স্টাফ রিপোর্টার: বিভিন্ন সমস্যা এবং প্রয়োজনীয় কাজে চুনারুঘাট থানায় গিয়ে সেবা পেতে সাধারণ মানুষকে অনেক হয়রানীর শিকার হতে হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে বাহিরে দাড়িয়ে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। অথচ ওসি শেখ নাজমুল হক সাধারণ সেবা গ্রহীতাদের বাহিরে দাঁড় করিয়ে নিজ রুমে আড্ডায় মগ্ন থাকেন পছন্দের মানুষদের নিয়ে। এমন সমস্যা একদিন বা দু’দিনের নয়, প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর আড্ডাখানায় পরিণত হয় চুনারুঘাট থানা ইনচার্জের রুম,সাধারণ মানুষের অভিযোগ- প্রতিদিন বিকেলে বিভিন্ন সমস্যা, অভিযোগ নিয়ে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নাজমুল হকের কাছে যান বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। কিন্তু সন্ধ্যায় থানায় গেলেও রাত ৯/১০টা বাজার আগে ওসির স্বাক্ষাত পান না তারা। বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, প্রবাসী, জনপ্রতিনিধি ও শ্রমিক নেতাসহ পছন্দের লোকদের নিয়ে নিজের রুমে আড্ডায় মগ্ন থাকনে তিনি।
এতে সেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ সেবাগ্রহীতাদের। অনেকে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে বিরক্ত হয়ে ফিরে যান।
আবার কেউ কেউ শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করেও সুফল পান না আড্ডা শেষে ওসি শেখ নাজমুল ইসলাম সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ না শুনেই অন্যদিন আসার কথা বলে তিনি থানা থেকে বেড়িয়ে যান বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হলেও ভয়ে কেউ মুখ খোলতে চান না
এদিকে, শুধু রাজনীতিবিদ, প্রবাসী, জনপ্রতিনিধি ও শ্রমিক নেতা নয়। সন্ধ্যা হলেই আড্ডা দিতে ওসির রুমে ছুটে যান অনেক সরকারি কর্মকর্তাও। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যান চুনারুঘাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ রানা। একজন সরকারি কর্মকর্তা প্রয়োজন ছাড়াই ওসির রুমে প্রায় সময় আড্ডা দেয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল
একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও বিভিন্ন সময় থানা ইনচার্জের কাছে যাওয়ার কারণে জানতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ রানাকে বারবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি
এ ব্যাপারে ওসি শেখ নাজমুল হক বলেন- ‘চুনারুঘাটে কোন ফাঁড়ি না থাকার কারণে থানার উপর বেশি চাপ পড়ে। যার কারণে থানায় সব সময় মানুষের ভির থাকে।
তবে আড্ডার বিষয়টি অস্বিকার করে তিনি বলেন- মাঝে মধ্যে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মানুষ আমার অফিসে আসে। তবে প্রয়োজন ছাড়া কেউ আসেন না
সচেতনমহল বলছেন- সেবাগ্রহীতাদের বাহিরে দাঁড় করিয়ে রেখে আড্ডায় ব্যস্ত থাকা মানে নিজের দায়িত্বের প্রতি অবহেলা। এছাড়া রাজনীতিবিদ, প্রবাসী,
জনপ্রতিনিধি ও শ্রমিক নেতাদের নিয়ে নিয়মিত থানায় আড্ডা বসালে অনৈতিক সুযোগ-সুবিধার সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় বিরাট বাঁধা হয়ে দাড়াতে পারে। তাই আইনশৃঙ্খল বাহিনীকে প্রয়োজন ছাড়া কারও সাথে বেশি সময় কথা বলা ঠিক নয়।