জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় জনসচেতনতা তৈরিতে সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই

0
422

১লা সেপ্টেম্বর ২০২০খ্রি: মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ২য় তলায় সাগর-রুনি মিলনায়তনে পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের উদ্যোগে ‘জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় সামাজিক আন্দোলনের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সবুজ আন্দোলন’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ফিশারিজের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান বলেন, “করোনা ভাইরাস পরিবেশ বিপর্ষয়ের ফল। করোনাকালে বেশির ভাগ দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ থাকায় পরিবেশের কিছুটা উন্নতি হয়েছে, কমেছে দূষণ। কিন্তু করোনা পরবর্তী সময়ে আবারো পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেলে বায়মন্ডলের তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে। ফলে প্রাণিজগত হুমকির মুখে পড়বে।”

এসময় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, “জলবায়ু সংকট বর্তমানে পৃথিবীর জন্য একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলো কর্তৃক ব্যাপকভাবে কার্বন নিঃসরণের ফলে ওজন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাড়ছে তাপমাত্রা। গলে যাচ্ছে মেরু অঞ্চলের বরফ। বাড়ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা। প্লাবিত হচ্ছে নি¤œাঞ্চল। এভাবেই চলতে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাবে।

মাটিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেয়ে বিপন্ন হবে জীববৈচিত্র্য। জলবায়ু সংকটের এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যাপক আকারে জনসচেতনতা তৈরিতে সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই।”বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “প্রযুক্তিতে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার না করায় স্বাস্থ্যঝুঁকি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।”

সভাপতির বক্তব্যে সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি এ্যাড. আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, “বাংলাদেশসহ ৩৩টি অনুন্নত দেশ জলবায়ু সংকটের জন্য দায়ী না হয়েও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে। প্যারিস সম্মেলনে দায়ী রাষ্ট্রগুলো ক্ষতিপূরণ দেয়ার অঙ্গীকার করলেও তারা এখন না টালবাহানা করছে।

দায়ী রাষ্ট্রগুলোর উপর চাপ বাড়াতে ও আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য নিরাপদ পৃথিবী রেখে যেতে সারাবিশ্বের প্রকৃতিপ্রেমী সচেতন মানুষকে সাথে নিয়ে তীব্র সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবী।”

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক মিজানুর রহমান, পরিচালক এস. এম. কামরুজ্জামান, আলমগীর হোসেন,

সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি ড. রুহুল আমিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় সদস্য সোলায়মান সবুজ, সাব্বির আহমেদ, ছাত্রফ্রন্টের আহŸায়ক লোকমান হায়দার চৌধুরী, সদস্য সচিব নজিবুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে সংগঠনের ২য় বর্ষপূতি উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

thirteen − seven =