Site icon Aparadh Bichitra

তথ্য চাওয়ায় বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় সদস্য সাংবাদিকের ছিনিয়ে নেয় এসআই শাহ্ আলী

হবিগঞ্জের বাহুবল থানা থেকে পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে আসা চোখ বাধা দুই ব্যক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে দৈনিক সমকাল বার্তার সিলেট ব্যুরো প্রধান ও দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচার’ পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার একে কাওসারের সাথে অশোভন আচরণ করেন বাহুবল থানার এসআই মো. শাহ্ আলী। এ সময় তিনি সাংবাদিক কাওসারের হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যান। প্রায় আধা ঘন্টা পর তিনি মোবাইল ফোনটি ফেরত দেন।

এঘটনায় দৈনিক সমকাল বার্তার প্রকাশক: মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী এক সংবাদ বিবৃতিতে বলেন, এমন ঘটনায় সমকাল পরিবার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে। সমকালের ব্যুরো প্রধান একে কাওসার হাতকড়া পরিহিত, চোখ বাধা ও আহত দুই ব্যক্তি বিষয়ে তথ্য চাওয়ায় তার সাথে বাহুবল থানা পুলিশের এসআই মো. শাহ্ আলী অশোভন আচরন করেন। শুধু তাই নয় ওই অফিসার একজন সাাংবাদিকের মানহানী করেছেন পাশাপাশি তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছেন এবং তিনি একটি দুঃখ জনক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন।

জানা যায়- বৃহস্পতিবার ভোররাতে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি রোগীর কাছে চোখ বেঁধে দুই ব্যক্তিকে নিয়ে আসেন। এ সময় বিষয়টি সম্পর্কে জানতে সেখানে উপস্থিত হন ‘দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচার’ পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার একে কাওসার। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থাকা পুলিশের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে সাদা পোষাকধারী এসআই মো. শাহ্ আলী সাংবাদিক পরিচয় পেয়েও একে কাওসারকে ধাক্কা মারেন। এ সময় পাশে দাড়ানো স্থানীয় লোকজন ও দুই পুলিশ সদস্য একে কাওসার সাংবাদিক বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এসআই শাহ আলী উত্তেজিত হয়ে উঠেন।

এক পর্যায়ে তিনি সাংবাদিক কাওসারের হাত থেকে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। প্রায় আধা ঘন্টা পর আবারও তিনি পুলিশ ভ্যানসহ হাসপাতালের সামনে ফিরে আসেন। এ সময় তার সাথে থাকা সবুজ রানা নামে পুলিশ সদস্য মোবাইলটি ফেরত দেন। তবে সাংবাদিক কাওসারের দাবি- তার মোবাইল থেকে অনেক গুরুত্বরপূর্ণ সংবাদের তথ্য-চিত্র ডিলেট করে দিয়েছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান- চোখ বেঁধে দুই ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। এছাড়া সাংবাদিকের সাথে অশোভন আচরণের বিষয়টিও আমি দেখছি।