
448

সোনারগাঁও প্রতিনিধিঃ  সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটি বৈধ, নাকি আগের কমিটি বহাল তা নিয়ে দ্বন্দ্ব যেখানে  চলমান সেই সময় নারায়ণগঞ্জের অন্যান্য উপজেলা রেখে কেবলমাত্র সোনারগাঁওয়ে ১৫ই আগষ্টকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে গরু বিতরণ করে বিতর্কের সৃষ্টি করছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল। সোনারগাঁওয়ের আহবায়ক কমিটি সোনারগাঁওয়ে স্থান না পেয়ে নারায়ণগঞ্জের একটি রেস্তোরায় গিয়ে কয়েকজন কে নিয়ে গোপন প্রস্তুতি সভা করেন। সেখানে আহবায়ক কমিটির এড.সামসুল ইসলাম ভূইয়া,ইঞ্জিনিয়ার মাসুম ও বাদল সহ বক্তারা দাবী করেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু নাকি আহবায়ক কমিটিকে বৈধ ঘোষণা করেছেন। এমন আজগুবি বক্তব্য শুনে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ যখন চরম পর্যায় সেই মূহুর্তে দ্বন্দের আগুনে এবার ঘি ঢেলেছেন জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু। এধরনের কোনো কথা না বলার দাবী করে বাচ্চু বলেন, আহবায়ক কমিটি   বৈধ না অবৈধ সেটা বুঝবে কেন্দ্রীয় কমিটি । দলীয় সুত্রে জানা যায়, সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটি গঠনের পর থেকেই দুই ধারায় রাজনীতি হচ্ছে। কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে ব্যস্ত নেতারা। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে অবৈধ ঘোষণা করে প্রতিহতের ঘোষণা দেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। এ নিয়ে তৃণমূল নেতাদের মধ্যে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তৃণমূল নেতাদের মাঝেই নয়, আহবায়ক কমিটি বৈধ, না কি আগের কমিটি বহাল তা নিয়ে জেলা পর্যায়ের নেতাদের মধ্যেও চলছে তর্ক-বিতর্ক।

জেলা আওয়ামীলীগের গুটি কয়েক নেতার দাবী (এড. শামছুল ইসলাম – ইঞ্জি: মাসুম) আহবায়ক কমিটি বৈধ। অপরদিকে জেলা আওয়ামীলীগের বড় একটি অংশের নেতারা কেন্দ্রের রেফারেন্স দিয়ে বলছে সোনারগাঁ উপজেলায় আওয়ামীলীগের আগের কমিটির (এড. শামছুল ইসলাম – মাহফুজুর রহমান কালাম) কার্যক্রম চলবে। আর তাই এ পক্ষটির ৩৮ জন নেতা সম্মিলিতভাবে কেন্দ্রের কাছে চিঠির মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ দেন।

যার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রথমে আহবায়ক কমিটির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলেন। পরে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমকে এ সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু দায়িত্ব পাওয়ার পর করোনা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে এ দ্বন্দের সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম বলেন”যেখানে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সোনারগাঁও তথা কথিত আহবায়ক কমিটির কোন আয়োজনে অংশ নেননি এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাননীয় সেতু ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এড.সামসুল ইসলাম ভূইয়া ও মাহফুজুর রহমান কালামের কমিটি বহাল থাকবে বলেছেন।

সেখানে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে কোন স্বার্থে সোনারগাঁওয়ের তথা কথিত আহবায়ক কমিটির ডাকে সারা দিয়ে সোনারগাঁওয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে বিবেধ সৃষ্টি করার জন্য বিএনপি জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ১৫ই আগষ্টে রাজকার পরিবারের সন্তানদের কাছ থেকে অবৈধ অর্থ নিয়ে সোনারগাঁওয়ে জাতীয় পার্টির এমপি খোকার সাথে একত্রিত হয়ে গরু বিতরণ করে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করছেন। 

আমি সোনারগাঁও উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড ভিত্তিক তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে সরকারী নির্দেশনা মেনে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর শহীদ পরিবারের সকলের আত্নার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেছি। নারায়ণগঞ্জের তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রশ্ন জেলা আওয়ামীলীগের একজন সাধারণ সম্পাদক হয়ে কোন অজানা কারণে শুধু সোনারগাঁওয়ে এডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল রাজাকার পরিবারের সন্তানদের নিয়ে তথা কথিত আহবায়ক কমিটিকে নিয়ে গরু বিতরণ করছেন?

তাছাড়া জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চুর বক্তব্য নিয়ে মিথ্যাচার করে কিভাবে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে কেনো বিতর্ক সৃষ্টি করা হলো? এই মিথ্যাচারকারীদের কেনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না এমনটাই প্রশ্ন জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × 1 =