সরকারের নতজানু নীতি সীমান্ত হত্যা বন্ধের অন্তরায় : হানিফবাংলাদেশী

0
681

২২ আগষ্ট ২০২০ইং শনিবার বিকাল ৩ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ যুব শক্তির উদ্যোগে সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারত কথা দিয়ে কথা রাখছে না কেন? প্রধানমন্ত্রীর নিকট নাগরিক জিজ্ঞাসা ও প্রতিকী লাশ নিয়ে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ যুব শক্তির আহ্বায়ক হানিফ বাংলাদেশী বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতকে যা দিয়েছেন চিরদিন মনে রাখবে, তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি সীমান্ত হত্যা বন্ধের প্রতিশ্রুতি নিতে পারছেন না কেন? তাহলে আমরা কি ধরে নেব আপনি যা দিয়েছেন সেটা দেশের স্বার্থরক্ষার জন্য নয়, শুধু আপনার ক্ষমতা রক্ষার জন্য। আপনার এই ১২ বছরের  শাসন আমলে প্রায় ৫০০ বাংলাদেশীকে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৯৬ সাল থেকে গত ২৫ বছরে ১২৬৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। গত ৫০ বছরে প্রায় ৩ হাজার বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।”

তিনি বলেন, “ভারতের বর্তমানে সরাসরি ৬টি দেশের সাথে সীমান্ত রয়েছে। দেশগুলো হলো চীন, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ। অধিকাংশ সময় চীন ও পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করলেও ভারত সেখানে কোন আগ্রাসন দেখাতে পারে না।

এমনকি সম্প্রতি নেপালও সীমান্তে ভারতের আগ্রাসন সাহসিকতার সাথে মোকাবেলা করেছে। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোন দেশের সীমান্তে সে দেশের নিরীহ নাগরিকদের গুলি করার দুঃসাহস ভারত দেখায় না। অথচ বাংলাদেশের সাথে ভারতের বন্ধুত্ব সবচেয়ে গভীর বলে তারা দাবি করে। ফেলানীর মতো হাজারো নিরপরাধকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা হল সে বন্ধুত্বের প্রতিদান।”

হানিফ বাংলাদেশী বলেন, “বাংলাদেশে যত মাদক আসে তার সিংহভাগ আসে ভারত সীমান্ত দিয়ে। এছাড়াও অবৈধ শাড়ি, কসমেটিকস সামগ্রী সহ বিভিন্ন পণ্য চোরাকারবারিরা ভারত সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করায়। আমরা লক্ষ্য করেছি মাদকসহ এসব অবৈধ চোরাকারবারে বিএসএফ কখনো বাঁধা দেয় না। গুলিও করে না।

তাদের যত ক্ষোভ সীমান্তবর্তী গ্রামের কৃষক আর নিরীহ গরু ব্যবসায়ীরা। দুর্বল ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে এবং শাসক দলগুলোর ক্ষমতা আকড়ে রাখার হীন স্বার্থে ভারত প্রীতির কারনে বিএসএস ধারাবাহিক হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা অবিলম্বে এ অবস্থার উন্নতি চাই। ভারতের মিথ্যা আশ্বাসে আর কাজ হবে না। আমরা সরকারকে দ্বর্থ্যহীন কন্ঠে বলতে চাই,

আপনারা মেরুদন্ড শক্ত করে দাঁড়ান বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ আপনাদের সাথে আছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় বাঙালিরা কখনো কারো প্রভুত্ব মেনে নেয় নি। বারবার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নির্ভয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। আমরা আমাদের সার্বভৌমত্বের লংঘন আর দেখতে চাই না। আমরা সীমান্তে আর একটি গুলির আওয়াজও শুনতে চাই না।”

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রচিন্তার ইমরান ইমন, নাইমুল ইসলাম নয়ন, সরোয়ার তুষার, যুব শক্তির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান, মহিবুল্লাহ চৌধুরী, নাহিদ রহমান পুতুল, ডাঃ মাহবুবা নারগিস শানু, আসিফ সালমান, জাকির হোসেন, ইয়াকুব আলী, নুরুল ইসলাম বিপ্লব, এন.ইউ আহমেদ, মোঃ আব্দুল জলিল, মিতা রহমান, মোঃ নাহিদ, মোঃ মঞ্জু প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × five =